নিজস্ব প্রতিবেদকঃ চকরিয়া উপজেলার উপকুলীয় এলাকা বদরখালী ফেরীঘাট ষ্টেশনে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদকালে হামলার শিকার হয়েছে অভিযানিক দল। হামলাকারীর ইটপাটকেল থেকে সড়ক ও জনপথ কর্তৃপক্ষের এসডিই সাখাওয়াত হোসেন রক্ষা পেলেও কাঁচ ভেঙ্গে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ব্যবহৃত বুলডোজার। পরে পুলিশের সহায়তায় পুনরায় অভিযান চালায় সওজ’ কর্তৃপক্ষ।
দুপুর থেকে বিকাল পর্যন্ত শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে সড়ক ও জনপথ কর্তৃপক্ষ । বুধবার ১৩ জানুয়ারী সওজ কক্সবাজার এ অভিযান পরিচালনা করেন।
জানা যায়, বদরখালী ফেরীঘাটের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের জন্য কয়েকদিন আগে থেকে মাইকিংয়ের পর আজ বোলড্রোজার সহ বিভিন্ন সরঞ্জাম মজুদ করে ভাঙ্গতে আসে প্রশাসন। অপর দিকে উচ্ছেদ বন্ধ করতে স্থাপনার মালিকরা কিছু টিন, বাঁশ ও গাছ নিজেরাই নামে মাত্র সরিয়ে অভিযান বন্ধ করার চেষ্টা করেন। কার্যকর করতে দুপুর আড়াইটার দিকে বুলডোজার দিয়ে উচ্ছেদ করে ৫০ টির অধিক স্থাপনা। সন্ধ্যা ৪ টার পর ছনুয়া পাড়া লটারী কমিটির নিয়ন্ত্রনাধিন পাকা ঘর
জামান হোটেলে বুল ডোজার গাড়ী লাগানোর সাথে সাথে হোটেলের ছাদের উপর থেকে ৮/১০ জন দুষ্কৃতিকারী বুলডোজার লক্ষ্য করে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করলে ইটের আঘাতে বুলডোজারের কাঁচ ভেঙ্গে গেলেও হামলাকারীর ইটপাটকেল থেকে সড়ক ও জনপথ কর্তৃপক্ষের এসডিই সাখাওয়াত হোসেন রক্ষা পান। এবং থেমে যায় অভিযান। তাৎক্ষনিক সওজ কর্তৃপক্ষ পুলিশের সহযোগীতায় আবারো উচ্ছেদ কর্ম চালায়।
ইট পাটকেল নিক্ষেপ বিষয়ে জামাল হোটেলের মালিক সাতকানিয়া উপজেলার সেলিম জানান, প্রশাসনের কাজে বাধা দিতে কিছু দুষ্কৃতকারী আড়াল থেকে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেছে। এতে হোটেলের কোন লোকজন জড়িত নয়। অপরদিকে প্রত্যক্ষদর্শী সুত্র জানায়, হোটেল জামান সহ একই লাইনের ৩০/৪০ টি অবৈধ দোকান ঘর ছনুয়াপাড়া লটারী কমিটির মালিকানাধিন। নেতৃবৃন্দরা হলেন,মৃত নুরুল হকের পুত্র শাহাদত আলী, মৃত আব্দুল মাবুদের পুত্র মোহাম্মদুল হক,আব্দুল আজিজের পুত্র আব্দুল কাদের ও আব্দুল হাকিমের পুত্র হাফেজ কলিমুল্লাহ। কমিটির এ নেতারা শুরু থেকেই উচ্ছেদে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে আসছিলেন। অভিযানিক দলকে ব্যর্থ করতে কখনো এক ঘন্টা সময় আবার ২৪ ঘন্টা সময় চেয়ে সময় ক্ষেপন করতে থাকেন। পরে সন্ত্রাসী জোগাড় করে অভিযানিক দলের উপর হামলা চালায়। এতে বুলডোজারের কাঁচ ভেঙ্গে ক্ষতিগ্রস্থ হয়। এ ব্যাপারে যথাযথ আইনী পদক্ষেপ নেয়া হবে জানিয়ে সওজ সুত্র উচ্ছেদ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান।
সওজ’র পক্ষে উচ্ছেদ অভিযানের নেতৃত্ব দেন এসডিই সাখাওয়াত হোসেন। উচ্ছেদ অভিযানকারীরা ৩টি পাকা ভবন, ৫টি আধা পাকা ভবন এবং ৫০টি ছোট–বড় টিনশেড ও টংঘর উচ্ছেদ করেন।
পাঠকের মতামত: