নিজস্ব প্রতিবেদক, চকরিয়া ::
চকরিয়া উপজেলার পুর্ববড় ভেওলা ইউনিয়নে জেলে পরিবারের মাঝে চাউল বিতরণে ওজনে কম দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল রোববার (৩০ জুলাই) সকালে ইউনিয়ন পরিষদ মিলনায়তনে সরকারি বরাদ্দে মানবিক কর্মসুচির আওতায় তালিকাভুক্ত ৫১০ জেলে পরিবারের মাঝে চাউল বিতরণ উদ্বোধন করেন স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফারহানা আফরিন মুন্না।
স্থানীয় লোকজন ও ভুক্তভোগী জেলেরা অভিযোগ করে বলেন, প্রতিজন তালিকাভুক্ত জেলেদের মাঝে ৩০ কেজি চাউল বিতরণ করা সরকারি নিয়ম থাকলেও দেওয়া হয়েছে ২৭ কেজি তিনশত বা চারশ গ্রাম থেকে ২৮ কেজি করে।
এ ঘটনায় বিক্ষুব্ধ জেলে পরিবারের লোকজন গতকাল দুপুরে মিছিল সহকারে তাৎক্ষণিক স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদে গিয়ে চাউল বিতরণে কম দেওয়ার বিষয়টি ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে অভিযোগ করেছেন।
পুর্ববড় ভেওলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফারহানা আফরিন মুন্না চাউল বিতরণে কম দেওয়ার বিষয়টি অবগত হয়েছেন বলে জানান। তিনি বলেন, আমি উদ্বোধনের সময় প্রতিজন জেলেকে ৩০ কেজি করে চাউল বিতরণ করতে নির্দেশ দিই। কিন্তু পরিমাপের সময় নিয়োজিত শ্রমিকরা বালতি মেপে চাউল দিয়েছেন। সেখানে এই ধরনের ঘটনার উদ্ভট হয়েছে। ইউপি চেয়ারম্যান বলেন, কম দেওয়া সব জেলে পরিবারকে পুনরায় চাউল গুলো পুষিয়ে দেওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছি। তিনি দাবি করেন, ইউনিয়ন পরিষদের অধীনে ৫১০ জেলে পরিবারের মাঝে চাউল বিতরণ করা হলেও কম দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ৫ নং ওয়ার্ডের ২০-২৫ জন জেলের চাউল বিতরণ নিয়ে। বিষয়টি আমার কাছে চক্রান্ত মনে হচ্ছে। তাই আমি এব্যাপারে তদন্ত করবো কেন এই ধরনের ঘটনা ঘটেছে।
বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী অভিযোগ করেছেন, প্রথমে চাউল কম দেওয়া আবার প্রতিবাদ করায় পুনরায় কম দেওয়া চাউল পুষিয়ে দেওয়া দুটোই অপরাধ। আমরা ঘটনার সঙ্গে জড়িত যারা তদন্ত সাপেক্ষে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও ) জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জেপি দেওয়ান বলেন, সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক প্রতিজন জেলেকে ৩০ কেজি করে চাউল দিতে হবে। সেখানে কাউকে কম দেওয়ার সুযোগ নেই। ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হবে। এতে জড়িতদের বিরুদ্ধে বিধিমোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পাঠকের মতামত: