চকরিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি ঃ
আগামী ১৮ মার্চ দ্বিতীয় দফায় অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কক্সবাজারের চকরিয়ায় মনোনয়ন পত্র দাখিলের শেষদিনে গতকাল সোমবার পর্যন্ত চেয়ারম্যান পদে ৬ জন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩জন এবং পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৮জন প্রার্থী মনোনয়ন পত্র দাখিল করেছেন। উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারি রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে এসব প্রার্থী মনোনয়ন পত্র দাখিল করেন। এ সময় এসব মনোনয়ন পত্র সরাসরি গ্রহন করেন জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা তথা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. বশির আহমদ।
চেয়ারম্যান পদে আওয়ামীলীগের একক প্রার্থী গিয়াস উদ্দিন চৌধুরীর পাশাপাশি স্বতন্ত্র হিসেবে দলটির বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন আরো ৩জন। তারা হলেন হেভিওয়েট প্রার্থী উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি ও শ্রমিক নেতা, ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব ফজলুল করিম সাঈদী, আরেক সহ-সভাপতি মোক্তার আহমদ চৌধুরী ও জেলা ছাত্রলীগ নেতা সাদ্দাম হোসেন মিটু। অন্য দুই স্বতন্ত্র প্রার্থী হলেন মুক্তিযোদ্ধা ও সাংবাদিক এস এম সিরাজুল হক, শ্রমিক নেতা জহিরুল ইসলাম।
মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ৩জন যথাক্রমে বর্তমান মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান) সাফিয়া বেগম শম্পা, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান জাহানারা পারভীন ও জেসমিন আরা জেসি।
পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন সর্বোচ্চ ৮জন। তারা হলেন বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান ও আঞ্চলিক গানের স¤্রাট সিরাজুল ইসলাম আজাদ, আওয়ামীলীগ নেতা যথাক্রমে ছৈয়দ আলম, মকছুদুল হক ছুট্টু, আবু মুছা, যুবলীগ নেতা বেলাল উদ্দিন, হেলাল উদ্দিন, আবদুল ওয়াহেদ, আবদুল্লাহ আল নোমান সবুজ।
আচরণবিধি লঙ্ঘন করে মনোনয়ন পত্র জমা আওয়ামী লীগ প্রার্থীর ঃ
এদিকে আওয়ামীলীগের একক প্রার্থী চকরিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী আজ ১৮ ফেব্রুয়ারী বিকেল তিনটার দিকে মনোনয়ন পত্র জমা দিতে যান চকরিয়াস্থ সহকারি রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে। এ সময় তিনি শতাধিক মোটর সাইকেল ও গাড়ির বহরে হাজারো মানুষ নিয়ে মনোনয়ন পত্র দাখিল করতে গিয়ে আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন বলে অভিযোগ করেছেন প্রধান প্রতিদ্বন্ধি প্রার্থী আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী ফজলুল করিম সাঈদী।
বিদ্রোহী প্রার্থী ফজলুল করিম বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের আচরণবিধিতে স্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে, মনোনয়ন পত্র জমাদানের সময় কোন ধরণের মোটর শোভাযাত্রা বা শোডাউন করা যাবেনা। তাই মাত্র ৫জনকে সাথে নিয়ে আমি মনোনয়ন পত্র জমা দিই। কিন্তু গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী হাজারো মানুষ ও শতাধিক মোটর গাড়ি নিয়ে মনোনয়ন পত্র জমা দিতে গিয়ে আচরণবিধি শুরু থেকেই লঙ্ঘন করেছেন।’
এ বিষয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. বশির আহমদ বলেন, ‘বাইরে কেউ আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন কী-না তা আমার জানা নেই। তবে এখন থেকে আচরণবিধি যাতে প্রার্থীরা মেনে চলেন সেজন্য কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
পাঠকের মতামত: