নিজস্ব প্রতিবেদক, চকরিয়া :: কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার পূর্ব বড় ভেওলা ৪নং ওয়ার্ড চরপাড়া পূর্ব বিলে কালভার্টের মুখ খুলে দিয়ে, দীর্ঘদিনের বন্ধ থাকা কালভার্টের মুখ খুলে পানি চলাচলের ব্যবস্থা করলেন চকরিয়া উপজেলা প্রশাসন। ৬ সেপ্টেম্বর (মঙ্গলবার) সকালে ইউএনও জেপি দেওয়ানের নির্দেশনায় স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ফারহানা আফরিন মুন্না কালভার্টের মুখ খুলে দিয়ে পানি চলাচলের ব্যবস্থা করেন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ওই সব এলাকায় স্থায়ী জলাবদ্ধতার কারণে বর্ষা মৌসুমে চরম দুর্ভোগে পড়ে এলাকাবাসী।
স্থানীয় এলাকাবাসীর অভিযোগ, স্থানীয় মৃত ফকির মোহাম্মদের পুত্র আবু ছৈয়দ কালভার্টের মুখ ভরাট করে পানির প্রবাহ বন্ধ করে দিয়েছিল।
স্থানীয় কৃষক মোহাম্মদ হোসেন বলেন, পানি চলাচলে প্রতিবন্ধকতার কারণে চাষাবাদ নিয়ে চরম দুর্ভোগে ছিলেন অন্তত দুইশতাধিক কৃষক। এতে কৃষকদের মৌসুমি ফসল উৎপাদন মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়। বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টির পানি নিষ্কাশন না হওয়ার ফলে উঁচু জায়গা পানিতে ডুবে রাস্তাঘাট ও গাছপালার ক্ষতি হয়।
অপরদিকে পানির চলাচলের পথ বন্ধ করে দিয়ে দেয়াল নির্মান করা আবু ছৈয়দের কাছে বক্তব্য জানতে ফোনে সংযোগ না পাওয়ায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে পুর্ববড় ভেওলা ইউপি চেয়ারম্যান ফারহানা আফরিনুন্না বলেন, সরকার কৃষকদের নানাভাবে কৃষি উৎপাদনে উৎসাহিত করে। সার, বীজ, অর্থ প্রণোদনা হিসেবে কৃষকদের হাতে তুলে দেয়। চাষাবাদ ও পানি নিষ্কাশনের জন্য মরা খালগুলো পুনঃখনন করতে কোটি কোটি টাকা খরচ হয়েছে। অথচ ইউনিয়নের বিভিন্ন জায়গায় কালভার্টের সামনের অংশ ভরাট করে বাড়িঘর নির্মাণ ও বাঁধ দিয়ে পানির প্রবাহ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এতে চরম বিপাকে পড়েছেন কৃষকেরা। মৌসুমের শুরুতে যখন চাষাবাদের জন্য পানির প্রয়োজন তখন প্রতিবন্ধকতার জন্য পানি স্বাভাবিকভাবে প্রবেশ করতে পারে না। আমি ৪টি পুলে ও কালভার্টের মুখ খুলে পানি চলাচলের ব্যবস্থা করেছি।
এ ব্যাপারে চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জেপি দেওয়ান বলেন, পানি নিষ্কাশন বন্ধের বিষয়ে অভিযোগ পাওয়ার পরে সরেজমিনে যায়। পানি চলাচলে প্রতিবন্ধকতা তৈরি হওয়া স্থান থেকে কালভার্ট পর্যন্ত ড্রেন করে, পানি নিষ্কাশনের জন্য প্রয়োজনী ব্যবস্থা নিতে স্থানীয় চেয়ারম্যানকে নির্দেশনা দিই।
পাঠকের মতামত: