ঢাকা,শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪

চকরিয়ায় আদালতের আদেশ লঙ্গন করে চিংড়িজোনে উচ্ছেদ অভিযানের অভিযোগে উপসচিব ও জেলা প্রশাসকসহ ৯ জনের নামে কারণ দর্শানো নোটিশ

ovijogএম.জিয়াবুল হক, চকরিয়া :::

চকরিয়া উপজেলার রামপুর চিংড়িজোনে উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞা আদেশ লঙ্গন করে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী পক্ষের আবেদনের প্রেক্ষিতে গতকাল মঙ্গলবার রামপুর সমবায় কৃষি ও উপনিবেশ সমিতির নিয়োজিত কৌশলী হাইকোর্টের আইনজীবি এডভোকেট রায়হানুল মোস্তাফা ৯জন কর্মকর্তার নামে একটি কারণ দর্শানো নোটিশ পাঠিয়েছেন। নোটিশে আদালতের আদেশ লঙ্গন করে রামপুর চিংড়িজোনে অভিযান চালানোর ব্যাপারে ব্যাখা চেয়ে বিবাদি পক্ষকে ২৪ ঘন্টার জবাব দেয়ার জন্য বলা হয়েছে।

নোটিশে বিবাদি করা হয়েছে কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো.আলী হোসেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আনোয়ারুল নাসের, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা অমিতোষ সেন, চকরিয়া উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো.সাইফুর রহমান, জেলা মৎস্য বিভাগের প্রকল্প ব্যবস্থাপক রফিকুল ইসলাম, চকরিয়া উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভুমি) মো.মাহাবুব উল করিম, মৎস্য মন্ত্রানালয়ের উপসচিব একেএম মোখলেছুর রহমান, উপসচিব জিএসএম জাফর উল্লাহ ও মৎস্য অধিদপ্তরের ডেপুটি ব্যবস্থাপক সাইফ আরিফ আজাদ।

রামপুর সমবায় কৃষি উপনিবেশ সমিতির নিয়োজিত কৌশলী এডভোকেট রায়হানুল মোস্তাফা জানিয়েছেন, গতকালই নোটিশের কপি স্ব স্ব কর্মকর্তাদের দপ্তরে জরুরী ফ্যাক্স বার্তার মাধ্যমে এবং কুরিয়ার সার্ভিস যোগে পাঠানো হয়েছে।

জানা গেছে, গত ১ নভেম্বর উপজেলার রামপুর মৌজায় চকরিয়া উপজেলা সহকারি কমিশনার ভুমি মো.মাহাবুব উল করিম ও জেলা মৎস্য কর্মকর্তা অমিতোষ সেন ও উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো.সাইফুর রহমান উপস্থিত থেকে অভিযান চালিয়ে ৪৮একর জায়গা উদ্ধার করে রামপুর সমবায় কৃষি উপনিবেশ সমিতিকে দখল থেকে উচ্ছেদ করে দেন।

বাদি পক্ষের আইনজীবি এডভোকেট রায়হানুল মোস্তাফা বলেন, চকরিয়া উপজেলার ছয়টি মৌজার অধীনে চিংড়িজোনের ২৫ হাজার একর জায়গা সিএস মুলে পুর্ব পুরুষের সম্পত্তির মালিকানা দাবি করে ২০১২ সালে উচ্চ আদালতে একটি রিট মামলা (নম্বর ১০৯৬২/১২) দায়ের করেন রামপুর সমবায় কৃষি ও উপনিবেশ সমিতি লিমিডেটের প্রয়াত সভাপতি সামসুল ইসলাম চৌধুরী। মামলার প্রেক্ষিতে উচ্চ আদালতের বিচারপতি নাঈমা হায়দার ও বিচারপতি মোহাম্মদ খুরশিদ আলম সরকার সমন্বয়ে গঠিত দ্বৈত বৈঞ্চ ২০১২ সালের ১২ আগষ্ট ২৫ হাজার একর জায়গা ওপর স্থিতাবস্থা আদেশ জারী করেন। এখনো আদালতে মামলাটি বিচারধীন রয়েছে। এডভোকেট রায়হানুল মোস্তাফা বলেন, আদালতের স্থিতাবস্থা আদেশ জারী থাকার পরও চলতিবছরের ১ নভেম্বর রামপুর মৌজায় অভিযান চালিয়ে সেখান থেকে ৪৮একর জায়গায় ভোগদখলে থাকা রামপুর সমবায় কৃষি ও উপনিবেশ সমিতিকে উচ্ছেদ করার ঘটনায় বাদি পক্ষের আবেদনের প্রেক্ষিতে প্রশাসনের বিভিন্ন স্থরের ৯জন কর্মকর্তার নামে একটি কারণ দর্শানো নোটিশ পাঠানো হয়েছে। নোটিশে ব্যাখা চেয়ে বিবাদি পক্ষকে ২৪ ঘন্টার জবাব দেয়ার জন্য বলা হয়েছে।

রামপুর সমবায় কৃষি ও উপনিবেশ সমিতির বর্তমান কমিটির সভাপতি আবু জাফর ও সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম লিটন বলেন, আদালতের নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকলেও মৎস্য বিভাগের কর্মকর্তারা অভিযান চালিয়ে রামপুর মৌজার চিংড়িজোন থেকে আমাদেরকে উচ্ছেদ করেছে। যা সম্পুর্নরূপে বেআইনী। এ কারনে আমরা বিষয়টি আদালতের কাছে উপস্থাপন করার প্রস্তুতি নিয়েছি। তাঁরা বলেন, বর্তমানে চিংড়িজোন থেকে উচ্ছেদের পর মৎস্য বিভাগের কতিপয় কর্মকর্তারা উল্টো আমাদেরকে নানাভাবে ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। এমনকি মামলায় জড়িয়ে হয়রানি করার হুমকি দিচ্ছে। #

পাঠকের মতামত: