ঢাকা,শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪

চকরিয়ায় চার হাফেজ শিক্ষার্থী নিখোঁজ, ৬দিনেও মেলেনি সন্ধান

এম.মনছুর আলম, চকরিয়া ::  কক্সবাজারের চকরিয়ায় এক সাথে চার হাফেজ শিক্ষার্থী নিখোঁজের অভিযোগ পাওয়া গেছে। নিখোঁজ হওয়ার ৬দিনেও সন্ধান মেলেনি ওই শিক্ষার্থীদের। নিখোঁজ শিক্ষার্থীরা চকরিয়া উপজেলার বিএমচর ইউনিয়নের বহদ্দার কাটা ইসলামিয়া আরবিয়া মাদরাসার হেফজখানার শিক্ষার্থী বলে সূত্রে জানায়।
নিখোঁজ হাফেজ শিক্ষার্থীদের অভিবাবকরা জানায়, কোভিড-১৯ করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতিতে ও অঘোষিত ভাবে লকডাউনে দেশের প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সরকার কর্তৃক বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এরই আলোকে সকল ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্টানও বন্ধ রয়েছে। দেশের এ সংকটময় মুহূর্তে মাদরাসা ও হেফজখানা বন্ধ থাকায় সব শিক্ষার্থীরা তাদের বাড়িতে অবস্থান করে। প্রতিদিনের মতো গত ১০ জুন (বুধবার) সকালের দিকে বহদ্দার কাটা মাদরাসার হেফজখানা পড়ুয়া চার শিক্ষার্থী এক সাথে তাদের স্ব স্ব বাড়ি থেকে খেলাধুলা করার জন্য বের হয়। তারা চারজনই পরস্পর সহপাঠী। ওইদিন সন্ধ্যা পেরিয়ে যাওয়ার পরও ওই চার হাফেজ শিক্ষার্থীরা তাদের বাড়িতে ফেরেনি। এর পর চার শিক্ষার্থীর অভিবাবক ও তাদের আত্মীয়-স্বজনসহ সম্ভাব্য সকল স্থানে খোঁজাখুঁজি করেও তাদের কোনো সন্ধান না পেয়ে প্রত্যেকের পরিবার ১৪জুন চার শিক্ষার্থীর স্ব স্ব নামে চকরিয়া থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। নিখোঁজ হওয়া হাফেজ শিক্ষার্থীরা হলেন, উপজেলার বিএমচর ইউনিয়নের বহদ্দার কাটা এলাকার মো.আবু বক্করের ছেলে মো.তারেকুল ইসলাম (১৪), একই এলাকার মো.কফিল উদ্দিনের ছেলে মো.হানিফ (১৪), হাফেজ নুরুল আমিনের ছেলে ফাহাদ বিন নুর বাপ্পি (১৪) ও মোহাম্মদ আলীর ছেলে তৌহিদুল ইসলাম ইমন (১৪)।
চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. হাবিবুর রহমান বলেন, নিখোঁজ হওয়া চার হাফেজ শিক্ষার্থীদের ব্যাপারে তাদের পরিবার চকরিয়া থানায় সাধারণ ডায়েরি রুজু করেছে। হেফজখানায় পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা পালিয়ে গিয়ে এ ধরণের ঘটনা করে থাকেন। নিখোঁজ হওয়া চার হাফেজ শিক্ষার্থীদের হাতে কোনো মোবাইল নেই। তাই দ্রুত শনাক্ত করা যাচ্ছে না তাদের অবস্থান। এর পরও সম্ভাব্য সব সূত্র ধরে তাদের উদ্ধারে পুলিশ তৎপর রয়েছে বলে তিনি জানান।

পাঠকের মতামত: