ডুলাহাজারা প্রতিনিধি :::
চকরিয়া উপজেলায় ঘুর্ণিঝড় ‘মোরা’র তান্ডবে সর্বাধিক ইউনিয়নে বিদ্যুৎ সংযোগ ৮দিন পরও বিচ্ছিন্ন রয়েছে। কক্সবাজার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জরুরী তত্ত্বাবধানে এ জন দুর্ভোগ নিরসনে সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে আসলেও মাঠ পর্যায়ের ঘুষ বানিজ্যে অতিষ্ঠ সাধারণ গ্রাহক। কিছু দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা-কর্মচারীর ঘুষ বানিজ্যে পল্লী বিদ্যুৎ নামটি এখন সাধারণ মানুষের কাছে বিষ ফোঁড়া। ঘূর্ণিঝড় দুর্যোগের ৮দিন পারেও বিদ্যুতের আলো দেখেনি মালুমঘাট, ডুলাহাজারা, খুটাখালী সহ সর্বাধিক ইউনিয়নের অর্ধাংশ গ্রাহক। টাকা দিলে সংযোগ সংস্কার মিলে অন্যতায় আশ্বাসের বুলি দিয়ে পার করে দিচ্ছে দিনের পর দিন এমনই অভিযোগ বেস কিছু বিদ্যুৎ গ্রাহকের। কিন্তু টাকা দেওয়া হবে জানালে রাত-দিনে খেটে অনায়াসে সমস্যা সমাধান করে দিচ্ছে পল্লী বিদ্যুতের দায়িত্বরতরা। ঘুর্ণিঝড় তান্ডবে অধিক সংখ্যক যংযোগ বিচ্ছন্ন হওয়ায় হয়তো এ সুবিধা নিচ্ছে বলে জানান ডুলাহাজারা ও খুটাখালী ইউনিয়নের স্থানীয় জনসাধারণ।
সরেজমিনে ঘুরে জানা যায়, গিয়ে ঘুষ কর্মকান্ডে ডুলাহাজারা পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের ইনচার্জ গোলাম মোস্তফা ও তার সহকারী ইমরান মোল্লা এর নামদ্বয় উঠে আসছে। এদিকে ইনচার্জের বিভিন্ন সময়ের অনিয়মের কারণে যেকোন সময় মারমুখী সংঘর্ষ হতে পারে বলে জানায় পল্লী বিদ্যুতের প্রতি ক্ষিপ্ত নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় কিছু প্রতিবাদী যুবক। ডুলাহাজারা পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের ইনচার্জ গোলাম মোস্তফা জানায় আমাদের বিদ্যুৎ সংযোগ মেরামত কাজে লোকবল কম বলে চিটাগাং থেকেও লোক পাঠিয়েছে। তবে তারা প্রধান সংযোগ সংস্কারে নিয়োজিত রয়েছে।
চকরিয়া পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের ডিজিএম আসাদ আলী বলেন ঘুর্ণিঝড় মোরা’য় বেশকিছু বিদ্যুৎ খুটি ভেঙ্গে পড়েছে। ওগুলো পুরোপুরি ঠিক হতে আরো কয়কদিন সময় লাগতে পারে। ডুলাহাজারা শাখার কর্মকর্তাদের ঘুষ নেওয়ার ব্যাপারে সত্যতা যাচাই পূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
পাঠকের মতামত: