ঢাকা,শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪

চকরিয়ায় দিগন্তজুড়ে সোনালি ধান -উপ-পরিচালক

এম.জিয়াবুল হক, চকরিয়া :: কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলায় চলতি মৌসুমে ৪৭ হাজার ৭৯৪ একর জমিতে আমনের বাম্পার ফলন হয়েছে। অতীতের সময়ের চেয়ে এবার আমনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের মাধ্যমে কৃষকরা অন্তত ১৬৩ কোটি ৭৪লাখ টাকার ধান উৎপাদনের সম্ভাবনা তৈরী হয়েছে। প্রাকৃতিক পরিবেশ অনুকুলে থাকায় এবছর আমন চাষে আশাতীত সাফল্য পেতে যাচ্ছে কৃষকরা।

বর্তমানে উপজেলার দিগন্তজুড়ে সোনালি ধান কর্তনে পুরোদমে সময় কাটাচ্ছেন কৃষকেরা। ইতোমধ্যে ধান মাড়াই ও শুকানোর জন্য মাঠ তৈরীর কাজও শুরু করেছেন। ডিসেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহের মধ্যেই কৃষকেরা মাঠের সব ধান ঘরে তুলতে পারবেন বলে নিশ্চিত করেছেন উপজেলা কৃষি বিভাগ। এদিকে আমনে বাম্পার ফলন হওয়ায় উপজেলার প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে ফুটেছে হাসির ঝিলিক। আর নবান্নের এইদিনে শীতের আগমনে এখন খুশিতে কৃষকের ঘরে চলছে পিঠা-পুলির আমেজ।

সর্বশেষ শনিবার চকরিয়া পৌরসভার পালাকাটা এলাকায় আনুষ্ঠানিকভাবে ধান কর্তন কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়েছে। কক্সবাজার জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আবুল কাশেম প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে কর্তন উদ্বোধন করেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক (উদ্যান) কৃষিবিদ মো.আতিক উল্লাহ, চকরিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এসএম নাছিম হোসেন, উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা নাজমুল হোসেন। উপস্থিত ছিলেন উদ্ভিদ সংরক্ষন কর্মকর্তা মো.মহিউদ্দিন, উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা আহমদ কবির চৌধুরী, সাইফুল হক, নজরুল ইসলাম, সঞ্জিব বড়ুয়া প্রমুখ।

চকরিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ এসএম নাছিম হোসেন। তিনি বলেন, চাষের শুরু থেকে কর্তনের আগমুর্হুত পর্যন্ত মাঠে কর্মরত উপ-সহকারি কর্মকর্তারা কৃষককে বিভিন্নভাবে সঠিক দিকনির্দেশনা দিয়েছেন। জমিতে কোন ধরণের রোগ-বালাইয়ের উপস্থিতি দেখলে তাৎক্ষনিক ব্যবস্থা নিয়েছেন। মুলত সবার দায়িত্বশীল ভূমিকার কারণে এবছর আমন চাষে সাফল্য অর্জন হয়েছে।

তিনি বলেন, এবছর প্রতিহেক্টর জমিতে পাঁচ মেট্টিক টন খাদ্য সষ্য (ধান) উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। বাম্পার ফলনে লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী ১৯ হাজার ৩৫০ হেক্টর (৪৭ হাজার ৭৯৪ একর) জমিতে ৬২ হাজার ৯৭৭ মেট্টিক টন ধান উৎপাদন হতে পারে এমনটাই ধারণা করছি। বর্তমানে প্রতিটন ধান সরকারি মুল্যে ২৬ হাজার টাকা মুল্যে বিক্রি হচ্ছে, সেই হিসেবে উৎপাদিত খাদ্য সষ্যের মুল্য দাঁড়াবে ১৬৩ কোটি ৭৪ লাখ টাকার কাছাকাছি।

 

 

পাঠকের মতামত: