ঢাকা,শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪

চকরিয়ায় অপহরণের এক বছর পর শিক্ষার্থী উদ্ধার

স্টাফ রিপোর্টার, চকরিয়া :: চকরিয়া উপজেলার বদরখালী-মহেশখালী সড়কের লালব্রীজ এলাকা থেকে অপহৃত স্কুল শিক্ষার্থী শাকিবুল হাসান সম্রাটকে (১৮) উদ্ধার করেছে পুলিশ। অপহরণের ঘটনায় ২০১৯ সালের ২০ ফেব্রুয়ারী তাঁর বাবা আবদুর রহিম বাদি হয়ে চকরিয়া উপজেলা জুড়িসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে দায়েরকৃত মামলার প্রেক্ষিতে তদন্ত কর্মকর্তা চকরিয়া থানার ওসি (তদন্ত) একেএম শফিকুল আলম চৌধুরী অভিযান চালিয়ে অপহরণকারীদের জিন্মিদশা থেকে ওই শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করেছেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও চকরিয়া থানার ওসি (তদন্ত) একেএম শফিকুল আলম চৌধুরী বলেন, ২০১৯ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারী বিকালে চকরিয়া উপজেলার বদরখালী-মহেশখালী সড়কের লালব্রীজ এলাকা থেকে অপহরণের শিকার হন স্কুল শিক্ষার্থী শাকিবুল হাসান সম্রাট। অপহৃত ওই শিক্ষার্থী উপজেলার সাহারবিল ইউনিয়নের গুরুন্যাকাটা এলাকার আবদুর রহিমের ছেলে।
তিনি বলেন, শিক্ষার্থী শাকিবুল হাসান লেখাপড়ার পাশাপাশি বাবার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দেখাশুনা করতেন। অপহরণের ঘটনায় তাঁর বাবা আবদুর রহিম আদালতে নবী হোসেন ও খাইরুল ইসলাম নামের দুইজনের নাম উল্লেখ করে আরো ২৫-৩০জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করেন। আসামি নবী হোসেন ও মাস্টার খাইরুলের বাড়ি সাহারবিল ইউনিয়নের কোরালখালী এলাকায়।
অপহরণকারীদের জিন্মিদশা থেকে শিক্ষার্থীকে উদ্ধারের পর তাকে চকরিয়া উপজেলা সিনিয়র জুড়িসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে প্রেরণ করা হয়। পরবর্তীতে আদালতের বিজ্ঞ বিচারক ফৌজদারী কার্যবিধি ১৬৪ ধারা মতে ভিকটিম ওই শিক্ষার্থীর জবানবন্দি গ্রহন করেন। আদালতে ভিকটিম শাকিবুল হাসান ঘটনার বিশদ বর্ণনা দিয়েছেন। তাকে কীভাবে অপহরণ করা হয়েছে, অপহরণের পর কোথায় কীভাবে রাখা হয়েছে সেখানে সবকিছুর বর্ণনা দিয়েছেন। আদালতের কাছে ভিকটিম মামলার আসামিদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের স্বপক্ষে অনেকগুলো তথ্য দিয়েছেন।
এদিকে জানতে চাইলে মামলার আসামি মাস্টার খাইরুল ইসলাম মুঠোফোনে বলেন, আবদুর রহিম নিজেই তাঁর ছেলেকে লুকিয়ে রেখে আমাদের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। সেই কারণে আদালত ওই মামলাটি আমলে নেয়নি। তদন্তেও ঘটনাটি মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে।
উদ্ধারকৃত ভিকটিম আপনাদের (আসামিদের) বিরুদ্ধে কীভাবে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন জানতে চাইলে মাস্টার খাইরুল বলেন, সেটি আদালত ভালো বুঝবেন।

পাঠকের মতামত: