ঢাকা,রোববার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪

চকরিয়ায় ডুলাহাজারা বনাঞ্চলের মরা গর্জন লোপাটের পাঁয়তারা করছে রেঞ্জার

চকরিয়া প্রতিনিধি:   কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের ফাঁসিয়াখালী রেঞ্জ কর্মকর্তা আবদুল মতিনের বিরুদ্ধে ডুলাহাজারা রিজার্ভ বনাঞ্চলের শতবর্ষী মাদার ট্রি (গর্জন গাছ) বয়সের কারণে মরে যাওয়ার অযুহাত দেখিয়ে বিক্রি করে দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। রেঞ্জ কর্মকর্তার আর্থিক সুযোগে শতাধিক মাদার ট্রি গর্জন গাছ গুলো রাতের আধাঁরে দুর্বৃত্তরা কেটে নিয়ে যাচ্ছে। এসব গর্জন গাছ যদি দূর্নীতিবাজ রেঞ্জারের হাত থেকে রক্ষা করা যেত তাহলে নিলামের মাধ্যমে বিক্রয় করে সরকার কোটি টাকার রাজস্ব আদায় করতে পারত বলে জানান বনবিট কর্মকর্তা ও স্থানীয় লোকজন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ডুলাহাজারা বনবিটের অধিনে প্রায় এক হাজার মাদার ট্রি (গর্জন গাছ) রয়েছে। এরমধ্যে শতাধিক মাদার ট্রি গর্জন রেঞ্জার আবদুল মতিন ইতোমধ্যে আর্থিক সুবিদা নিয়ে কাঠচোরাকারবারীদের বিক্রি করে দিয়েছে। বনদস্যুরা রাতের আধারে ট্রাক ভর্তি করে পাচার করছে। এখন বয়সের কারণে মরে যাচ্ছে আর এসব মরা গাছ সাধারণ মানুষ কেটে লাকড়ি হিসেবে ব্যবহার করছে এমন অযুহাত দেখাচ্ছে উর্ধ্বতন কতৃপক্ষের কাছে। ফলে সরকার হারাচ্ছে কোটি টাকার রাজস্ব।
সরেজমিন ঘুরে ও স্থানীয় লোকজনের সাথে কথা বলে জানা গেছে, এক একটি মাদার ট্রি (গর্জন গাছ)’র বয়স আনুমানিক ২’শ বছরের অধিক। অতিরিক্ত বয়সের কারণে গাছগুলো মরে যাচ্ছে। আর এসব গাছ রেঞ্জার আবদুল মতিনের যোগসাজসে স্থানীয় কিছু দুর্বৃত্ত রাতের আধারে কেটে নিয়ে যাচ্ছে। স্থানীয়রা জানায়, বয়োবৃদ্ধ রেঞ্জারের কবল থেকে এসব গাছ রক্ষা করে যদি নিলামের মাধ্যমে সরকার বিক্রি করে তাহলে কোটি টাকার রাজস্ব আদায় করা সম্ভব হবে।
ডুলাহাজারা বনবিট কর্মকর্তা ইব্রাহিম মোহাম্মদ রাজিব বলেন, ডুলাহাজারা বনবিটের অধিনে হাজারো মাদার ট্রি গাছ রয়েছে। এসব মাদার ট্রি’র বয়স অন্তত ২’শ বছরের উপরে হবে। এরমধ্যে এসব গাছ রাতের আধাঁরে চোরের দল কেটে নিয়ে যাচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, প্রতিটি মাদার ট্রি গাছ ৪০-৫০ হাজার টাকায় বিক্রয় করা সম্ভব। যদি মরে যাওয়া এসব গাছ নিলামের মাধ্যমে বিক্রয় করা হলে সরকারের কোটি টাকার রাজস্ব আদায় সম্ভব হতো।

পাঠকের মতামত: