চকরিয়ায় মোটর সাইকেল রেখে চলাচল পথ বন্ধ রাখায় প্রতিবাদের জেরে কলেজের অধ্যক্ষ ও তার বৃদ্ধা মাসহ তিনজনকে বেধড়ক মারধর করা হয়েছে। ঘটনার সময় আহতদের কাছ থেকে নগদ টাকা, মোবাইল সেট ও স্বর্ণালঙ্কার লুটে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। শনিবার রাত আনুমানিক সাড়ে আটটার দিকে চকরিয়া পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের কাহারিয়াঘোনাস্থ মহিলা মাদরাসার সামনে সড়কে ঘটেছে এ হামলার ঘটনা। হামলার ঘটনায় আহত চকরিয়া সিটি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সালাহ উদ্দিন খালেদ বাদি হয়ে গতকাল চকরিয়া থানায় একটি এজাহার দায়ের করেছেন। এতে আসামি করা হয়েছে একই এলাকার মশিউর রহমান বেদন, সাদ্দাম হোসেন, জাহেদ, ছাদেক, ইবুনু ও বেদনের স্ত্রী মৌসুমী।
চকরিয়া থানায় দায়ের করা এজাহারে বাদি সালাহ উদ্দিন খালেদ দাবি করেন, শনিবার বিকালে অভিযুক্ত এক নম্বর বিবাদি তাঁর মোটর সাইকেল রেখে চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে দেন। এসময় বাদির বৃদ্ধা মা আলহাজ এলমুন নাহার (৬০) বাড়ির একটি গরু টমটম গাড়ি নিয়ে হাসপাতালে যাচ্ছিলেন। ওইসময় বিবাদিকে ডেকে রাস্তা থেকে মোটর সাইকেলটি সরাতে বললে উল্টো ক্ষিপ্ত হয়ে গাড়িটি না সরিয়ে আমার মায়ের সাথে অশ্লীল আচারণ করে।
বাদি আর্জিতে বলেন, এদিন রাত সাড়ে আটটার দিকে মাদরাসার সামনে এক নম্বর বিবাদিকে আমার মায়ের সাথে অশালীন আচারণ করার কারন জানতে চাই। এসময় আমি কিছু বুঝে উঠার আগে বেদনসহ তার সহযোগিরা হাতুড়ি, লাঠি-সোঠা ও রটসহ অস্ত্র নিয়ে এগিয়ে এসে আমার উপর আক্রমন শুরু করে। এক পর্যায়ে আমাকে লোহার রড দিয়ে আঘাত করলে মাথার পেছনের অংশে থেতলে যায়। পরে তাঁরা আমাকে মাটিতে ফেলে গলা চেপে ধরে হত্যার চেষ্ঠা করে। ঘটনার সময় আমার শোর চিৎকারে বাড়ি থেকে আমার বৃদ্ধা মা এলমুন নাহার ও ছোটভাই মনির উদ্দিন খালেদ এগিয়ে আসলে অভিযুক্তরা তাদেরকেও মারধর করে। ঘটনার সময় বাদির পকেট থেকে ৫২ হাজার ৫শত টাকা, ১৮ হাজার টাকা দামের একটি মোবাইল, মায়ের গলায় থাকা ৪৫ হাজার টাকা দামের একটি স্বর্ণের চেইন ও ছোট ভাই মনির উদ্দিন খালেদের পকেট থেকে নগদ সাড়ে ১২ হাজার টাকা ও সাড়ে ৮হাজার টাকা দামের একটি মোবাইল সেট লুটে নিয়ে যায় বলে থানায় দায়ের করা এজাহারে উল্লেখ্য করেন। ঘটনার পর পরিবারের অন্য সদস্য এবং প্রতিবেশি লোকজন এগিয়ে এসে ঘটনাস্থল থেকে মা-ছেলেসহ তিনজনকে উদ্ধার করে উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে যায়।
বাদি কলেজ শিক্ষক সালাহ উদ্দিন খালেদ অভিযোগ করেছেন, হামলায় জড়িতরা এলাকায় মাদক সেবনসহ নানা অপকর্মের সাথে জড়িত। তাদের বিরুদ্ধে উপজেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় তিনি অভিযোগ তুলেছিলেন। মুলত এরপর থেকে তাঁরা তাঁর ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে আছে। এরই জেরে শনিবার তার পরিবারের ওপর হামলার ঘটনাটি করেছে অভিযুক্তরা। বাদি দাবি করেন, হামলার ঘটনায় থানায় অভিযোগটি দেয়ার পরও পুলিশ এখনো জড়িতদের বিরুদ্ধে কোন ধরণের ব্যবস্থা নেয়নি। #
পাঠকের মতামত: