এম.জিয়াবুল হক, চকরিয়া ::
চকরিয়া উপজেলার বন্যাদুর্গত জনপদ সুরাজপুর-মানিকপুর ইউনিয়নে খুরা রোগের প্রাদুর্ভাব ছড়িয়ে পড়েছে। গত এক সপ্তাগে রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে অন্তত ১২টি গৃহ পালিত গরু। সরকারি হিসেবে ১২টি গরু মারা গেছে বলে দাবি করা হলেও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা জানিয়েছেন মৃত্যুর সংখ্যা আরো বাড়তে পারে। অপরদিকে খুরা রোগে আক্রান্ত হয়েছে ইউনিয়নের প্রায় তিন শতাধিক গরু।
অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের অনুরোধে শনিবার দুর্গত এলাকায় রোগ নিরূপন ও আক্রান্ত গরুর চিকিৎসা কার্যক্রম শুরু করেছেন উপজেলা প্রাণী সম্পদ বিভাগের একটি মেডিকেল টিম। উপজেলা প্রাণী সম্পদ বিভাগের ভেটেরিনারী সার্জনের নেতৃত্বে ৯ সদস্যের একটি মেডিকেল টিম এদিন সুরাজপুর-মানিকপুর ইউনিয়নে রোগে আক্রান্ত অন্তত তিন শতাধিক গরুর চিকিৎসা করেছে বলে জানিয়েছেন ভেটেরিনারী সার্জন ডা: ফেরদৌসী আকতার।
সুরাজপুর-মানিকপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আজিমুল হক আজিম জানিয়েছেন, গত সপ্তাহে টানা ভারী বর্ষণের ফলে মাতামুহুরী নদীতে পাহাড়ি ঢল নামে। ওইসময় ইউনিয়নের বেশির ভাগ এলাকা পানিতে তলিয়ে যায়। এতে জনগনের পাশাপাশি গৃহপালিত গরু ছাগল এবং হাঁস মুরগীও পানিতে নিমজ্জিত হয়। ইউপি চেয়ারম্যান বলেন, বানের পানি এলাকা থেকে নেমে যাওয়ার পরপর কয়েকদিন ধরে ইউনিয়নের বেশির ভাগ এলাকায় খুরা রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। এ অবস্থার কারনে এলাকার অন্তত ৩০ থেকে ৪০টি গৃহ পালিত গরু মারা গেছে। ঘটনাটি চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা প্রাণী সম্পদ বিভাগকে জানানো হলে শনিবার দুর্গত এলাকায় চিকিৎসা কার্যক্রম শুরু করেন মেডিকেল টিম।
চকরিয়া উপজেলা প্রাণী সম্পদ বিভাগের ভেটেরিনারী সার্জন ডা: ফেরদৌসী আকতার বলেন, বন্যার পরপর সুরাজপুর-মানিকপুর ইউনিয়নের একাধিক এলাকায় খুরা রোগের প্রাদুর্ভাব ছড়িয়ে পড়ে। এতে করে ওই এলাকার বেশির ভাগ গরু আক্রান্ত হয়। তারমধ্যে ১২টি গরু মারা গেছে বলে ক্ষতিগ্রস্থরা আমাদের কাছে অবহিত করেছেন। শনিবার উপজেলা প্রাণী সম্পদ বিভাগের ৯ সদস্যের একটি মেডিকেল টিম দুর্গত এলাকা পৌঁছে আক্রান্ত গরুর চিকিৎসা শুরু করেছে। তিনি বলেন, আমরা ওই এলাকার প্রায় তিন শতাধিক রোগে আক্রান্ত গরুর চিকিৎসা দিয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি উন্নতির দিকে। তারপরও পরিস্থিতি পর্যবেক্ষনে মনিটরিং অব্যাহত রয়েছে। #
পাঠকের মতামত: