ঢাকা,শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪

চকরিয়ায় আওয়ামী লীগের প্রার্থী বিএনপি নেতা!

110-300x138নিজস্ব প্রতিনিধি, চকরিয়া ::

নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী আগামী ৭ মে দ্বিতীয় দফায় চকরিয়া উপজেলার উপকূলীয় ৬টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য এসব ইউনিয়নে আওয়ামীলীগের একক প্রার্থীর নাম চূুড়ান্তভাবে ঘোষণা করা হয়েছে গতকাল রোববার। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় মনোনয়ন বোর্ড সারাদেশের প্রার্থীদের সঙ্গে চকরিয়ার ৬টি ইউনিয়নের একক প্রার্থীর নামও ঘোষণা করেন।

এসব ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের একক প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পেয়েছেন উপকূলীয় বদরখালী ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান নূরে হোছাইন আরিফ, পশ্চিম বড় ভেওলা ইউনিয়নে মাতামুহুরী সাংগঠনিক উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বাবলা, পূর্ব বড় ভেওলা ইউনিয়নে খলিল উল্লাহ চৌধুরী, ভেওলা মানিকচর ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান বদিউল আলম, কোনাখালী ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান দিদারুল হক সিকদার ও ঢেমুশিয়া ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান রুস্তম আলী।

12801588_1020358328043571_6472974896216497790_nঅভিযোগ উঠেছে, পূর্ব বড় ভেওলা ইউনিয়নে একক প্রার্থী মনোনয়ন দেয়ার জন্য ইউনিয়ন ও উপজেলা আওয়ামীলীগের পক্ষ থেকে কয়েকজনের নাম জেলা কমিটির কাছে প্রেরণ করা হলেও কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান চেয়ারম্যানের শ্যালিকার জামাই ও বিএনপি থেকে অনুপ্রবেশকারী, পুলিশের উপর হামলাকারী মামলার আসামী, (কক্সবাজার জেলা তরুণ দলের আহবায়ক) খলিল উল্লাহ চৌধুরীর নামই কেন্দ্রে পাঠানো হয়। ওই খলিল উল্লাহ চৌধুরী আজ থেকে গত একমাস আগেও ছিল চকরিয়া পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডের লামার চিরিঙ্গা এলাকার ভোটার। সে ছোট বেলা থেকেই চকরিয়া পৌর এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা হিসেবে দীর্ঘ দু যুগ ধরে বসবাস করে আসছে। এমনকি চকরিয়া পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ড থেকে কাউন্সিলার প্রার্থী হওয়ার কথা ছিল তার । কিন্তু রাতারাতি ওই কথিত চৌধুরী চকরিয়া পৌরসভা থেকে পুর্ববড়ভেওলায় ভোটার পরিবর্তন করে নিয়ে জনদরদী হয়ে উঠেছে। এক সময়ে ওই বিএনপি নেতা হঠাৎ আ.লীগ নেতা হয়ে গেলে কেন্দ্রীয়ভাবেও ওই খলিল উল্লাহর নামই পূর্ব বড় ভেওলা ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করা হয়। এনিয়ে তৃণমূল আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ক্ষুব্ধ হয়েছেন।

উল্লেখ্য, আগামী ২৩ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া উপজেলার ১২টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনেও খুটাখালী ও বমু বিলছড়ি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের একক প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে বিএনপি থেকে অনুপ্রবেশকারীদের। বমু বিলছড়িতে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন ইউনিয়ন বিএনপির বর্তমান কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. কামাল উদ্দিন, খুটাখালীতে মনোনয়ন পেয়েছেন বিএনপি থেকে আওয়ামী লীগের অনুপ্রবেশ করা আরেক প্রার্থী বাহাদুর হক।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক উপজেলা আওয়ামী লীগের কয়েকজন সিনিয়র নেতা দৈনিক চকরিয়া নিউজকে বলেন, খলিল উল্লাহ বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। পূর্ব বড় ভেওলা ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান ও আওয়ামীলীগ নেতা মো. ইব্রাহিম খলিল অভিযোগ করেছেন, বিএনপি থেকে অনুপ্রবেশকারী হলেও নিকটাত্মীয় হওয়ায় জেলা আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বোর্ডের কাছে শুধুমাত্র খলিলের নামই প্রেরণ করেছিল। জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এবিষয়ে দুর্নীতি করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এব্যাপারে জানতে চাইলে সম্প্রতি কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা দৈনিক চকরিয়া নিউজকে বলেন, ‘আমার কমিটির সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান চেয়ারম্যানের নিকটাত্মীয় খলিল উল্লাহ। তবে খলিল যে বিএনপি করতো তা আগে জানতাম না আমি।’

 

পাঠকের মতামত: