এম.মনছুর আলম, চকরিয়া :
কক্সবাজারের চকরিয়ায় বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে সৃষ্ট অগ্নিকান্ডে ৭টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এতে অগ্নিকান্ডে চারটি দোকানে আনুমানিক ২৫লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে ধারনা করা হচ্ছে। আজ সোমবার (১৮জুন) সকাল ৯টার দিকে উপজেলার সাহারবিল ইউনিয়ন পরিষদ ষ্টেশন এলাকায় এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে।
ঘটনার সংবাদ পেয়ে চকরিয়া ফায়ার সার্ভিসের দমকল বাহিনী দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।অাগুন নিয়ন্ত্রণে আনায় এতে অন্তত আরো ১০টি দোকান অগ্নিকান্ড থেকে রক্ষা পেয়েছে স্থানীয়রা জানায়। এদিকে অগ্নিকান্ডে খবর পেয়ে দুপুরে দিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নূরুদ্দীন মুহাম্মদ শিবলী নোমান।তিনি অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদেরকে সমবেদনা জানান।ঘটনার বিষয়ে সত্যতা নিশ্চিত করেছেন সাহারবিল ইউপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন।
অগ্নিকান্ডের ব্যাপারে ভারপ্রাপ্ত ইউপি চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন বলেন, সোমবার সকাল ৯টার দিকে ব্যবসায়ীরা দোকান খোলে বেচা-বিক্রি শুরু করেন।হঠাৎ বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুন সৃষ্টি হয়ে মূহুর্তের মধ্যেই আগুনের লেলিহান শিখা চতুর্দিকে ছড়িয়ে পড়ে ৪টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে যায়। পরে ফায়ার সার্ভিসের দমকল বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌছে অাগুন নিয়ন্ত্রণ এনে অবশিষ্ট দোকান পুড়ে যাওয়া থেকে রক্ষা করেন।
অগ্নিকান্ডে পুড়ে যাওয়া দোকানের মধ্যে কাইছার হামিদের মালিকানাধীন তেলের দোকান, বেলাল উদ্দিনের ফার্নিচার দোকান, আমান আলীর ডেকোরেটার্স দোকান ও রিকের দাসের সেলুনের দোকান সম্পূর্ণ পুড়ে ছাই হয়ে যায়। ক্ষতিগ্রস্ত দোকান মালিক কাইছার বলেন, হঠাৎ করে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুন সৃষ্টি হয়ে পুরো দোকান পুড়ে যায়। দোকানের মধ্যে ড্রামভর্তি পেট্রোল, কেরোসিন,অকটেন ছিল বিপুল পরিমাণ। আগুন ধরার সাথে সাথেই নিমিষেই পুড়ে সব শেষ হয়ে যায়। এতে আমার অন্তত ১৬লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।এছাড়াও আমার পার্শ্ববর্তী অন্যান্য দোকান পুড়ে অরো ১০লক্ষটাকার ক্ষতিসাধন হয় বলে তিনি জানান।
পাঠকের মতামত: