এম জিয়াবুল হক, চকরিয়া :: কক্সবাজারের চকরিয়ায় জাবেদ গ্রুপ নামের একটি কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধি মাহমুদুল হককে (২৭) ইয়াবা দিয়ে ফাঁসাতে গিয়ে পুলিশের কাছে ধরা পড়ল এক যুবক। গত বুধবার রাতে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। আজ বৃহস্পতিবার গ্রেপ্তারকৃত যুবককে আদালতের পাঠানো হয়।
ভুক্তভোগী চট্টগ্রাম জেলা সাতকানিয়া উপজেলার চিববাড়ী ইউনিয়নের বজল আহামদের ছেলে। গ্রেপ্তারকৃত আসামি ও তাঁর সহযোগীরা তাঁর ব্যাগে ইয়াবা ডুকিয়ে তাঁকে ফাঁসানোর চেষ্টা করেন।
এসময় ৪০পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ আব্দুল মুবিন (২১) নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়। মুবিন উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের হাজিয়ান গ্রামের মো. জকরিয়ার ছেলে।
এ ঘটনায় পুলিশ বাদি হয়ে আব্দুল মুবিনকে প্রধান আসামী করে ৪জনের বিরুদ্ধে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করেছেন। মামলার অন্য আসামীরা হলেন হাজিয়ান গ্রামের মৃত আবুল কাশেমের ছেলে মো. জুবায়ের (৩৫), একই গ্রামের বেলাল উদ্দিনের ছেলে মো. নিশাত (২২) ও এনামুল হকের ছেলে মো. রাকিব (১৯)। মামলায় দুজনকে অজ্ঞাত আসামী দেখানো হয়েছে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, বুধবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে মাহমুদুল হক হাজিয়ান গ্রামে দেলোয়ার হোসেন নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে বেড়াতে যান। রাত সাড়ে ৯টার দিকে তিনি ব্যাটারীচালিত টমটমযোগে ওই বাড়ি থেকে চিরিংগা পৌর শহরের ভাড়া বাসায় ফিরছিল। পথিমধ্য আব্দুল মুবিন, মো. জুবায়ের, মো. নিশাত ও মো. রাকিব গতিরোধ করে মাহমুদুল হকের সঙ্গে থাকা ব্যাগে ছিনিয়ে নেন।
মাহমুদুল হক বিষয়টি স্থানীয় ইউপি সদস্য হাজী নুর মোহাম্মদকে অবগত করেন। পরে রাত সাড়ে ১১টার দিকে ব্যাগে ৪০টি ইয়াবা ট্যাবলেট ব্যাগটি ফেরত দেন। পরে স্থানীয় লোকজন পুলিশকে খবর দিলে রাত ১টার দিকে আব্দুল মুবিনকে গ্রেপ্তার করে।
চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) চন্দন কুমার চক্রবর্তী বলেন, ‘গ্রেপ্তারকৃত আসামীকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। মামলার অন্য আসামীদের ধরতে পুলিশ কাজ করছেন। পুলিশ দীর্ঘদিন এ গ্যাং খুঁজছিল। অপরাধীরা যত কৌশলী হোক কেউই পার পাবে না।
পাঠকের মতামত: