ঢাকা,শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪

চকরিয়ায় চালের মূল্য বৃদ্ধি ॥ বাজার মনিটরিং জরুরী

মো: সাইফুল ইসলাম খোকন ::
riceচকরিয়ায় কয়েকদিন ধরে চালের দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। এতে করে সাধারণ লোকজনের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে যেতে পারে।  গত ২ সাপ্তাহ ব্যবধানে প্রতিবস্তা প্রতি বেড়েছে ২’শ টাকার অধিক। আগামীতে চালের দাম আরো বৃদ্ধি পেতে পারে। গতকাল চকরিয়া পৌর শহরের বিভিন্ন দোকান ঘুরে দেখা গেছে চালের দামের উর্ধ্বগতি অবস্থা নিরশন করতে দ্রুত বাজার মনিটরিং জরুরী হয়ে পড়েছে। হঠাৎ চালের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় কারণে বিপাকে পড়েছে সাধারণ খুচরা বিক্রেতা ও ক্রেতারা। এক দিনের ব্যবধানে চালের প্রতি বস্তায় বৃদ্ধি পেয়েছে ২৫০-৩০০ টাকা করে। যার ফলে খুচরা বিক্রেতাদের সাথে ক্রেতাদের বাকবিতন্ডা চলছে সর্বত্র।
অনেক বিক্রেতারা জানিয়েছে, নতুন পাল একনো আসেনি। পুরাতন চালের দাম বৃদ্ধির কারণে এ অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। নতুন চাল না আসা পর্যন্ত চালের দাম আরো বাড়তে পারে।
হঠাৎ করে চালের দাম বৃদ্ধিতে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন ক্রেতা বিক্রেতারা। বস্তা প্রতি চালের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় খুচরা বাজারে প্রতি কেজি চালের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে ৫ থেকে ৮ টাকা করে। এতে চরম দূর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ মানুষ।
চকরিয়া উপজেলার কয়েক জন পাইকারী বিক্রয়কারী প্রতিষ্টান সুত্রে জানা গেছে,  চটের বস্তার অজুহাতে দিনাজপুর, রংপুর, বগুড়াসহ বিভিন্ন স্থান অতিরিক্ত দাম দিয়ে চাল কিনে আনতে হচ্ছে। এতে করে সব কিছু মিলিয়ে  চালের দাম বাড়ানো হয়েছে।
চকরিয়া পৌরসভার ব্যবসায়ী কবির হোসেন জানায়,  চটের একটি বস্তার বাজার মূল্য ২০ টাকা, কিন্তু বস্তা প্রতি বাড়ানো হয়েছে সর্বোচ্চ ২০০ টাকা দরে। এতে চকরিয়া উপজেলার পাইকারি ব্যবসায়িদের কোন হাত নেই। কিন্তু বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে পাইকারি ব্যবসায়িদের বিরুদ্ধে। হঠাৎ চালের দাম বৃদ্ধিতে ক্রেতারা যেমন সমস্যায় পড়ছে ঠিক আমাদের সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।
ডুলাহাজারার খুচরা ব্যবসায়ি আবদুল আজিজ জানিয়েছন, একদিনে প্রতিকেজি চালের মূল্য ৫-৭ টাকা করে বৃদ্ধি পাওয়ায় ক্রেতারা বিস্মিত হয়েছেন। অনেকেই চাল ক্রয় না করেই ফিরে গেছেন। কোন যৌক্তিক কারণ ছাড়া চালের মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় ক্রেতারা আমাদের উপর ক্ষিপ্ত হচ্ছেন। পাইকাররি ব্যবসায়িরা মূল্য বাড়িয়ে দেওয়ায় আমাদের মূল্য বাড়াতে হচ্ছে।
মানিকপুর বাজারের ক্রেতা মোহাম্মদ সাইফুল কবির জানিয়েছেন, হঠাৎ মূল্য বৃদ্ধির কারণে আমাদের বিপাকে পড়তে হচ্ছে। আমাদের বাজেটের সাথে সামঞ্জস্য হচ্ছে না এই মূল্য বৃদ্ধি। আমরা চাই প্রশাসন পাইকারী বাজার  তদারকি করলে এ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসতে পারে।
অনেকে দাবী করছে, ধান চাষ বন্ধ ও বেশ কিছূ অনাবাদী জায়গাকে চাষাবাদে উন্নত না করার কারলে এবং  বিভিন্ন ফসলের চাষের কারণে ধান চাষ কমে যাওয়ায় চাল সংকট ও মূল্য বৃদ্ধি পাচ্ছে।
সচেতন মহল মনে করেন যে হারে চালের দাব বৃদ্ধি পাচ্ছে, এতে করে প্রতি কেজি সাধারণ চালের মূল্য ৫০ টাকা থেকে ৫৫ টাকা পর্যন্ত পৌছতে পারে। সরকার চালের মূল্য কমিয়ে না আনলে সাধারণ লোকজনকে চরম মূল্য দিতে হবে।
এ ব্যাপারে চালের বাজারে দ্রুত প্রশাসনের মনিটরিং টিম দিয়ে তদারকী করা না হলে জনগনের কষ্টের দূভোর্গ সরকারের বে কায়দায় পড়তে পারে।

পাঠকের মতামত: