ভ্রাম্যমান প্রতিনিধি :
কক্সবাজার উত্তর বন বিভাগের আওতাধীন ফাঁসিয়াখালী রেঞ্জ অফিসের অধীনস্থ ডুলাহাজারা বন বিটের বন বাগান থেকে গর্জন গাছ কেটে প্রকাশ্যে ট্রলার নির্মাণ অব্যাহত রেখেছে ডুমখালীর বশির নামের এক ট্রলার ব্যবসায়ী । শুধু তা নয়, কাঠ চোরেরা মাঁচা তৈরি করে সেখানকার মাদার ট্রি গর্জন গাছ কেটে করাত দিয়ে কেটে বিভিন্ন সাইজ করে দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঁচার করছে। নির্মাণ করা ট্রলারের আশে-পাশে প্রায় শতাধিক গর্জন গাছের টুকরা পাঁচারের উদ্দেশ্যে মওজুদ করে রেখেছে। বন বিভাগ এসব জেনেও না জানার ভান করে থাকায় সেখানকার মাদার ট্রি শূন্য হয়ে যাচ্ছে দিনের পর দিন।
সরেজমিনে অনুসন্ধান করতে গিয়ে জানা যায়, ফাঁসিয়াখালী রেঞ্জের আওতাধীন ফাঁসিয়াখালী বন বিটের বিট অফিসার জাকের হোছাইন বর্তমানে ডুলাহাজারা বন বিটের ভারপ্রাপ্ত হিসেবে দায়িত্ব পালন করছে গত ২ মাস ধরে। উক্ত অফিসার এ বন বিটের দায়িত্ব পালন করার পর থেকে মালুমঘাট এলাকার সংঘবদ্ধ কাঠ চোরদের সাথে আঁতাত থাকায় কাঠ চোররা মালুমঘাট বাজারে পশ্চিমে ও উত্তরে থাকা মাদার ট্রি গর্জন গাছ কেটে সড়ক ও নদী পথে পাঁচার করে দিচ্ছে। এছাড়া ডুমখালীর বশির নামের এক ট্রলার ব্যবসায়ী ডুমখালীর পশ্চিমে এক বাড়িতে মাঁচা তৈরি করে করাত দ্বারা সেখানকার মাদার ট্রি গর্জন গাছ কেটে ক’য়েক মাস পর পর একটি করে ট্রলার নির্মাণ করে দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্রি দিচ্ছে । এমনকি উক্ত পাঁচারকারীরা পাঁচারের উদ্দেশ্যে প্রায় শতাধিক মাদার ট্রি গর্জন গাছের টুকরা কেটে নুরুল আবচারের মিনি চিংড়ি ঘের সহ বিভিন্ন জায়গায় মওজুদ রেখেছে। যা চোখে না দেখলে বিশ্বাস করা যায় না । এদিকে এলাকার অনেকে জানান রেঞ্জ অফিসার আব্দুল মতিন ও বিট অফিসার জাকের আহম্মদ যোগদান করার পর থেকে এ বনাঞ্চল থেকে মাদার ট্রি গর্জন গাছ পাঁচার অব্যাহত রেখেছে। রেঞ্জ অফিসার আব্দুল মতিন ও বিট কর্মকর্তা জাকের আহমদকে অন্যত্রে বদলি করা না হলে অচিরে এ বন বিভাগ শুন্য হয়ে যাবে বলে আশংকা করা হচ্ছে।
পাঠকের মতামত: