ঢাকা,শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪

চকরিয়ার চিংড়িজোনের ত্রাস পটু ডাকাতের আত্মসমর্পন

20401196_842178509467661_1745283797_nনিজস্ব প্রতিবেদক, কক্সবাজার :::

চকরিয়া উপজেলার চিংড়িজোনের ত্রাস জিয়াবুল বাহিনীর সেকেন্ড ইন কমান্ড একাধিক মামলার পলাতক আসামি মোহাম্মদ করিম (৪৩) প্রকাশ পটু ডাকাত উপজেলা জুড়িশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে আত্মসর্ম্পণ করেছে। গ্রেফতার এড়াতে এই শীর্ষ সন্ত্রাসী আত্মসমর্পন করেছে বলে জানান তার ঘনিষ্টজনরা।
মঙ্গলবার বিকেলে দীর্ঘদিন পলাতক থাকার পর চকরিয়া উপজেলা জুড়িশিাল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে আত্মসমর্পণ করেন তিনি। পরে তার আইনজীবী জামিন প্রার্থনা করলে আদালত তার জামিন না মঞ্জুর করে জেলহাজতে পাঠান। আত্মসমর্পণ করা মোহাম্মদ করিম (৪৩) প্রকাশ পটু ডাকাত উপজেলার চিরিঙ্গা ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের মধ্যম বুড়ি–পুকুর এলাকার বাসিন্দা হাবিবুর রহমানের পুত্র। তার বিরুদ্ধে চকরিয়া থানায় বিভিন্ন অপরাধের প্রায় ১৬টি মামলা রয়েছে।
স্থানীয়রা জানায়, পটু ডাকাত দীর্ঘদিন থেকে চকরিয়ার চিংড়িজোনখ্যাত চরণদীপ, সওদাগরঘোণা ও রামপুর চিংড়িঘের এলাকায় চাঁদাবাজি, অস্ত্রবাজি, হত্যা ও সন্ত্রাস করে আসছেন। পুলিশ দীর্ঘদিন থেকে তাকে ধরতে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালালেও গ্রেফতার করতে পারেনি।
তবে মঙ্গলবার বিকেলে আকস্মিকভাবে চকরিয়া উপজেলা জুড়িশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের আইনজীবীসহ হাজির হয়ে জামিন প্রার্থনা করলে বিজ্ঞ আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
স্থানীয় লোকজন অভিযোগ করেছেন, চরণদ্বীপ, সওদাগরঘোণা ও রামপুর মৌজার চিংড়িজোনের নিয়ন্ত্রন করতেন মোহাম্মদ করিম প্রকাশ পটু ডাকাত। এরআগে একাধিক ডাকাত গ্রুপ চিংড়িজোনের নিয়ন্ত্রণ করলেও গত বছর চিংড়িজোনের ত্রাস আতাউল্লাহ বাহিনীর প্রধান আতাউল্লাহ গণপিঠুনিতে নিহত ও বদরখালী অঞ্চলের ত্রাস লেদু বাহিনী প্রধান লেদুর দুই চোখ উপড়ে ফেলার পর পুরো চিংড়িজোনের নিয়ন্ত্রণ নেন  বাহিনী। তার নেতৃত্বে চলে চরণদীপ, সওদাগরঘোণা ও রামপুর চিংড়িঘের এলাকায় চাঁদাবাজি, অস্ত্রবাজি, হত্যা ও সন্ত্রাসী। মোহাম্মদ করিম প্রকাশ পটু ডাকাত এতোদিন জিয়াবুল বাহিনীর সেকেন্ডইন কমান্ডের দায়িত্ব পালন করেছে। তার বাহিনীর হাতে রয়েছে বিপুল পরিমাণ ভারী অস্ত্র। মোহাম্মদ করিম পটু ও তার সহযোগিরা চিংড়িজোনের প্রত্যেক ঘের থেকে প্রতি জোতে টাকা আদায় করেন। চাঁদা না দিলে অস্ত্রের মুখে মাছ ও মালামাল লুট করতো। মুলত এসব অস্ত্র ব্যবহার করে বাহিনীর সদস্যরা এলাকায় রীতিমত ত্রাসের রাজত্ব চালিয়ে আসছিলো।
স্থানীয়রা জানান, মোহাম্মদ করিম প্রকাশ পটু বাহিনীর হাতে অনেকে নির্যাতিত হয়েছেন। তাদের অস্ত্রধারী বাহিনী থাকায় কেউ ভয়ে কিছু বলার সাহস পায়না। বিভিন্ন সময়ে এই বাহিনী এলাকায় অস্ত্রের মহড়া দিয়ে আসছে। এই বাহিনীর বিভিন্ন সদস্য গ্রেফতার হলেও পুলিশ তার অস্ত্র ভান্ডারে হানা দিতে পারেনি।

পাঠকের মতামত: