মনির আহমদ, কক্সবাজার :: চকরিয়ার ফাসিয়াখালী ইউনিয়নের ভাঙ্গারপাড়ায় স্বামী পরিত্যক্ত নারীকে ধর্ষণের অভিযোগে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা হয়েছে। ভিকটিম জোসনা বেগম (৩৯) বাদী হয়ে তার মামাত ভাই সহ ৪ জনের বিরোদ্ধে দায়ের করা মামলা রেকর্ড হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা চকরিয়া থানার এসআই মাইনুদ্দীন তালকুদার। মামলা নং ৩২/২৪ আগষ্ট ২০২২।
মামলার আসামীরা হচ্ছে চিরিঙ্গা ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের গিয়াসুদ্দিনের পুত্র আজিজ (৩৬), মফিজ উদ্দীনের পুত্র তারেক (৩০),ফিরোজ আহমদের পুত্র ইউনুস প্রকাশ পুতিয়া (৩৫), এবং ভিকটিমের প্রতিবেশী ফাসিয়াখালী ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ড ভাঙ্গারপাড়ার বেলাল উদ্দীনের পুত্র মোং তারেক (২৩)।
মামলার সুত্রে জানা যায়, মামলার ভিকটিম চকরিয়া উপজেলার ফাসিয়াখালী ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের ভাঙ্গারপাড়ার মোহাং ইউনুচের স্ত্রী। স্বামী অপর এক নারীকে বিয়ে করে অন্যত্র বসবাস করায় ভিকটিম এক কন্যা শিশু ও দুই ছেলে শিশু সন্তান নিয়ে স্বামী পরিত্যক্ত হয়ে বাড়ীতে একা বসবাস করছিলেন।
প্রতিদিনের মত ২২ আগষ্ট রাতে ঘুমিয়ে পড়িলে আসামীঘন কৌশলে দরজা খুলিয়া বাড়ী ঢুকে গলায় ছুরি ধরে হত্যার হুমকী দিয়ে একেএকে ৪ জনে মিলে ধর্ষন করে। কথা বার্তা ও মোবাইলের আলোতে চিনতে পারে আসামীদের একজন তার আপন মামাত ভাই তারেক। তারা চলে যাবার সময় শোরচিৎকারে প্রতিবেশীরা এসে ভিকটিমকে উদ্ধার করে চকরিয়া থানায় নিয়ে যায়। থানা পুলিশ ভিকটিমকে ওয়ান ষ্টপ ক্রাইসিস সেন্টারের মাধ্যমে আইনি প্রক্রিয়া শেষে ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন (সংশোধিত ০৩) এর ৯(১)৩০ ধারায় মামলা রেকর্ড করেন।
উল্লেখ্য আসামীগন একদল সংঘবদ্ধ অপরাধী চক্র। একেকজন ডজন মামলার আসামী। ১ নং আসামি আজিজের বিরোদ্ধে জিআর সহ এক ডজন, ২ নং আসামী মফিজের পুত্র ভিকটিমের মামাত ভাই তারেকের বিরোদ্ধে ব্যাংক ডাকাতি সহ অসংখ্য মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছে চকরিয়া থানার পুলিশ।
চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) চন্দন কুমার চক্রবর্তি মামলার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি আসামীদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে বলে জানান।
পাঠকের মতামত: