চকরিয়া পৌরসভা ৬নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি হামিদুর রশিদ (৪২)কে তার ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠান থেকে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়ার ১৭ঘন্টা পর গতকাল ২২অক্টোবর বিকাল ৩টায় উপজেলার চিংড়িজোন চরণদ্বীপ কেরাইনঘ্যাঘোনা এলাকা থেকে পরিবারের সদস্য ও স্থানীয় জনতার সহায়তায় উদ্ধার করা হয়েছে। অপহৃত যুবলীগ নেতা হামিদ পৌরসভার উত্তর বিনামারা (ভাঙ্গারমুখ) এলাকার মৃত আবদুল গনি মেম্বারের পুত্র।
অপহৃত যুবলীগ নেতা হামিদুর রশিদের ছোট ভাই কাউছার জানান, হামিদুর রশিদকে একদল অপহরণকারী একটি গাড়ীতে করে গত ২১অক্টোবর রাত ১০টার দিকে ফাসিয়াখালীর হাসেরদীঘি ষ্টেশনস্থ নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে অপরহরণ করে নিয়ে যায়। তাকে বিভিন্ন স্থানে খোজাখুজির এক পর্যায়ে পরিবারের সদস্যদের কাছে ফোন আসে ৩লাখ টাকা মুক্তি পনের জন্য। এবিষয়টি থানা পুলিশকে অবহিত করলে পুলিশ তাদেরকে লিখিত অভিযোগ দেওয়ার জন্য বলেন। অভিযোগ লিখার এক পর্যায়ে বিকাল ২টার দিকে ফোন আসে অপহৃত যুবলীগ নেতা হামিদের। ১মিনিটের কথায় পূর্ণাঙ্গ ঠিকানা বলে দেওয়ার পর পরিবারের সদস্যরা ও স্থানীয় জনতা একত্রিত হয়ে অপহরণকারীদের কবল হতে তাকে মুমুর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান।
অপহৃত যুবলীগ নেতা হামিদুর রশিদ জানান, পৌরসভা ৬নং ওয়ার্ডের ভরামুহুরী এলাকার মৃত ফকির মোহাম্মদের পুত্র নাজেম উদ্দিনের নেতৃত্বে একটি ল্যান্ডক্রোজার ও ২টি মোটর সাইকেল করে হাসেরদীঘি ষ্টেশন থেকে তাকে অপরহরণ করে চিরিংগা ইউনিয়নের চরণদ্বীপ কেরাইনঘ্যাঘোনা নামক চিংড়িজোন এলাকায় নিয়ে যায়। সেখানে একটি বাসায় আটকিয়ে কাধে অস্ত্র ধরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে। মারধরের এক পর্যায়ে মোবাইলে ফোন করে ৩লাখ টাকা মুক্তিপন এনে না দিলে আজ রাতে হত্যা করার হুমকি দেয়। এসময় তার পকেটে থাকার নগদ ৮হাজার টাকা এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে রক্ষিত ৭৫হাজার টাকা ও ব্যবহৃত ২টি মোবাইল সেট ছিনিয়ে নেয়। অপহরণ করে নিয়ে যাওয়া স্থানে থাকা কিলার ১৬টি মামলার পলাতক আসামী জনৈক সবুজ তাকে বলেন, ইতিপূর্বে আরো ৫জনকে সেখানে অপহরণ করে নিয়ে গিয়ে একই কায়দায় মুক্তিপন আদায় করেছেন।
চকরিয়া থানার ওসি মো: জহিরুল ইসলাম খান বলেন, যুবলীগ নেতা হামিদুর রশিদকে অপহরণের বিষয়ে অবগত হয়েছেন এবং তার ভাই বাদী হয়ে থানায় লিখিত এজাহার দিয়েছেন। ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান চলছে বলে জানান।
পাঠকের মতামত: