ঢাকা,শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪

কোলের শিশু হারিয়ে দিশেহারা মা

pic_aisa_and_arjinaএম.জুবাইদ. পেকুয়া :::

টইটং ইউনিয়নের সোনাইছড়ি মৌলভী পাড়া এলাকার আয়েশা ছিদ্দিকা (২২)। ২০১১ সালে সামাজিকভাবে বিয়ে হয় বারবাকিয়া ইউনিয়নের পাহাড়িয়াখালী এলাকার জাফর আহমদের পুত্র সৌদি প্রবাসী সরওয়ার উদ্দিনের সাথে। কিছুদিন সুঃখে শান্তিতে সংসার চললেও যৌতুক লোভী স্বামীর অত্যচারে জর্জরিত হয়ে ওঠে তার জীবন। এরই মধ্যে বেশ কয়েকবার পিতার বাড়িতে তাকে পাঠিয়ে দিলেও স্থানীয় শালিষকারেরা মিমাংসার নাম করে শশুরালয়ে ফেরত পাঠায়। কিন্তু সে শাশুর বাড়িতে ফিরে আসলেও সুঃখ ফেরত আসেনি তার জীবনে। বরং যৌতুক লোভী স্বামী তার উপর অত্যচারের মাত্রা আরো বাড়িয়ে দেয়।

 এদিকে তাদের কোল জুড়ে আসে শিশু সন্তান আরজিনা সোলতানা। এরপরও স্বামীর অত্যচারের হাত থেকে নিস্তার না পাওয়ায় পিতার বাড়ি গিয়ে আশ্রয় নেয় আয়েশা। পিতার সহয়তায় দারস্থ হয় আদালতের। স্বামী, শ্বশুর ও শাশুড়ির বিরুদ্ধে যৌতক আইনে মামলা রুজু করে। যার মামলা নং ১৩৯১/১৬ইং। আদালত সরওয়ার এর বিরুদ্ধে গ্রেফতারী ওয়ারেন্ট জারী করলেও পলাতক থাকায় তাকে আইনের আওতায় আনা যায়নি। এর মধ্যে সে গোপনে দেশ ত্যাগের চেষ্টা চালায়। পরিশেষে গত ২৭ ডিসেম্বর মঙ্গলবার দেশ ত্যাগ করতে সফল হয় সে।

কিন্তু সে দেশ ত্যাগের আগের দিন ২৬ ডিসেম্বর সোমবার আয়েশা ছিদ্দিকার পিতার বাড়িতে অর্তকিতভাবে গিয়ে ১৪ মাস বয়সি শিশু আরজিনা ছিদ্দিকাকে নিয়ে কৌশলে পালিয়ে যায়। সে থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত কোন হদিস মিলেনি ওই শিশুর। সম্ভাব্য সকল খোঁজেও তাকে না পেয়ে উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে দারস্থ হয়। যার মামলা নং এম আর ১০৬/১৬ইং। এদিকে আদালত শিশুটিকে খোঁজে বের করতে চার্জ ওয়ারেন্ট জারী করে। সর্বশেষ পেকুয়া থানার এসআই কামরুল ইসলাম স্বামীর পিতা জাফর আহমদসহ তার আত্বীয় স্বজনের বাড়িতে তল্লাসি অভিযান চালিয়েও শিশুটিকে উদ্ধার করা যায়নি।

 আয়েশা ছিদ্দিকা জানায়, ১৪ মাসের ছোট আমার শিশুকে খোঁজে ফেতে আমি দিশেহারা। এদিকে তাকে ফেরত দিবে বলে ১লাখ টাকা দাবী করেছে আমার শ্বশুর বাড়ির লোকজন। এখনই আমি শিশুকে খোঁজে না ফেলে আত্মহত্যা করা ছাড়া উপায় নাই।

বারবাকিয়া ইউপি সদস্য এনামুল হক জানান, শিশুটি সরওয়ারের পিতার পরিবারের কাছেই রয়েছে। এ বিষয়ে থানায় বৈঠকের আয়োজন করলেও তারা উপস্থিত হয়নি। আমরা চেষ্টা করতেছি ছেলেটিকে মায়ের কোলে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য।

পাঠকের মতামত: