ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪

চকরিয়ার অর্ধশতাধিক বিদ্যালয় ও মাদরাসায় স্টুডেন্ট ক্যাবিনেট নির্বাচন সম্পন্ন

fffffজহিরুল আলম সাগর, চকরিয়া:

সারা দেশের ন্যায় কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার বিভিন্ন স্কুল ও মাদ্রাসায় ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্যদিয়ে ছোটদের তৃতীয় বারের মত জাতীয় মাধ্যমিক বিদ্যালয়-মাদ্রাসায় স্টুডেন্ট ক্যাবিনেট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ৩০মার্চ বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় ভোট গ্রহণ শুরু হয়ে একটানা দুপুর ২টা পর্যন্ত বিরতিহীন ভাবে ভোট গ্রহণ চলে। সারা দেশে একযোগে মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং দাখিল মাদরাসায় এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এরই ধারাবাহিতায় চকরিয়া উপজেলায় ৩৪ মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ২১টি মাদ্রাসায় কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রীরা ভোটের উৎসব আমেজে মেতে উঠে। তাদের ভোটেই নির্বাচিত হয়েছেন স্টুডেন্ট ক্যাবিনেট। নিবার্চিত ক্যাবিনেটের প্রথম সভায় গঠন করা হবে ক্ষুধে প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রী পরিষদ। এবার স্টুডেন্ট ক্যাবিনেট অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে তৃতীয় বারের মতো।

শিক্ষা প্রতিষ্টান সূত্র জানায়, প্রতিটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও দাখিল মাদ্রাসায় ছাত্র-ছাত্রীদের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত আটজন প্রতিনিধির সমন্বয়ে এক বছরের জন্য স্টুডেন্ট ক্যাবিনেট গঠিত হবে। এদিন চকরিয়া কোরক বিদ্যাপীঠে সকল থেকে ব্যাপক উৎসব মুখর পরিবেশে স্টুডেন্ট ক্যাবিনেট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচনের সার্বিক তত্তাবধানে ছিলেন প্রধান শিক্ষক মো: নূরুল আখের। শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন সম্পন্ন হওয়ায় তিনি সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

চকরিয়া বেতুয়াবাজারস্থ হযরত ফাতিমা (রা:) বালিকা আলিম মাদরাসা; অধ্যক্ষ আলহাজ¦ মৌলানা মোহাম্মদ কবির হোছাইনের সার্বিক তত্ত্বাবধানে সকাল ৮টা দুপুর ১টা পর্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচনে মোট ৭৫৯ জন ভোটারের মধ্যে ৪৮৫ জন ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। ভোট গণনার পর ৬ষ্ঠ শ্রেণীতে সুমাইয়া সোলতানা ২৩৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন, তার নিকটত প্রতিদ্বন্দ্বি উম্মে সায়মা মুন্নি পেয়েছেন ২০২ ভোট। ৭ম শ্রেণীতে রাবেয়া বছরী ২৫৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন, তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি মরিয়ম জন্নাত পেয়েছেন ৮৯ ভোট। ৮ম শ্রেণীতে সুমাইয়া জন্নাত নুরী ৩৯৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন এবং রাবেয়া বছরী ২৫৫ ভোট পেয়ে ২য় স্থান অধিকার করে নির্বাচিত হয়েছেন। তাদের নিকটতম প্রতিন্দ্বন্দ্বি রোকাইয়া জন্নাত পেয়েছেন ১১৩ ভোট এবং হোসনে আরা জন্নাত পেয়েছেন ১০৩ ভোট। ৯ম শ্রেণীতে মুসলিমা জন্নাত (বিজ্ঞান) ৩৫৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন এবং কহিনুর আক্তার (মানবিক) ৩২৯ ভোট পেয়ে ২য় স্থান অধিকার করে নির্বাচিত হয়েছেন। তাদের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হাদিসা জন্নাত ১৪০ ভোট এবং তোহফাতুন নেছা হ্যাপী ৬৩ ভোট পেয়েছেন। ১০ম শ্রেণী থেকে রায়হান জন্নাত (মানবিক) ৩৬৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন এবং জন্নাতুল নাঈমা (বিজ্ঞান) ৩১৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাদের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি ইয়াছিন জন্নাত ছিদ্দিকা ১৯১ ভোট পেয়েছেন। নির্বাচন পর্যবেক্ষন করেন মাদ্রাসা গভর্ণিং বডি’র সভাপতি এম. আজিজুর রহিম ও চকরিয়া প্রেস ক্লাবের সভাপতি আব্দুল মজিদসহ সাংবাদিকগন ও মাদরাসা শিক্ষক এবং অভিভাবকরা।

####################

চকরিয়ায় আদালতের নিষেধাজ্ঞা ও পুলিশি বাধা উপেক্ষা করে দালান নির্মাণ নিয়ে উত্তেজনা

বিশেষ প্রতিবেদক, চকরিয়া ::

চকরিয়ায় আদালতের নিষেধাজ্ঞার আদেশ ও পুলিশি বাধা উপেক্ষা করে পাকা দালান নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। এমনকি ভবন নির্মাণকালে দখলবাজদের একাধিকবার ধাওয়া দিয়েছে পুলিশ। গতকাল ৩০মার্চ বিকাল ৩টার দিকে উপজেলার চিরিংগা ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড ফজলবলি পাড়া এলাকায় ঘটেছে এ ঘটনা। এনিয়ে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।

অভিযোগে জানাগেছে, ওই গ্রামের মৃত আহমদ আলীর পুত্র ছমি উদ্দিনের মালিকানাধীন পালাকাটা মৌজার বিএস ২৪৭৯নং খতিয়ানের ৬.৬৭শতক জমি শান্তিপূর্ণভাবে ভোগ দখলে রয়েছে। কিন্তু তার অপর ভাই আজম উদ্দিন জোর জবর দস্তি করে ওই জমি জবর দখল নিয়ে পাকা দালান নির্মাণের চেষ্টা চালায়। এনিয়ে জমি মালিক ছমি উদ্দিন বাদী হয়ে কক্সবাজার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে এম আর মামলা নং ২৪৮/১৭ দায়ের করলে বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা আদালত শুনানী শেষে গত ২৯মার্চ প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে ১৪৪ধারা জারি করেন। কিন্তু তা উপেক্ষা করে আজম উদ্দিন গং জমি জবর দখলে গেলে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)’র নির্দেশে উপপরিদর্শক সুব্রত কুমার নাথ সংগীয় পুলিশদল নিয়ে প্রথমে সকাল ৯টায়, পরে বিকাল ৩টায় দু’দফা অভিযান চালায় এবং দখলবাজদের ধাওয়া করে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে চলে আসার পর ফের স্থাপনা নির্মাণ অব্যাহত রাখায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।

#################

 চকরিয়ায় ভাই-বোনের সম্পত্তির বিরোধ নিয়ে হামলা, আহত ৫

বিশেষ প্রতিবেদক, চকরিয়া

ভাই-বোনের সম্পত্তি ভাগাভাগি নিয়ে তিনদিন ধরে কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার কোনাখালী এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। এ নিয়ে দুটি পরিবারের মাঝে যে কোন মুহুর্তে আরো বড় ধরণের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা। সম্পত্তি ভাগাভাগির বিরোধ নিয়ে সৃষ্ট ঘটনায় দু’পরিবারের ৫জন লোক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলার কোনাখালী ইউনিয়নে শহর আলী পাড়া এলাকায় দু’পরিবারের মাঝে নতুন করে ঘটনা ঘটে।

সুত্রে জানায়, সম্পত্তি ভাগাভাগির বিরোধ নিয়ে দু’ভাই বোনের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল ওই এলাকার মৃত বজল আহমদের কন্যা ছেনুয়ারা বেগম ও মাত আকবরের মধ্যে। এ নিয়ে ভাই বোনের দুই পরিবারের মাঝে গতকাল তুচ্ছ বিষয় নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় ৫জন গুরুতর আহত হন। আহত ব্যাক্তিকে চকরিয়া ও চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে বলে সুত্রে জানায়। আহত ব্যাক্তিরা হলেন,মাত আকবরের স্ত্রী রইজা বেগম (৩৫),তার ভাই ছৈয়দ আকবরের স্ত্রী রহিমা বেগম(৩৮)ছেলে রেজাউল করিম(১৯) কন্যা লাকী আকতার(১৭),ভাই আজিম উদ্দিনের স্ত্রী দিলোয়ারা বেগম(৩২)।

ভোক্তভোগী ছেনুয়ারার স্বামী নুরুল আলম স্থানীয় সাংবাদিকদের জানায়, বসত ভিটার সম্পত্তির ভাগাভাগির বিষয় নিয়ে আমার স্ত্রী ছেনুয়ারার সাথে তার ভাই মাত আকবরের বসতঘরের ছাউনি নিয়ে তুচ্ছ ঘটনায় কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে ঘরের ছাউনি কাজ করার সময় বাধাঁ দেয় আমার স্ত্রী ছেনুয়ারা। বাধাঁ দেয়ার কারণে মাত আকবর তার বোন ছেনুয়ারাকে টেনে হিছড়ে পুকুরে নিয়ে পানিতে চুপিয়ে রাখে। এ ঘটনার জের ধরে দু পরিবারের সংঘর্ষবেধেঁ যায়। অপরদিকে মাত আকবর দাবী করেছেন, সামান্য তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে আমার বোনের শ^শুর বাড়ির লোকজন দলবল নিয়ে এসে পরিকল্পিতভাবে আমি ও আমার ভাইয়ের পরিবারকে দেশীয় তৈরী অস্ত্র শস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়েছে। এতে তার স্ত্রী রইজা বেগম সহ ৫জন আহত হয়। বর্তমানে তাদের অবস্থা গুরুতর। এনিয়ে পরিবারের পক্ষ থেকে মামলার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।##

 ###############

চকরিয়ায় বসতভীটার সীমানার গাছ কেটে জমি জবর দখলের চেষ্টা

বিশেষ প্রতিবেদক, চকরিয়া ::

চকরিয়ায় বসতভীটার সীমানার মূল্যবান গাছ কেটে জমি জবর দখল ও পাকা দেয়াল নির্মাণের চেষ্টা চালিয়েছে প্রতিপক্ষের লোকজন। এনিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে ক্ষোভ ও উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। উপজেলার বিএমচর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের মাদরাসা পাড়া এলাকায় ঘটেছে এ ঘটনা।

অভিযোগে জানাগেছে, স্থানীয় মৃত মনির আলমের পুত্র প্রবাসী হাজী শহিদুল মোস্তফা বিদেশে থাকার সুবাদে তার বাড়ির পাশ^বর্তী প্রতিপক্ষ মৃত শহর মুল্লুকের পুত্র শাহ আলম গং দীর্ঘদিন ধরে সীমানার জমি জবর দখলের চেষ্টা চালিয়ে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় শাহ আলম, তার ভাই শামসুল আলম, মনছুর আলম, ফরিদ আলম, ভগ্নিপতি নজির আহমদ, ও শাহ আলমের ছেলে মো: ফয়সাল ও জাহেদের নেতৃত্বে গত ২৮মার্চ বিকেল ৩টার দিকে সীমানার ১০টি মূল্যবান বড়বৃক্ষ কেটে জমি জবর দখলে নিয়েছে। তন্মধ্যে ২টি বড় ফুল গাছ, ১টি আমগাছ ও ৭টি সুপারি গাছ রয়েছে। বর্তমানে প্রকাশ্য দিবালোকে পাকা দেয়াল নির্মাণ করে জমি জবর দখল অব্যাহত রেখেছে এবং নানাভাবে হুমকি ধমকি দিচ্ছে বলে জানান প্রবাসী পরিবার। এবিষয়টি স্থানীয় বিএমচর ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম ও সাবেক চেয়ারম্যান ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি বদিউল আলমকে অবহিত করেছেন। এনিয়ে মামলার প্রস্তুতি নিয়েছেন বলে জানান।

পাঠকের মতামত: