ঢাকা,শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪

চকরিয়ায় এতিমখানার টাকা আত্মসাত, ঘটনা তদন্তে ইউএনও

এম.জিয়াবুল হক, চকরিয়া :: কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার একটি মাদরাসা কাম এতিমখানায় শিক্ষার্থীদের অভিভাবককে মৃত দেখিয়ে এতিমখানার অর্থ আত্মসাতের ঘটনায় প্রশাসনিক তদন্ত শুরু হয়েছে। স্থানীয় এলাকাবাসির লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে গতকাল বুধবার (৮জুন) সকালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জেপি দেওয়ান ঘটনাস্থল সুরাজপুর-মানিকপুর ইউনিয়নের সুরাজপুর ভিলেজার পাড়াস্থ ইসলামীয়া হেফজখানা ও এতিমখানা পরিদর্শনপুর্বক তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করেছেন। এসময় এতিমখানার নানা ধরণের অনিয়ম অসঙ্গতির ব্যাপারে তিনি সত্যতা পেয়েছেন।

অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, ২০০৫ সালে স্থানীয় পাঁচজন শিক্ষানুরাগী ব্যক্তির উদ্যোগে ও অর্থায়নে সুরাজপুর ইসলামীয়া হেফজখানা ও এতিমখানা প্রতিষ্টা করা হয়। পরে প্রতিষ্টানটি সমাজসেবা অধিদপ্তর থেকে ২০১৪সালে নিবন্ধিত (নিবন্ধন নং কক্স ৪৩৭/১৪ ) হয়। এরপর থেকে একই প্রতিষ্ঠানের (মাদ্রাসার) নিয়মিত শিক্ষার্থীদেরকে এতিমখানার ছাত্র দেখিয়ে তাদের পিতা-মাতা জীবিত থাকলেও ৬৪ ছাত্রের নামে সংশ্লিষ্টরা মৃত্যুসনদ দেখিয়ে বিগত ৭ বছর ধরে সরকারি ক্যাপিটেশনের প্রায় কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন।

স্থানীয় এলাকাবাসীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জেপি দেওয়ান, উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা আমজাদ হোসেনকে সাথে নিয়ে অভিযোগের তদন্ত করেন। ওসময় তিনি অনিয়ম আত্মসাতের সত্যতা উদঘাটন করায় ধন্যবাদ জানিয়েছেন সুরাজপুর-মানিকপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতি রুস্তম শাহরিয়ার। তিনি বলেন, এতিমের নামে চলতি ২২-২৩ অর্থ বছরের সরকারি ক্যাপিটেশনের বরাদ্দকৃত প্রায় ১৬লাখ টাকা বন্ধ, আত্মসাতকৃত আগের অর্থ উদ্ধার ও অভিযুক্তদের বিরুদ্ধেআইনী ব্যবস্থা নেয়া এখন এলাকাবাসীর গণদাবী।

চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জেপি দেওয়ান বলেন, বিষয়ের আলোকে স্থানীয় এলাকাবাসির লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে ঘটনাস্থলে সরেজমিন তদন্ত করা হয়। তদন্তকালে আগের তালিকার ক্যাপিটেশন পাওয়া ৬৪জন শিক্ষার্থীর মধ্যে একজন মাত্র এতিম ছাত্রও উপস্থিত পাওয়া যায়নি। তিনি বলেন, তদন্তকালে উপস্থিত ৮৬জন ছাত্রের মধ্যে যাদেরকে এতিম দেখানো হয়েছে তাদের অভিভাবকরাও (পিতা) উপস্থিত হয়ে এসব শিক্ষার্থী যে এতিম নয় মর্মে আপত্তি তুলেছে। তাই উল্লেখিত বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।

পাঠকের মতামত: