ঢাকা,শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪

গোমাতলীতে অগ্নি সংযোগের ঘটনায় আরো একজনের মৃত্যু

mirtuমোঃ রেজাউল করিম, ঈদগাঁও, কক্সবাজার :::

পোকখালীর গোমাতলীতে পেট্রোলের অগ্নিসংযোগে গুরুতর দ্বগ্ধ আরো একজনের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার সকাল ১০টা নাগাদ তার মৃত্যুর খবর জানা যায়। নিহতের নাম মো. রিদুয়ান। তার বয়স আনুমানিক আড়াই বছর। তার পিতা জসিম উদ্দীন এর আগের দিন পৌনে ৩টার দিকে ঢাকা হাসপাতালে নেয়ার পথে দাউদকান্দির চট্টগ্রাম রোডে মারা যান। এ ঘটনায় তার স্ত্রী আশুরা বেগম পেট্রোলের আগুনে ক্ষতবিক্ষত হয়ে এখন ঢামেক হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন। এদিকে নিহত জসিমের মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য আজ সকালে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে ঢুকানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন তার শ^শুর আবু ছৈয়দ। তিনি কান্নাজড়িত কন্ঠে এ প্রতিবেদকের কাছে তার মেয়ে আশুরা বেগমের বারবার খোঁজ চাচ্ছেন। উল্লেখ্য, দূর্ঘটনার পরই আশুরা বেগম, তার স্বামী জসিম উদ্দীন ও তার শিশুপুত্র রিদুয়ানকে মালুমঘাট হাসপাতাল হয়ে ঢাকা মেডিকেলে পাঠানো হয়। নেয়ার পথে জসিমের মৃত্যু হয়। বাকী দুজনকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার সকালে শিশুপুত্রের মৃত্যু হয়। গোমাতলীর এক লোক এবং শিশু রিদুয়ানের নানা আবু ছৈয়দ মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করেছেন। বিভিন্ন সূত্র জানিয়েছে জসিমের আপন ভাই মোহাম্মদ রশিদ প্রকাশ ভুলাইয়া বাড়ীর চীপ ও জসিমের কক্ষের জানালা দিয়ে ভেতরে পেট্রোল নিক্ষেপ করে তাতে অগ্নিসংযোগ করে। এতে চারজন শরীরের বিভিন্ন স্থানে পুড়ে ক্ষতবিক্ষত হয়ে উঠে। এর মধ্যে জসিমের মা নুর বানু বেগমও রয়েছেন। এর আগেও ভুলাইয়া তার অপর ভাই মোস্তফার স্ত্রী শাকিলাকে বেধড়ক মেরে মাথা ফেটে দিয়েছিল। অগ্নিদ্বগ্ধদের সাথে থাকা গোমাতলীর সাবেক মেম্বার এহেছান উল্লাহ জানান, জীবিতদের হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। তবে তাদের অবস্থা এখনো আশঙ্খামুক্ত নয় বলে মন্তব্য তার। বর্তমান মেম্বার কলিম উল্লাহ কি কারণে ভুলাইয়া নিজের মা, ভাই, ভাবী ও ভাইপোর উপর এ বর্বর ঘটনা ঘটিয়েছে তা বুঝা যাচ্ছে না। এদিকে এ ঘটনায় ভুলাইয়ার বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চালাচ্ছে সৌদি আরব ফেরত অপর ভাই মোস্তফা।

পাঠকের মতামত: