ঢাকা,বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪

মাতামুহুরী নদীর পানি বিপদসীমা ছুঁই ছুঁই

চকরিয়ায় দুই দিনের ভারী বৃষ্টিতে নিন্মাঞ্চল প্লাবিত, ভয়াবহ বন্যার আশঙ্খা

টানা দুইদিনের বৃষ্টিতে কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার বিভিন্ন  নিন্মাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এদিকে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে গতকাল শুক্রবার বিকালে মাতামুহুরী নদীর পানি বিপদ সীমা ছুঁই ছুঁই করে প্রবাহিত হচ্ছে। এই অবস্থায় বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে উপজেলাজুড়ে বন্যার আশঙ্খা রয়েছে।
জানা গেছে, দুইদিনের ভারী বৃষ্টিপাতে চকরিয়া উপজেলার সুরাজপুর-মানিকপুর, কাকারা, লক্ষ্যারচর, কৈয়ারবিল, বরইতলী, বিএমচর, কোনাখালী ও বদরখালী ইউনিয়নের নিন্মাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। অন্তত ২০ হাজার লোক পানি বন্দি রয়েছে। এছাড়া আমন ধানের ক্ষেত ও শীতকালিন বিভিন্ন সবজির চারা বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে যায়।
মানকিপুর-সুরাজপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আজিমুল হক বলেন, মানিকপুর এলাকায় বৃষ্টিতে নিচু এলাকার অন্তত ২শতাধিক ঘরবাড়ি বৃষ্টির পানিতে প্লাবিত হয়েছে।  পাহাড়ী এলাকার বাসিন্দাদের সরিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
বরইতলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ছালেকুজ্জামন বলেন, আমার ইউনিয়নের পহরচাঁদা, গোবিন্দপুর ও ডেইঙ্গাকাটা এলাকায় অধিকাংশ ঘরবাড়ি পানির নিচে তলিয়ে গেছে। তাদের নিরাপত্তা ও শুস্ক খাবার বিতরণের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
অপরদিকে পেকুয়ার ৭ ইউনিয়নের মধ্যে সদরের  ইউনিয়নের মেহেরনামা, রাজাখালী, উজানটিয়া ও মগনামা ইউনিয়নের বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এসব ইউনিয়নের বেড়িবাঁধ সংলগ্ন এলাকার লোকজন চরম ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। অধিকাংশ চিংড়িঘের বৃষ্টির পানিতে প্লাবিত হয়েছে। বৃষ্টির ডুবে গেছে ধান ও সবজির ক্ষেত। এই উপজেলার প্রায় ১০ হাজার লোক পানি বন্দি রয়েছে।
এছাড়া বৃষ্টি অব্যাহত থাকায় মাতামুহুরী নদীতে উজানের পানি নামলে রাতে বন্যার আশঙ্খা রয়েছে বলে জানান স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা।
চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)  মো. ফখরুল ইসলাম  বলেন, অতি বৃষ্টিতে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়ে পড়েছে। মাতামুহুরী নদীতে বাড়ছে পাহাড়ি ঢলের পানি। এই উপজেলার সকল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের এলাকার খোঁজখবর রাখতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
পাহাড়ের পাদদেশে ও নদীর তীরবর্তী অবস্থানরত লোকজন নিরাপদে সরিয়ে যেতে উপজেলার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে।
তিনি বলেন, বন্যার সম্ভাব্য পরিস্থিতি মোকাবিলায় উপকুলের সকল স্লুইসগেট সমুহের জলকপাট খুলে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি  দুর্যোগ মোকাবিলায় উপজেলা প্রশাসন সহায়তা করতে সবসময় প্রস্তত রয়েছে বলেও তিনি জানান। ##

পাঠকের মতামত: