ঢাকা,সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪

মাতামুহুরী নদীতে ভাসছিল শিশু আনাছের মরদেহ

চকরিয়ায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মা-বাবাসহ চারজন আটক

এম.জিয়াবুল হক, চকরিয়া ::
কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলায় মাতামুহুরী নদীতে ভাসমান অবস্থায় মোহাম্মদ আনাছ নামের সাতমাস বয়সী এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল বুধবার (৯ নভেম্বর) ভোরে উপজেলার কাকারা ইউনিয়নের মাঝের ফাঁড়ি স্টেশনের অদুরে মাতামুহুরী নদীর পয়েন্ট থেকে শিশুটির লাশ উদ্ধার করা হয়।

নিহত শিশু মোহাম্মদ আনাছ চকরিয়া উপজেলার সুরাজপুর-মানিকপুর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মধ্যম সুরাজপুর এলাকার হোছাইন আলীর ছেলে।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন স্থানীয় সুরাজপুর-মানিকপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আজিমুল হক আজিম। তিনি প্রতিবেশি লোকজন ও শিশুর পরিবারের বরাত দিয়ে বলেন, ‘মাতামুহুরী নদীর তীরবর্তী সুরাজপুর-মানিকপুর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডে বসবাস করে আসছেন হোছাইন আলীর পরিবার। রাতে শিশুটি খুব জোরে কান্নাকাটি করেছিল। এসময় মা শিশুকে শান্ত করতে বুকের দুধও খাওয়ান। একপর্যায়ে শিশুটি ঘুমিয়ে পড়েন।

তিনি আরও বলেন, গতকাল বুধবার ভোরে অদুরে কাকারা মাঝের ফাঁড়ি স্টেশন জামে মসজিদের কয়েকজন মুসল্লি শিশুটিকে মাতামুহুরী নদীতে ভাসমান অবস্থায় দেখতে পায়। ওই শিশুটিকে স্থানীয় লোকজন নদী থেকে ভাসমান অবস্থায় উদ্ধার করেন।

খবর পেয়ে গতকাল সকাল ৯টার দিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন কক্সবাজার জেলা পুলিশের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (চকরিয়া সার্কেল) মো. তফিকুল আলম ও চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) চন্দন কুমার চক্রবতীর নেতৃত্বে একদল পুলিশ।

চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) চন্দন কুমার চক্রবতী বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে শিশুর লাশ উদ্ধার করি। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। কীভাবে শিশুটি নদীতে আসলো তা আমরা তদন্ত করে দেখছি’।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আজিমুল হক আজিম বলেন, শিশু আনাছের মৃত্যুর ঘটনাটি খুবই অমানবিক। আমি ব্যক্তিগতভাবে এ ঘটনায় জড়িতদের শাস্তি চাই। ঘটনার পর থানা পুলিশ গতকাল সকালে নিহত শিশুর বাবা আলী হোছাইন (৩৬), মাতা শাকিলা বেগম (২৬), ফুফু খতিজা বেগম (২৮) ও খালা আখি আক্তারকে (২২) থানায় নিয়ে গেছেন। তারা সবাই রাতে ওই বাড়িতে ঘুমিয়ে ছিল বলে জানিয়েছেন প্রতিবেশিরা।

এব্যাপারে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেছেন সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (চকরিয়া সার্কেল) মো. তফিকুল আলম। তিনি বলেন, রাতে শিশু আনাছ মা-বাবার সঙ্গে এক বিছানায় ঘুমিয়ে ছিলেন। কীভাবে তার মৃত্যু হলো, আবার কীভাবে শিশুর মরদেহ নদীতে ভাসলো এব্যাপারে তাদেরকে (মা-বাবাসহ অন্যদের) জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন বলে আমরা মনে করি। তিনি বলেন, আশাকরি পুলিশ দ্রুতসময়ে ঘটনার রহস্য উৎঘাটন করতে সফল হবেন।

পাঠকের মতামত: