হঠাৎ করে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে গরুচোরের উৎপাত বেড়েছে। প্রতিদিনই উপজেলার কোনো না কোনো গ্রামে হানা দিচ্ছে চোরের দল। গরু চুরির পর ধানক্ষেতে জবাই করে মাংস লুটেরও ঘটনা ঘটেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত দুই মাসে উপজেলার ১৮ ইউনিয়নের সবকটি গ্রামে গরু চুরির ঘটনা ঘটেছে। বিশেষ করে উপকূলীয় চিরিঙ্গা, বদরখালী, কোনাখালী, ঢেমুশিয়া, পশ্চিম বড় ভেওলা ছাড়াও সাহারবিল, হারবাং, বরইতলী, লক্ষ্যারচর, কাকারা, সুরাজপুর-মানিকপুর, ফাঁসিয়াখালী, ডুলাহাজারা ইউনিয়নে চুরির ঘটনা ঘটছে বেশি। চুরি হওয়া শতাধিক গরুর কোনো হদিস মেলেনি। একের পর এক চুরি হচ্ছে গরু। এই অবস্থায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে গরু লালন-পালন করে জীবিকা নির্বাহকারী মানুষের মাঝে।
উপজেলার হারবাং ইউনিয়নের লালব্রিজ এলাকার বাসিন্দারা জানান, শুক্রবার সকালে ঘুম থেকে উঠে বাড়ির কাছের ধানক্ষেতে তাঁরা দেখতে পান জবাই করা গরুর নাড়ি-ভুঁড়ি এবং পৃথিবীর আলোর দেখার আগেই মায়ের মাংসের জন্য হত্যা করা দুটি বাছুর পড়ে রয়েছে। খবরটি ছড়িয়ে পড়লে তা দেখতে সেখানে জড়ো হন শত শত মানুষ।
হারবাং ইউনিয়নের লালব্রিজ নাথপাড়ার বাসিন্দা ডা. বিজয় নাথ জানান, গত শুক্রবার ভোররাতের যেকোনো সময় অজিত নাথ ও জয়ন্তু বড়ুয়ার বসতবাড়ির গোয়ালঘর থেকে দুটি গরু চুরি হয়। এর মধ্যে একটি গাভি রয়েছে। গরুটি মাসখানেকের মধ্যে বাচ্চা জন্ম দিত বলে জানিয়েছে তারা।
পাঠকের মতামত: