এম.জিয়াবুল হক, চকরিয়া :: জনসেবার জন্য প্রশাসন, সরকারের জনপ্রশাসন মন্ত্রানালয়ের জনকল্যাণ মূলক এই প্রবাদটি সত্যি প্রমাণিত করেছেন কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নুরুদ্দিন মুহাম্মদ শিবলী নোমান। তিনি করোনা সংক্রমণে কর্মহীন চকরিয়া উপজেলার ২০জন সংবাদপত্র হকারের পাশে দাঁিড়য়েছেন। খবরা-খবর নিয়েছেন তাদের জীবন-জীবিকার। হাতে তুলে দিয়েছেন খাদ্য সামগ্রী।
জানা গেছে, মহামারী করোনার কারণে কর্মহীন হয়ে পড়েছেন কক্সবাজারের চকরিয়ায় মাঠপর্যায়ে পত্রিকা বিক্রেতা ২০ জন সংবাদপত্র হকার। গণপরিবহন থেকে দোকানপাট সবকিছু বন্ধ থাকায় বন্ধ হয়ে গেছে পত্রিকা ব্যবসা। এতে একসপ্তাহ ধরে চরম খাদ্যসংকটে পড়েছেন ২০ জন হকারের পরিবার। এই অবস্থায় খবর পেয়ে চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নূরুদ্দীন মুহাম্মদ শিবলী নোমান এসব হকারের পাশে দাঁড়িয়েছেন। খাদ্য সহায়তা পেয়ে এতে এসব হকার পরিবারে হাসি ফুটেছে।
চকরিয়া সংবাদপত্র হকার সমিতির সভাপতি মো.মনির উদ্দিন বলেন, ‘পত্রিকা বিক্রি করতে না পারায় আমাদের পরিবারে চরম খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে। বিষয়টি আমরা সাংবাদিকের মাধ্যমে উপজেলা প্রশাসন এবং জনপ্রতিনিধিদের জানাই। খবরটি শোনা মাত্র ইউএনও তাৎক্ষণিক আমাদেরকে পৃথকভাবে চাল, ডাল, তেল, পেঁয়াজসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী আমাদের হাতে তুলে দেন। এতে অন্তত বেশ কয়েকদিন আমাদের পরিবার সদস্যদের খাবার নিয়ে দুশ্চিন্তা করতে হবে না। পাশাপাশি সাংবাদিক ভাইদেরও ধন্যবাদ জানাচ্ছি দুর্দিনে আমাদের পাশে থাকার জন্য।’
ইউএনও নূরুদ্দীন মুহাম্মদ শিবলী নোমান বলেন, ‘কর্মহীন ২০ জন হকারের দুর্দিনের সংবাদটি সাংবাদিকের মাধ্যমে জানার পর পরই ত্রাণের ব্যবস্থা করা হয়। একইসঙ্গে তারা যাতে নিয়মিতভাবে সরকারী সহায়তা পায় সেজন্য পৌরসভার মেয়রকেও বিশেষ ভিজিএফ কার্ডের ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে। যাতে হকারগুলোর পরিবার সদস্যরা একবেলাও অভুক্ত না থাকেন।’ ##
পাঠকের মতামত: