এম.জিয়াবুল হক,চকরিয়া :: এবার করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের প্রভাবে কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার বিভিন্ন জনপদে ঘরবন্দি থাকা কর্মহীন শ্রমজীবি মানুষের ঘরে ঘরে খাদ্য সামগ্রী নিয়ে উপস্থিত হয়েছেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সহসভাপতি আলহাজ ফজলুল করিম সাঈদী। গতকাল মঙ্গলবার ৩১ মার্চ সকালে তিনি ডুলাহাজারা ইউনিয়নের রিংভং এলাকায় সরকারি গাড়িতে খাদ্য সামগ্রী নিয়ে উপস্থিত হন। এরপর স্থানীয় মেম্বার রফিক উদ্দিন ও আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীদের মাধ্যমে এলাকার শ্রমজীবি দু:স্থ মানুষের ঘরে ঘরে গিয়ে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেন। এরপর ডুলাহাজারা ইউনিয়নের কয়েকটি এলাকায় খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেন গরীব মানুষের মাঝে। কিছু পরিমাণ খাদ্য সামগ্রী স্থানীয় ইউপি সদস্যকে তত্ত্বাবধানে দিয়ে ঘরে ঘরে পৌঁছে দেওয়ার নির্দেশ দেন।
অপরদিকে একইদিন চকরিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফজলুল করিম সাঈদীর পক্ষথেকে হারবাং ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় শ্রমজীবি মানুষের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়। যুবলীগ নেতা আবদুল আলম হারবাং ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের গরীব পরিবার দেখে দেখে তাদের ঘরে এসব খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দেন। এদিন উপজেলার দুর্গম ইউনিয়ন বমুবিলছড়িতে শতাধিক শ্রমজীবি ও গরীব পরিবারের জন্য খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দেন উপজেলা চেয়ারম্যান।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনার আলোকে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের আশঙ্কায় থাকা কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার ১৮টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা এলাকার অচ্ছ্বল ও দরিদ্র পরিবারের মানুষের জন্য ব্যক্তিগত উদ্যোগে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ অব্যাহত রেখেছেন চকরিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ ফজলুল করিম সাঈদী।
চকরিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফজলুল করিম সাঈদী ব্যক্তিগত উদ্যোগে ২৭ মার্চ শুক্রবার থেকে প্রতিদিন উপজেলার তিনশতাধিক মানুষের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করে আসছেন।
জানা গেছে, করোনা ভাইরাসের প্রভাবের কারণে সরকারি নির্দেশে কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলা ও পৌরসভা এলাকায় বেশিরভাগ শ্রমিকজীবি মানুষ ঘরবন্দি হয়ে থাকায় বেশি বেকায়দায় পড়েছেন। অপরদিকে কাঁচামাল ও মুদির দোকান ছাড়া উপজেলার প্রত্যন্ত জনপদের দোকান-পাটগুলোও বন্ধ রয়েছে। এই অবস্থায় বন্ধ হয়ে গেছে দিনমজুর, রিক্সাচালক, ইজিবাইক টমটম চালকসহ হতদরিদ্র মানুষগুলোর রুটি-রুজির ব্যবস্থা।
মুলত করোনা ভাইরাসের এই পরিস্থিতিতে কর্মহীন হয়ে বাড়িতে বন্দি হয়ে পড়া মানুষ যাতে খাবার নিয়ে কোন সংকটে না পড়েন সেজন্য এখন থেকে প্রতিদিন ৩০০ পরিবারের কাছে নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী হিসেবে তিন কেজি চাল, দুই কেজি আটা ও এক কেজি করে মসুর ডাল বিতরণের উদ্যেগ নিয়েছেন উপজেলা চেয়ারম্যান ফজলুল করিম সাঈদী।#
পাঠকের মতামত: