ঢাকা,শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪

খুটাখালীতে ড্রেসার মেশিন দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন ঃ দেখার যেন কেউ নেই !

baluচকরিয়া সংবাদদাতা ::

চকরিয়া উপজেলার খুটাখালী ইউনিয়নের উত্তর ফুলছড়ি খাসঘোনা এলাকায় খুটাখালী ছড়া থেকে সরকারি ইজারা ও অনুমোদনবিহীন ড্রেসার মেশিন দিয়ে দীর্ঘ নয় বছর যাবৎ বালু উত্তোলন এবং ছড়ার দুপাড়ের বাঁধ ভাঙ্গনসহ স্থানীয় বাসিন্দাদের নচেৎ ক্ষতিসাধনের অভিযোগ উঠেছে ।

এ বিষয়ে এলাকার সচেতন মহল জানান, দেশের প্রচলিত আইন অমান্যকারী প্রভাবশালী ৮/৯জনের একটি সিন্ডিকেট দীর্ঘ যাবৎ খুটাখালী ছড়ার রাবার ড্রামের উপরে ও নিচের অংশটুকুতে সরকারি ইজারা বিহীন বা অনুমোদনছাড়া ড্রেসার মেশিন দিয়ে সম্পূর্ণ অবৈধভাবে এ পর্যন্ত বালু উত্তোলনের কাজ ব্যাহত রেখেছে। এতে লক্ষ লক্ষ টাকার সরকারের রাজস্ব ফাঁকি বলে মন্তব্য এলাকাবাসীর। এছাড়াও ছড়া থেকে বালু উত্তোলন করাতে ছড়ার দুপাড় ক্ষত-বিক্ষত ও খন্ড খন্ড হয়ে ভেঙ্গে গেছে ছড়ার দু পাড়। এতে উত্তর ফুলছড়ি কচিখোলা ও খাসঘোনা এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা, স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসা পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রী সহ সাধারণ জনগণের চলাফেলার চরম দুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এমনকি ছড়ার দু’পাশের পার্শ্ববর্তী বাড়ীওয়ালাদের ইটের ঘেরাও সীমান্ত দেয়াল পর্যন্ত বিলীন হয়ে ছড়ায় পতিত হয়েছে। তাই এ অবৈধ বালু উত্তোলনের ফলে সরকারের রাজস্ব ফাঁকি , ছড়ার বেড়িবাঁধ ভাঙ্গন , তা পুন:রায় সরকার পক্ষের পুন: বাঁধ নির্মান সহ আমন, ব্যুরো ধান চাষাবাদীদেরও অফুরন্ত ক্ষতিসাধন হচ্ছে বলে জানান। অনুসন্ধান সূত্রে জানা যায় , সরকারি অনুমোদন ও ইজারা ছাড়া দীর্ঘ কয়েক বছর যাবৎ মিঠাপানি ও লবণাক্ত পানি চলামান অবস্থাতে বর্ষার মৌসুম ব্যতিত সারা বছরই অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করেন। তারা হলেন , অত্র ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের উত্তর ফুলছড়ি খাসঘোনা গ্রামের বাসিন্দা প্রভাবশালী বাসিন্দা । ভয়ঙ্কর প্রকৃতির লোক নানান অপকর্মের মূলহুতা এবং অত্র পেশার গড ফাদার ছাবের আহমদের পুত্র মো: ইদ্রিস (২৮) , একই গ্রামের মৃত ছৈয়দ নুরের পুত্র মো: জব্বার (৩৫ , জাকের আহমদের পুত্র আলী আহমদ (৩০) , বশির আহমদ (৩৩), সাহাব মিয়া পুত্র , সোলতান আহমদ (২৮) , মৃত সামশুল আলমের পুত্র সাহাব মিয়া (২৮), ফরিদুল আলমের পুত্র মো: জুনাইদ (২৫) ও মৃত আব্দুল আলিমের পুত্র ছলিম (২৮) গংরা বালু উত্তোলন করেন।

জানতে চাইলে, বালু উত্তোলনকারী আলী আহমদ , সোলতান আহমদ জানান , তারা সরকারি ইজারা না নিলেও সরকার কর্তৃপক্ষের অনুমোদন নিয়েছে এবং উত্তোলনকৃত বালুগুলি মাতারবাড়ী কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্পের এক ঠিকারদারকে বিক্রি করে। এছাড়াও উক্ত বালু মহেশখালী , কুতুবদিয়া সহ বিভিন্ন এলাকায় বিক্রি করে বলে জানিয়ে তাৎক্ষণিক তারা চলে যায়। এতে আর কিছু জানা হল না।

সরকারি রাজস্ব না দিয়ে কিংবা সরকার কর্তৃপক্ষের লিখিত কোন অনুমোদন কপি না নিয়ে , এ কেমন নাটকীয় অনুমোদন প্রশ্ন এলাকার সচেতন মহলের। বিধায় এ বিষয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

পাঠকের মতামত: