ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ২ জানুয়ারী ২০২৫

বিপুল অঙ্কের রাজস্ব ক্ষতি

চকরিয়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের পুকুর ইজারায় অনিযমের অভিযোগ 

চকরিয়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের একটি পুকুর ২০২১ সাল থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত পাঁচ বছর মেয়াদে মাছ চাষের জন্য ইজারা নিয়েছেন চকরিয়া পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের সমমেরপাড়ার আব্বাস আহমদ এর ছেলে নেজাম উদ্দিন। ২০২১ সালের ৩১ মে তারিখে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও তৎকালীন চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সৈয়দ শামসুল তাবরীজ চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করেন। সেই থেকে নেজাম উদ্দিন পুকুরে মাছ চাষ করে আসছেন। চুক্তি অনুযায়ী ২০২৫ সালের ৩১ মে পর্যন্ত তাঁর মেয়াদ রয়েছে।
অভিযোগ উঠেছে, বর্তমান ইজারাদারের মেযাদ শেষ হবার পাঁচ মাস আগে  চকরিয়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের উল্লেখিত পুকুরটি (জলাশয়) রোববার ২৯ ডিসেম্বর নতুন করে নিজের পছন্দের লোককে গোপনে ইজারা দিয়েছেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। এই অনিয়মের মাধ্যমে প্রধান শিক্ষক মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিলেও বিদ্যালয় ইজারা খাতে বড়ধরণের রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। এমনকি পুকুরটি ইজারা দেয়ার বিষয়ে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তিও দেওয়া হয়নি।
এই ধরণের আপত্তি তুলে ধরে গত সোমবার (৩০ ডিসেম্বর)  স্থানীয় সমশেরপাড়া এলাকার রানা, তৌহিদ, আতিক, জাহেদ ও জাফর আলম বাদি হয়ে চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ আতিকুর রহমান এর কাছে লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছেন।
চকরিয়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ( ইউএনও) মোহাম্মদ আতিকুর রহমান বলেন, বিদ্যালয়ের পুকুর ইজারায় অনিয়ম অসঙ্গতির ঘটনা নিয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিষয়টি তদন্ত করে রিপোর্ট দিতে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

পাঠকের মতামত: