চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারা ইউনিয়নের ডুমখালী এলাকায় ধার দেয়া টাকা ফেরত চাইতে গিয়ে মোহাম্মদ হোসেন মাহমুদ খুনের ঘটনায় আসামি পক্ষের বিরুদ্ধে ফের নতুন কারসাজি শুরু করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার দিন ৯ ফেব্রুয়ারী নিহতের লাশ নিয়ে পরিবার সদস্যরা থানা ও জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে নানা ধরণের ঝামেলায় থাকলেও হত্যার ঘটনায় ঘটনাস্থল থেকে গ্রেফতারকৃত আসামি আহমদ হোসেন প্রকাশ ভেট্টুর বাড়িতে একইদিন দুপুরে হামলার ঘটনা দেখিয়ে ভেট্টুর স্ত্রী জন্নাত মাওয়া সবুজ বাদি হয়ে চকরিয়া উপজেলা সিনিয়র জুড়িসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে বাদি পক্ষের বিরুদ্ধে মামলা করেছে। মামলার এজাহারে বাদি বাড়িতে হামলা ও লুটপাটের ঘটনায় দশ লাখ টাকার ক্ষতিসাধনের অভিযোগ তুলেছেন।
গত ২২ ফেব্রুয়ারী উপজেলা আদালতে দায়ের করা মামলাটিতে আসামি করা হয়েছে নিহতের বাবা ও হত্যা মামলার বাদি জাকের আহমদ, নিহতের ভাই আহমদু, মীর আহমদ, নুর মোহাম্মদ ও নিকট আত্মীয় নাছির উদ্দিন, জুবাইর আহমদ, রাসেল উদ্দিন, জল উদ্দিন, বাদি জাকের আহমদের স্ত্রী হাজেরা খাতুন, মেয়ে নুর আয়েশা ও আয়েশা বেগমকে। এছাড়াও মামলায় অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে আরো ৮-১০জনকে।
নিহত মোহাম্মদ হোসেন ওরফে মাহমুদের বাবা জাকের আহমদ (৬০) ঘটনার দিন ৯ ফেব্রুয়ারী সকালে তার ছেলেকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করার পর তিনিসহ পরিবার সদস্যরা লাশ নিয়ে থানা ও জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে দৌড়াদৌড়িতে ছিলেন। কিন্তু ওইদিন দুপুরে আসামি ভেট্টুর বাড়িতে হামলা ও লুটপাটের নিছক সাজানো ঘটনা দেখিয়ে উল্টো আমার পরিবারকে হয়রানি করতে এবং হত্যা মামলাটি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে কৌশলের আশ্রয় নিয়ে গত ২২ ফেব্রুয়ারী চকরিয়া উপজেলা আদালতে আসামি ভেট্টুর স্ত্রী জন্নাত মাওয়া সবুজ বাদি হয়ে একটি নালিশী মামলা দায়ের করেছেন।
জাকের আহমদ অভিযোগ তুলেছেন, আমার ছেলে মাহমুদকে খুনের ঘটনায় ঘটনাস্থল থেকে পুলিশের হাতে গ্রেফতার হওয়া আসামি ভেট্টু ছাড়া আমি মামলায় অন্য কাউকে আসামি করিনি। আমি নিরাপরাধ কোন ব্যক্তিকে হয়রানি করতে চাইনি। কিন্তু আসামি ভেট্টুর স্ত্রী অসৎ উদ্দেশ্যে পরিকল্পিতভাবে ঘটনা দেখিয়ে উল্টো আমার পরিবার সদস্যদেরকে জড়িয়ে হামলা ও লুটপাটের ঘটনায় মামলার আসামি করেছে। এ ধরণের কোন ঘটনা ওইদিন আদৌ হয়েছে কিনা তা সুষ্ঠভাবে তদন্তের জন্য প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট মহলের কাছে হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
উল্লেখ্য যে, গত ৯ ফেব্রুয়ারী সকালে উপজেলার ডুলাহাজারা ইউনিয়নের ডুমখালী এলাকায় ছুরিকাঘাতে খুন হন মোহাম্মদ হোসেন ওরফে মাহমুদ। তাৎক্ষনিক খবর পেয়ে চকরিয়া থানার ওসি তদন্ত মো.কামরুল আজম ও এসআই জাহাংগীর আলমের নেতৃত্বে পুলিশের একটিদল ঘটনাস্থলে পৌঁছে জনতার সহায়তায় গুরুতর আহতবস্থায় ঘটনার সাথে জড়িত আহমদ হোসেন প্রকাশ ভেট্টুকে গ্রেফতার করেন। নিহত মাহমুদ স্থানীয় ডুমখালী গ্রামের জাগের আহমদ প্রকাশ জহির আহমদের ছেলে। অন্যদিকে গ্রেফতারকৃত ভেট্টু একই গ্রামের মৃত আলতাজ আহমদের ছেলে। #
পাঠকের মতামত: