কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলায় নির্বাচন কমিশন কর্তৃক ঘোষিত তফশীল অনুযায়ী ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২৩ এপ্রিল। দলীয় প্রতীকে নির্বাচনের আশায় বুক বেঁধেছেন রাজনৈতিক দলের বিভিন্ন নেতারা। দলীয় নেতা পরিচয় দিলেও দলে ও মাঠে কতটুকু গ্রহণ যোগ্যতা আছে, তা প্রমানের লড়াইও বেটে এ নির্বাচনে। প্রতীক ফেলে জয় নিশ্চিত এমন বিশ্বাসে তোড়জোড় শুরু করেছেন বিএনপি-আওয়ামীলীগের একাধিক ও সতন্ত্র প্রার্থীরা।
চকরিয়া উপজেলার ১৮ ইউনিয়নে বিএনপি-আওয়ামীলীগের একাধিক প্রার্থী দলীয় মনোনয়ন পেতে নিজ নিজ দলের শীর্ষ নেতাদের দ্বারে দ্বারে ধরনা দিচ্ছেন কেউ কেউ। দীর্ঘদিন ধরে বিএনপি ও আওয়ামীলীগের উপজেলা, ইউনিয়ন ও ওযার্ড পর্যায়ে সম্মেলন সম্পন্ন হয়নি। এ নিয়ে দলের ভিতরে বিভিন্ন চাপা উত্তেজনাও বিরাজ করেছে।
দেখা গেছে, বিএনপি, আওয়ামীলীগের একাধিক ইউনিয়ন সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও যুবদল, যুবলীগের অনেক নেতারা নির্বাচন করতে মরিয়া হয়ে এখন মাঠে নেমেছে। তবে বিএনপির আদৌ কোন ইউনিয়নের সঠিত প্রার্থীদের তালিকা প্রস্তুত করতে পারেনি দলের নীতি নির্ধারকরা। কিন্তু দলীয় সুত্রে দাবী করা হয়, দল থেকে যাকে দলীয় ভাবে নির্বাচনে প্রার্থী ঘোষনা করবেন তাকে বিজয় করার জন্য সাবির্ক প্রস্তুতি ও নিচ্ছেন তৃণ মূলের নেতা কর্মীরা। এদিকে বিএনপির একক প্রার্থী ঘোষনার জন্য ব্যাপক ভাবে প্রস্তুতি নিলেও সম্ভব্য প্রার্থী পাওয়ার ক্ষেত্রে একটু কঠিন হয়ে দাড়িয়েছে ব্যাপারটি। তবে আওয়ামীলীগের সিংহভাগ নেতাকর্মীরা দলীয় প্রতীকে নির্বাচনের জন্য জোর চেষ্টা যাচ্ছেন। এ ক্ষেত্রে চকরিয়া উপজেলায় বেশীর ভাগ ইউনিয়নে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী প্রার্থীদের তালিকা দীর্ঘ হয়ে পড়ায় বেকায়দায় রয়েছে উপজেলা আওয়ামীলীগ।
চকরিয়া উপজেলার ইউনিয়নের আগ্রহী চেয়ারম্যান পদের প্রার্থীরা হলেন, খুটাখালী ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান আবদুর রহমান, আওয়ামীলীগের জয়নাল আবেদীন (সাবেক মেম্বার), হেলাল উদ্দিন, বিএনপি নেতা অধ্যক্ষ এসএম মনজুর আলম, শফিকুর রহমান শফি মেম্বার, যুবদল নেতা আনিচ, স্বেচ্ছাসেবকদল নেতা আরফাত কামাল জিকু, জাতীয় পাটি নেতা সাংবাদিক এইচ,এম আরমান চৌধুরী। ডুলাহাজারা ইউনিয়নে চকরিয়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও বর্তমান চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মিজানুর রহমান চৌধুরী খোকন মিয়া, আওয়ামীলীগ নেতা, জামাল হোসেন, সাইফুল ইসলাম, মোক্তার আহমদ, জামায়াত নেতা মৌলভী এনামুল হক। ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নে চকরিয়া উপজেলা আওয়ামলীগের সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান চেয়ারম্যন গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী, উপজেলা যুবলীগ নেতা হেলাল উদ্দিন হেলালী, ওয়ার্কস পাটির জেলা সাধারণ সম্পাদক ও সাংবাদিক মাঈন উদ্দিন হাসান শাহেদ, বিএনপি নেতা ও সাবেক চেয়ারম্যান আজিজুল হক চৌধুরী, ইউনিয়ন বিএনপির নেতা শাহাব উদ্দিন সিকদার, মাষ্টার সিরাজ উদ্দিন আহমদ, শওকত ইসলাম, অধ্যাপক দেলোয়ার হোসেন, সাংবাদিক নেতা সাইফুল ইসলাম খোকন। কাকরা ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির অর্থসম্পাদক আলী মনছু, ইউনিয়ন বিএনপি সভাপতি মাহাবুবুর রহমান চৌধুরী, সহসভাপতি সাইফুল ইসলাম ছাবু, ইব্রাহিম চৌধুরী মনু মিয়া, আওয়ামলীগের ইউনিয়ন সভাপতি শওকত ওসমান, সাধারণ সম্পাদক নাজেম উদ্দিন, উপজেলা আওয়ামীলীগের প্রচার সম্পাদক আবু মুছা, আওয়ামীলীগ নেতা সাহাব উদ্দিন।
লক্ষ্যাচর ইউনিয়নের আওয়ামীলীগের সভাপতি রেজাউল করিম সেলিম, ইউনিয়ন বিএনপি নেতা বর্তমান চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ মানিক, ও ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আবু তালেব চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক আওরঙ্গজেব বুলেট, ইউনিয়ন জামায়াত নেতা গোলাম মোস্তফা কায়সার। চিরিঙ্গা ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান ও আওয়ামীলীগ নেতা জসিম উদ্দিন, ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি বজল কবির মেম্বার, সাধারণ সম্পাদক সাহাব উদ্দিন মেম্বার, যুবদলের সভাপতি ইব্রাহিম খলিল কাকন। সুরাজপুর-মানিকপুরে বর্তমান চেয়ারম্যান ও আওয়ামীলীগ নেতা আজিম উদ্দিন, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা রুস্তম শাহারিয়ার, ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মুজিবুল হক চৌধুরী , ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আতাহার ইকবাল, বিএনপি নেতা সাইফুল কবির চৌধুরী। বমু বিলছড়িতে বর্তমান চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন, ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল মতলব। কৈয়ারবিল ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতা শরিফ উদ্দিন চৌধুরী, সাবেক চেয়ারম্যান শাহাজাহান চৌধুরী, মাষ্টার জকরিয়া, একে জিল্লুর রহমান, আশরাফ উর রহমান রাসেল, সাংবাদিক ওমর আলী, ইউনিয়ন আওয়ামলীগের সভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান ফিরোজ আহমদ, সাধারণ সম্পাদক হানু, জামায়াত নেতা রিয়ানুল হক। বরইতলী ইউনিয়নে বর্তমানে চেয়ারম্যান ও আওয়ামীলীগ নেতা এটিএম জিয়াউদ্দিন চৌধুরী জিয়া, আওয়ামীলীগ নেতা নজরুল ইসলাম, উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক জালাল উদ্দিন সিকদার, জামায়াত নেতা সালেকুজ্জামান। হারবাং ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান ও জামায়াত নেতা জহির উদ্দিন মো: বাবর, ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ছাবের আহমদ ছাবুল হক মেম্বার, ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মিরানুর রহমান, সাবেক চেয়ারম্যান নুরুল আবছার, জাহেদ চৌধুরী, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা রফিক। সাহারবিল ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতা আবদুল হাকিম, বিএনপি নেতা নুরুল আমিন চৌধুরী, আওয়ামীলীগ নেতা ছরওয়ার আলম, মহসিন বাবুল, জামায়াত নেতা হেদায়ত উল্লাহ, মামুন, পূর্ববড়ভেওয়া ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান ও আওয়ামীলীগ নেতা ইব্রাহিম খলিল, বিএনপিনেতাা আনোয়ারোল আরিফ দুলাল, পশ্চিম বড়ভেওলা ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান ও আওয়ামীলীক নেতা শাহাব উদ্দিন,বি এ পি নেতা ও সাবেক চেয়ারম্যান জামিল ইব্রাহিম চৌধুরী বি এন পি নেতা হেফাজুতুর রহমান চৌধুরী টিপু , বদরখালী ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান ও আওয়ামীলীগ নেতা নুরে হোছাইন আরিফ,বি এন পি নেতা ও সাবেক চেয়ারম্যান ইকবাল বদরী,বি এন পি নেতা সাব্বির,মৌলভী মান্নান। ঢেমুশিয়া ইউনিয়নে আওয়ামীলীগ নেতা ও বর্তমান চেয়ারম্যান রোস্তম আলী, আ’লীগ নেতা গিয়াস উদ্দিন মেম্বার, মনুমিয়া, বিএনপি নেতা ও সাবেক চেয়ারম্যান নাজেম উদ্দিন চৌধুরী, বিএনপি নেতা নুরুল আলম জিকু, কোনাখালী ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান ও আ’লীগ নেতা দিদারুল হক সিকদার, সাবেক চেয়ারম্যান রুহুল কাদের মানিক, আ’লীগ নেতা মোক্তার আহমদ মেম্বার, মৌলনা টিপু, ইলিয়াছ, বিএনপি নেতা ডাঃ আবদুল মাবুদ, আজিজুল হক মধু, আনোয়ার সিকদার, যুবদল নেতা ইমরুল হাসান হান্নান,। বিএমচর ইউনিয়নে আ’লীগ নেতা ও বর্তমান চেয়ারম্যান বদিউল আলম, সাবেক চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতা আবু ইউছুফ, কাজী আবু তৈয়ব, সোয়াইবুল ইসলাম সবুজ, জাহাঙ্গীর আলম, আ’লীগ নেতা জাফর আলম মেম্বার।
পাঠকের মতামত: