চুরি, ছিনতাই-রাহাজানি আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে চকরিয়া শহরের। চুরের দল প্রতিদিন পৌরশহরের বাসা-বাড়ি, দোকান পাট, অফিস আদালতে দিনে ও রাতের অন্ধকারে হানা দিয়ে নগদ টাকা, দামি ল্যাপটপ, মোবাইলসহ বিভিন্ন মালামাল চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে। আজ ৩ জানুয়ারি কাউন্সিলর মুজিবুল হকের অফিস চুরি হলে টনক নড়ে এলাকাবাসীর।
এসআই গৌতম রায় সরকার জানান, চকরিয়া পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মুজিবুল হকের চিরিংগা সড়কস্থ অফিস চুরির খবর পেয়ে আজ ৩ জানুয়ারি দুপুরে অভিযান চালানো হয়। এসময় দুই চোরকে গোপনে একটি ওয়ার্কশফের পেছনে ঘুমন্ত অবস্থায় গ্রেফতার করে। পরে তাদের স্বীকারোক্তি মোতাবেক নামার চিরিংগা সড়কে একটি চোরাই মালামালের ডিপো আবিস্কার করা হয়। ওইসময় চোরের প্রধান জিয়াবুল হক পালিয়ে যায়। পরে ওই ডিপো থেকে বিপুল পরিমাণ মূল্যবান ইলেকট্রনিক সামগ্রী, জুতা, ফ্যান, মটর, গাড়ি, মোবাইল সেট ও লোহা জাতীয় নতুন মালামাল উদ্ধার করা হয়। চোরের দল বিভিন্ন এলাকা থেকে চুরি করে জিয়াবুলের গুদামে জমা রাখা হয়। পরে সুযোগ বুঝে বিক্রি করে দেন মালামাল গুলো। পুলিশ হন্য হয়ে খুজছে জিয়াবুল হককে। জিয়াবুল হক নামার চিরিঙ্গা মৃত ইব্রাহিমের পুত্র বলে জানা গেছে।
গ্রেফতারকৃত হলেন, ৪নং ওয়ার্ডের সবুজবাগ এলাকার নুর মোহাম্মদ ভূট্রোর ছেলে মোহাম্মদ হাকিম (১৯) ও ৮নং ওয়ার্ডের বাশঁঘাট সড়কের মকবুল আহমদের ছেলে মো: শাহীন (১৭)।
কাউন্সিলর মুজিবুল হক জানান, ৩ জানুয়ারি গভীর রাতে চুরের দল অফিসের দরজার গ্রীল কেটে নগদ ২ লাখ ৩০ হাজার টাকা, দামী মালামাল ও প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র নিয়ে যায়।
ধৃত চোর হাকিম ও শাহীন জানান, জিয়াবুল হকের শেল্টারে পৌরশহরের বাসা বাড়ি, দোকান পাট, ও অফিস আদালত থেকে মুল্যবান মালামাল সামগ্রী চুরি করে তার দোকানে বিক্রি করত।
স্থানীয়রা জানান, জিয়াবুল হক দীর্ঘদিন ধরে চকরিয়া পৌরশহরের বিভিন্ন বাসা-বাড়ি ও দোকানের মালামাল চুরি হওয়া মালামাল গুলো ক্রয় করতেন। তার নেতৃত্বে ১০-১২জনের একটি চোরের দল রয়েছে। প্রতিরাতে তাদের দিয়ে চুরি করান জিয়াবুল। ঈদের দিনে সকালে সাংবাদিকদের অফিস থেকে দুটি ল্যাপটপ ও ক্যামরা চুরি করে নিয়ে যায়।
পাঠকের মতামত: