ঢাকা,শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪

চকরিয়ায় তরুনী চম্পাকে ধর্ষণের পর হত্যা পাঁচদিন পর অপর আসামি সাজ্জাদ গ্রেফতার

চকরিয়ায় তরুনী চম্পা ধর্ষণ ও হত্যা মামলার আসামি সাজ্জাদ হোছাইনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

এম.জিয়াবুল হক, চকরিয়া ::

কক্সবাজারের চকরিয়ায় চম্পা খাতুন (১৮) নামের এক তরুণীকে চলন্ত সিএনজিতে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় অন্যতম আসামী সাজ্জাদ হোছাইনকে ঘটনার পাঁচদিন পর গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গতকাল সোমবার (১১মে) সকাল ১০টার দিকে পেকুয়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের শেখের কিল্লা ঘোনা এলাকার স্থানীয় লোকজনের সহায়তা পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারকৃত সাজ্জাদ হোছাইন ওই এলাকার আবুল হোসেন পুতুর ছেলে।

গত ৬ মে চকরিয়া উপজেলার কোনাখালী ইউনিয়ন এলাকার চকরিয়া-পেকুয়া বাঁশখালী আঞ্চলিক মহাসড়কে তরুণী চম্পাকে ধর্ষণের পর ও হত্যা করা হয়। নিহত চম্পা খাতুন কক্সবাজার সদর উপজেলার খরুলিয়া এলাকার রুহুল আমিনের মেয়ে।

ঘটনার দিন বুধবার (৬ মে) বিকালের দিকে চট্টগ্রাম থেকে ওই নারী একটি সিএনজি গাড়িতে করে পেকুয়া পর্যন্ত আসেন। সেখান থেকে এক সিএনজি চালক তাকে চকরিয়া আনেন। কিন্তু তাকে চকরিয়ায় নামিয়ে না দিয়ে পুনরায় আবারো পেকুয়ার দিকে নিয়ে যায়। প্রতিমধ্যে একটি ব্রীজের সাইটে তাকে দুই সিএনজি চালক মিলে ধর্ষণ করে। এরপর তার সাথে কথা কাটাকাটি হলে তাকে চলন্ত গাড়ী থেকে ফেলে দেয়া হয়।

স্থানীয় লোকজনের বরাত দিয়ে পেকুয়া থানার ওসি তদন্ত মো.মিজানুর রহমান বলেন, তারা বিভিন্ন মিডিয়ার মাধ্যমে জানতে পেরেছেন তরুনী চম্পাকে ধর্ষণ পরবর্তী হত্যার ঘটনায় সাজ্জাদ জড়িত। অবশ্য এঘটনায় ইতোমধ্যে র‌্যাবের হাতে গ্রেফতার হওয়া সিএনজি চালক জয়নাল আবদীন তার স্বীকারোক্তিতে সাজ্জাদ নামে অপর একজন জড়িত বলে জানান।

তিনি বলেন, ইতোমধ্যে পুলিশ ও র‌্যাব সাজ্জাদকে গ্রেফতারে বেশ কয়েকবার তার বাড়িতে অভিযান চালিয়েছে। কিন্তু পালিয়ে থাকায় তাকে তাৎক্ষনিক গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। তবে ঘটনার পর থেকে স্থানীয়রা অভিযুক্ত সাজ্জাদ কোথায় যায় এবং কোথায় থাকে সেই ব্যাপারে নজর দেন। সর্বশেষ সোমবার সকালে র‌্যাবের একটি দল তার চাচাতো ভাই প্রতিবন্ধী নেজাম উদ্দিন ও আবদু রহিমকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে যায়। তারপর থেকে পরিবারের লোকজন ও এলাকাবাসীরা তাকে ধরার জন্য ওঠেপড়ে লাগে।

একপর্যায়ে এদিন সকাল ১০টার দিকে পেকুয়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের শেখের কিল্লা ঘোনার একটি বাড়ি থেকে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় পুলিশ তাকে আটক করে। পরে পেকুয়া থানার ওসি তদন্ত মো. মিজানুর রহমান ও এসআই সনজিত চন্দ্র নাথের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থল তাকে থানায় নিয়ে যান।

পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.কামরুল আজম বলেন, ঘটনার পর থেকে পলাতক ছিলেন তরুণী চম্পা হত্যা মামলার আসামী সাজ্জাদ। সোমবার সকালে স্থানীয় লোকজন তাকে আটকিয়ে পুলিশে খবর দেয়। পরে ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ গিয়ে তাকে নিয়ে আসেন। গতকাল বিকালে তাকে চকরিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

হত্যাকাণ্ডের এ ঘটনায় নিহতের বাবা রুহুল আমিন চকরিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা রুজু করেছেন। তাতে আপন বোন ও বোনের ছেলেসহ তিনজনকে আসামি করা হলেও অনেকটা ক্লুহীন এই হত্যার ঘটনার রহস্য উদঘাটন করতে সক্ষম হন কক্সবাজারস্থ র‌্যাব-১৫। ঘটনার পর একদিনের মাথায় পুরো হত্যাকান্ডটির রহস্য উদঘাটন পুর্বক ধর্ষণ ও হত্যাকান্ডে জড়িত সিএনজি চালক জয়নালকে প্রথমে আটক করে র‌্যাব।##

পাঠকের মতামত: