ঢাকা,সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪

চকরিয়ায় অসুস্থ মোবাশ্বেরকে জমজম হাসপাতালে দেখলেন জেলা আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দ

এম.জিয়াবুল হক, চকরিয়া ::

লিভার সিরোসিস রোগে আক্রান্ত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আর্দশে পরীক্ষিত সৈনিক ও জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রতি বরাবরেই আস্থাশীল চকরিয়া উপজেলা যুবলীগ এবং উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি এড. মোবাশে^র আহামদকে দেখতে গেলেন কক্সবাজার জেলা আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দ। গতকাল ৩০ জানুয়ারী বিকালে চকরিয়া জমজম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মোবাশে^র আহমদের সয্যাপাশে উপস্থিত জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি ও চকরিয়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান রেজাউল করিম, জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য সাবেক চেয়ারম্যান এটিএম জিয়াউদ্দিন চৌধুরী জিয়া, জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য মিজানুর রহমান, চকরিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি আলহাজ ফজলুল করিম সাঈদী, আওয়ামীলীগ নেতা পরিমল বড়–য়া। এসময় উপস্থিত ছিলেন চকরিয়া পৌরসভা কৃষকলীগের সভাপতি সুলাল কান্তি সুশীল, সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল ফারুক লোটাস ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা সাজ্জাদুল ইসলাম সহ নেতৃবৃন্দ। ওইসময় জেলা আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দ অসুস্থ মোবাশে^র আহমদের শাররীক অবস্থা ও চিকিৎসার খোঁজ-খবর নেন এবং পরিবারের হাতে চিকিৎসার জন্য আর্থিক সহায়তা তুলে দেন। একই সাথে জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি রেজাউল করিম আশ^াস দেন কক্সবাজার জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এডভোকেট সিরাজুল মোস্তাফা ও সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান চেয়ারম্যানের সাথে কথা বলে আগামীতে উন্নত চিকিৎসার জন্য আরো সহায়তার ব্যবস্থা নেবে জেলা আওয়ামীলীগ। ।

চকরিয়া পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের করাইয়াঘোনার বাসিন্দা এডভোকেট মোবাশ্বের আহমদ পেশায় একজন ব্যবসায়ী হলেও ১৯৮৭ সালে তিনি চকরিয়া সরকারী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাশ এবং পরবর্তী স্নাতক ও এলএল.বি ডিগ্রী অর্জন করেন। ছাত্রজীবন থেকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ দারন করে তিনি ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত থেকে এখনও উপজেলা যুবলীগের সাথে জড়িত রয়েছেন। পারিবারিক জীবনে বিবাহিত মোবাশ্বের আহমদ ৩ সন্তানের জনক। বড় ছেলে পঞ্চম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত। কিন্তু এই মানুষটি আজ দীর্ঘ দুইবছর যাবত দূরারোগ্য ব্যাধি লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত। পরিবারে যা সামথ্য ছিল তা দিয়ে ইতোমধ্যে বাংলাদেশ ছাড়িয়ে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসার জন্য তিনি ২ বার ভারতে যান। ডাক্তাররা জানিয়েছেন তার চিকিৎসা অনেক ব্যয়বহুল বিধায় আর্থিকভাবে সহায়তা পেলে তিনি আল্লাহর অশেষ কৃপায় সুস্থ হয়ে উঠতে পারেন। সম্প্রতি তার ভারতে চিকিৎসার জন্য বড় অংকের টাকার প্রয়োজন রয়েছে বলে জানান পরিবার।

পাঠকের মতামত: