চকরিয়ার আলীম পরীক্ষার্থী যুবতিকে ফাসিয়াখালী থেকে অপহরনের ৩ ঘন্টা পর চিরিঙ্গা ইউনিয়নের চরন্দীপ থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ মঙ্গলবার দুপুর ৯টা থেকে একটার মধ্যে এঘটনার পর পুলিশ চরন্দীপ বাজার পাড়ায় অভিযান চালিয়ে ওচমান নামক এক প্রবাসীর বাড়ী থেকে অপহৃতাকে উদ্ধার করেছে। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ভুঁয়া কাজী সহ অপহরনকারীরা পালিয়ে যাওয়ায় কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি বলে জানা গেছে।
জানাযায়, চকরিয়া উপজেলার ফাসিয়াখালী ইউনিয়নের ঘুনিয়া এলাকার আব্দুল্লাহ (২৮) নামক দুবাই ফেরত এক যুবক একই ইউনিয়নের দক্ষিন ঘুনিয়া পাড়ার রুহুল কাদেরের কন্যা চকরিয়ার সাহারবিল মাদ্রাসার আলীম পরীক্ষার্থী সুফয়া জান্নাত তুহিন(১৮)কে মাদ্রাসায় যাবার পথে প্রেম প্রস্তাব সহ নানাভাবে উত্তক্ত করে আসছিল। কিন্তু তার কথায় পাত্তা না দিয়ে যুবতি পড়ালেখায় ব্যস্ত সময় পার করার পর এবার আলিম পরীক্ষা দিয়ে আসছিল। প্রতিদিনের মত আজ সকাল ৯টায় পরীক্ষা দিতে যাচ্ছিল। সকাল সাড়ে নয়টার দিকে পৌছলে সেই বখাটে আব্দুল্লাহ তার বন্ধু রুবেল এর নেতৃত্বে দুই মহিলা সহ ৮/১০ জন লোক একটি ম্যাজিক/মিনি পিকআপ গাড়ী নিয়ে ফাসিয়া খালী খতিজাতুল কোবরা মাদ্রাসার নিকট তার গতিরোধ করে যুবতিকে জোর পূর্বক গাড়ীতে তুলে নেয়। তারপর তারা চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক হয়ে ডুলাহাজারার মামা ভাগিনার দরগাহ গেইট হয়ে চরন্দীপ অভিমুখে যাবার পথে পথিমধ্যে পালাকাটার ভুঁয়া কাজী মোবাশ্বের মৌলভী প্রকাশ লাদেন মৌলভী ও একই গাড়ীতে উঠে। তারপর তারা যুবতিকে চরন্দীপ টুনা মিয়ার পুত্র সিরাজের বাড়ীতে নিয়ে যায়। সেখানে আধা ঘন্টা রাখার পর মোবাশ্বের মৌলভী একটি কাবিননামা ফরমে দস্তখত নেয়ার চেষ্টা চালায়। এতে শুরু হয় যুবতির কান্নাকাটি। যুবতির কান্না ও ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে সে ঘর থেকে বেরিয়ে চিৎকার দিয়ে বলে তোমরা আগে আমাকে পরীক্ষার হলে নিয়ে যাও। সেখান থেকে এসে আমি কাবিনে দস্তখত দেব। এমতাবস্তায় চিৎকারের শব্দ শুনে পার্শ্বের বাড়ীর লোকজন এগিয়ে এসে প্রথমে স্থানীয় মেম্বার ও পরে চকরিয়া থানায় ফোন করে। স্থানীয় মেম্বার আব্দুল আজিজ ও জনগন এগিয়ে আসলে অপহরনকারীরা দুর্বল হয়ে পড়ে। এর কিছুক্ষনের মধ্যে চকরিয়া থানার এসআই মাহবুবের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ভুঁয়া কাজী সহ অপহরনকারীরা দিকবিদিক ছুটে পালায়।
পাঠকের মতামত: