ঢাকা,রোববার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪

চকরিয়ায় তুচ্ছ ঘটনায় গৃহবধুকে কুপিয়ে জখম

নিজস্ব প্রতিবেদক, চকরিয়া :: চকরিয়া উপজেলার কোনাখালীতে মোবাইল চুরির তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে হামলা চালিয়ে তানিয়া সোলতানা (২২) নামের এক গৃহবধুকে কুপিয়ে জখম করার অভিযোগ উঠেছে। আহত গৃহবধুকে স্থানীয় ও পরিবারের লোকজন ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। রবিবার সকালে কোনাখালী ইউনিয়নস্থ আবদুল হাকিম পাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। হামলায় আহত গৃহবধু ওই এলাকার মো.পারভেজের স্ত্রী। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানায় আহতের পরিবার।

আক্রান্ত পরিবারের অভিযোগ সূত্রে জানাগেছে, কোনাখালী ইউনিয়নের ৮নম্বর ওয়ার্ডের আবদুল হাকিম পাড়া এলাকার মৃত ফিরোজ আহমদের ছেলে আবদুল হামিদ তার ধানের বীজতলায় ব্যবহৃত বিদেশী স্মার্ট মোবাইল রেখে কাজ করেছিল। ওইসময় পার্শবর্তী বাড়ির শামসুল আলমের কন্যা সুমি আক্তার মোবাইলটি চুরি করে নিয়ে যায়।

আবদুল হামিদের চুরি হয়ে যাওয়া মোবাইলটি তার ফুফাতো বোন তানিয়া সোলতানা ওই এলাকার শামসুল আলমের কন্যার কাছ থেকে নিতে গেলে এ সময় মোবাইল চুরির কথা অস্বীকার করে তর্কে জড়িয়ে সংঘর্ঘে বেধে যায়। এই তুচ্ছ বিষয়কে কেন্দ্র করে শামসুল আলমের স্ত্রী মনিরা বেগম, মৃত শাহ আলমের ছেলে নুরুল হকসহ তার পরিবারের লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে অতর্কিত ভাবে এসে আবদুল হামিদের ফুফাতো বোন তানিয়া সোলতাকে টেনে হেছড়ে হামলা চালায়।

এসময় তাকে বেদড়ক পিঠিয়ে আহত করে দেশীয় তৈরি ধারালো অস্ত্রদিয়ে কুপিয়ে গালের মধ্যে গুরুতর জখম করে। ঘটনার সংবাদ পেয়ে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে আহত গৃহবধু তানিয়াকে উদ্ধার করে উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা করা হয়।

আহত গৃহবধুর মামাতো ভাই আবদুল হামিদ অভিযোগ করে বলেন, সকালে বাড়ির পাশ্ববর্তী ধানের বীজতলা থেকে মোবাইল চুরি করে নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে আমার ফুফাতো বোন চুরি হয়ে যাওয়া মোবাইলটি চাইতে গেলে তার বসতভিটা এলাকার শামসুল আলমের স্ত্রী মনিরা বেগম, মেয়ে সুমি আক্তার ও একই এলাকার মৃত শাহ আলমের ছেলে নুরুল হকসহ তার পরিবারের লোকজন অতর্কিত ভাবে আমার বোন তানিয়ার ওপর সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে বেদড়ক মারধর করে কুপিয়ে গুরুতর আহত করেন।

চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাকের মোহাম্মাদ যুবায়ের বলেন, এ ধরণের ঘটনার বিষয়ে কেউ থানায় অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।##

 

 

পাঠকের মতামত: