মোহাম্মদ উল্লাহ, চকরিয়া :: চকরিয়া পৌরসভার ৫নম্বর ওয়ার্ডের বাটাখালী এলাকায় ভন্ড রাজিব বৈদ্যের প্রতারণার শিকার হচ্ছে গ্রামের শতশত অসহায়-দুস্থ নারী ও পুরুষ। স্ট্যাম্প দিয়ে চুক্তিতে বিভিন্ন কাজ করে দেয়ার কথা থাকলেও কাজ না হওয়ার পর টাকা ফেরৎ চাইলে তাদের বিভিন্নভাবে হয়রানী করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে।
জানা যায়, পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাটাখালীতে রাজিব বৈদ্য তাবিজ, ঝাঁড়-ফুকসহ বিভিন্ন ধরনের রোগ-ব্যাধির চিকিৎসার কথা বলে গ্রামের সহজ-সরল মহিলা ও পুরুষদের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। প্রতিটি কাজের জন্য সে চুক্তি করে। বান-টোনা কাটার জন্য ২হাজার এক টাকা, চুরি মাল উদ্ধারের জন্য ৫ হাজার এক টাকা, স্বামী-স্ত্রীর গরমিল বন্ধে ৭ হাজার এক টাকার চুক্তি করেন। কিন্ত কাজ না হওয়া সত্বে টাকা ফেরত চাইলে তাদের বিভিন্নভাবে হুমকি ধমকি দেয় রাজিব বৈদ্য ও তার সহযোগী উজ্জল।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েক প্রতিবেশীমহ স্থানীয় এলাকাবাসী জানান, সপ্তাহে তিনদিন তিনি ঝাঁড়-ফুক ও তাবিজ দেয়ার দিন ধার্য রয়েছে। এ বিশেষ দিনে অন্তত শতাধিক নারী পুরুষ তার কাছে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে চিকিৎসা নিতে আসেন। চুক্তিতে সে বিভিন্ন কাজের কন্ট্রাক নিলেও কাজ না হলে সে ওই টাকা আর ফেরত দেয়না।
তারা আরো বলেন, সে একজন প্রতারক, ভন্ড। তার কোন শিক্ষাদীক্ষা নেই। সে একজন অন্ধ প্রতিবন্ধী। সে প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে মানুষের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। তার কাছে এসে প্রতিকার পেয়েছে এমন কোন নজীর নেই ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ফাজিল শ্রেণীতে পড়ুয়া এক মহিলা শিক্ষার্থী বলেন, আমার বিয়ে বন্ধ আছে বলে বিশ হাজার টাকা নিয়েছে সে। কাজ না হলে ফেরত দেওয়ার কখা থাকলে ৬ মাস পর টাকা ফেরত চাইতে গেলে হেনস্থার শিকার হয়েছে বিভিন্ন সময়ে।
এ প্রতারণার কাজে তার রয়েছে উজ্জল দাশসহ বেশ কিছু সহযোগী। এসব সহযোগী রাজিব বৈদ্যের গুনগান গেয়ে সাধারণ মানুষকে তার কাছে নিয়ে আনে।
প্রতারণার বিষয়ে জানতে চাইলে রাজিব বৈদ্য বলেন, আমি বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত রোগীসহ সাধারণ মানুষের সেবা করি। কন্টাকের মাধ্যমে কাজ করি। কাজ না হলে টাকা ফেরত দিই।
অপরদিকে রাজিব বৈদ্যের এসব অবৈধ কর্মকান্ড বন্ধে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসী।
চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ শাকের মোহাম্মদ যুবায়ের বলেন, কেউ লিখিত অভিযোগ দিলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
পাঠকের মতামত: