চকরিয়া প্রতিনিধি:
কক্সবাজারের চকরিয়ায় জনতার গণপিটুনিতে মো. রোকন উদ্দিন (২৬) নামে এক ডাকাত নিহত হয়েছেন। এসময় ওয়াজ উদ্দিন (২৫) নামে আরও এক ডাকাত গুরুতর আগত হয়েছেন। বুধবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে চকরিয়া পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডস্থ আমাইন্যারচর এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে।
নিহত ডাকাত মো. রোকন উদ্দিন উপজেলার পূর্ব ভেওলা ইউনিয়নের সেকান্দর পাড়ার মৃত জাফর আলম মেম্বারের ছেলে। এবং আহত ওয়াজ উদ্দিন ওই ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডস্থ লালপুর ঈদমণি এলাকার শামসুল আলমের ছেলে।
স্থানীয় ও পুলিশ সুত্রে জানা যায়, বেশ কয়েকদিন আগে বিদেশ থেকে দেশে ফিরে চকরিয়া পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা সাহাবউদ্দিন। কয়েকদিন পরই তার বিয়ে হওয়ার কথা রয়েছে। এজন্য তিনি বিদেশ থেকে বেশ কিছু স্বর্ণালংকারসহ দামী জিনিসপত্র নিয়ে এসেছেন। এ খবর পেয়ে সশস্ত্র ৫-৬ জনের একদল ডাকাত আজ ৩ আগষ্ট দিবাগত রাতে সাহাবউদ্দিনের বাড়িতে হানা দেয়। বাড়িতে ডাকাত এসেছে ধারণা করতে পেরে চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করে পরিবারের লোকজন। এসময় আশপাশের এলাকার লোকজন এগিয়ে আসলে অন্য ডাকাতরা পালিয়ে যেতে পারলেও রোকন উদ্দিন ও ওয়াজ উদ্দিনকে ধরে গণপিটুনি দেয় স্থানীয় লোকজন।
চকরিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, গণপিটুনি দেওয়ার পর রাতেই স্থানীয় লোকজন দুইজনকে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসে। এসময় রোকন উদ্দিন মারা যায়। অপর আহত ওয়াজউদ্দিন হাসপাতালে ভর্তি আছে। নিহতের প্রাথমকি সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করা হয়েছে।
চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, গণপিটুনিতে নিহত ও আহতের বিরুদ্ধে থানায় মামলা রয়েছে। নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
নিহত রুকন উদ্দিনের বাবা সাবেক ইউপি সদস্য জাফর আহমদ জানান; তার ছেলে হাইয়েস মাক্রোবাসে হেলপার। ঘটনার রাতে করুন উদ্দিন বাড়ির নিকটবর্তী পৌরসভাস্থ তার খালার বাড়িতে বেড়াতে যায়। সেখান থেকে খুব ভোরে নিজ কাজে যাওয়ার জন্য বাহির হলে পূর্ব থেকে উৎপেতে থাকা এলাকার কিছু সন্ত্রাসী তাকে পিঠিয়ে হত্যা করে। হত্যা করার পর তারা লাশের সাথে একটি অস্ত্র দিয়ে পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ গিয়ে অস্ত্রসহ তাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়।
রুকন উদ্দিনের খালাতো ভাই আমানচর পাড়ার সেলিম উদ্দিন জানান; তার খালাতো ভাই কাজে যাওয়ার জন্য ঘর থেকে বের হওয়ার সাথে সাথে একই এলাকার একজন পৌর কাউন্সিলর মখছুদুল হক মধু’র আত্মীয় মাহবুব আলম, শফি আলম, সেকাব উদ্দিন, মন্ছুর, ছোট, আবছার, সাইফুলসহ আরও বেশ কয়েকজন মিলে রুকন উদ্দিনকে ধরে নিয়ে পিঠিয়ে হত্যা করে।
এলাকাবাসি জানায়’ কিছুদিন আগে কোরালখালী এলাকার নইব্যাচোরা নামের এক গরু চোরের খামার থেকে চারটি চোরাই গরু পুলিশকে খবর দিয়ে উদ্ধার করে দেন নিহত রুকন উদ্দিন। এতে নইব্যা চোরা ক্ষিপ্ত হয়ে তার লোকজন দিয়ে রুকন উদ্দিনকে হত্যা করেছে এলাকাবাসীর ধারণা।
পাঠকের মতামত: