ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ ২০২৫

কোচিং বাণিজ্যে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে শিক্ষাব্যবস্থা

স্কুলপর্যায়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দীর্ঘসময় ধরে অবস্থান করেন একজন শিক্ষার্থী। ওইসময়ে তাকে দৈনিক একাধিক বিষয়ে পড়ানো হয়। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছেÑ বিদ্যালয়ের ওই পড়ানোয় পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করার জন্য লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য অর্জিত হচ্ছে না। ফলে শ্রেণিকক্ষে পাঠ গ্রহণের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের বাসায় প্রাইভেট মাস্টার অথবা বাইরে কোচিং সেন্টারে ভর্তি হতে হচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রে প্রাইভেট মাস্টার ও কোচিং উভয় মাধ্যমে পাঠ গ্রহণ করছেন শিক্ষার্থীরা। এ তো গেল স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে বাধ্য হয়েও প্রাইভেট এবং কোচিং করতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের। অসামর্থ্যবান অনেক শিক্ষার্থী চাপে পড়ে বাধ্য হচ্ছেন। প্রাইভেট পড়তে বা কোচিং না করায় পাস করার উপযুক্ত শিক্ষার্থীদের ফেল করিয়ে দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে বিস্তর। এমন পরিস্থিতির শিকার হয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নেওয়ার নজিরও রয়েছে আমাদের চোখের সামনে। এজন্য প্রাইভেট ও কোচিং বাণিজ্যের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে শিক্ষা ব্যবস্থা।

প্রাইভেট ও কোচিংয়ে অতিষ্ঠ অভিভাবক
শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দেশে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষায় শ্রেণিশিক্ষকের অনৈতিক বাধ্যতামূলক প্রাইভেট ও কোচিংয়ে অতিষ্ঠ তারা। বিশেষ করে বার্ষিক পরীক্ষা সামনে রেখে এ যন্ত্রণা আরও তীব্র হয়। পরীক্ষায় ফেল করিয়ে দেওয়া বা নম্বর কম দেওয়াসহ অন্যান্য ভয় দেখিয়ে শিক্ষকরা তাদের কাছে শিক্ষার্থীদের প্রাইভেট পড়তে বাধ্য করছেন। এছাড়া পরীক্ষার আগে প্রশ্নপত্র পাওয়া, কম বা ভুল লিখলেও বেশি নম্বর পাওয়ার প্রলোভনও দেখানো হয়। ফলে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা এ শিক্ষকদের কাছে জিম্মি হয়ে পড়ছেন। এসব অনৈতিক প্রাইভেট বা কোচিংয়ের চাপ দিন দিন বাড়তে থাকায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে নৈতিকতা ও মূল্যবোধ গড়ে উঠছে না। শিক্ষার্থীদের মেধার বিকাশ ও নৈতিকতা অর্জনের স্বার্থে অবিলম্বে বাধ্যতামূলক কোচিং ও প্রাইভেট পড়ার প্রথা বন্ধ করার পক্ষে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। তারা চান, শিক্ষার্থীদের শ্রেণিকক্ষেই আন্তরিকভাবে পাঠদান করুন শিক্ষকরা।
৮৫ শতাংশ শিক্ষার্থী ‘প্রাইভেট’ বা ‘কোচিং’নির্ভর
প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীরা কী পরিমাণে কোচিং ও প্রাইভেটনির্ভর, সেই পরিসংখ্যানে যে কারো কাছেই অবিশ্বাস্য বলে মনে হবে। বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থাগুলোর মোর্চা গণস্বাক্ষরতা অভিযানের উইং ‘এডুকেশন ওয়াচ’ ২০২২ সালে একটি জরিপ শুরু করে, ওই জরিপের ফলাফল জানাতে ২০২৩ সালে সেপ্টেম্বরে ঢাকার চীন-মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়। এতে দেখা যায়, মাধ্যমিক স্তরের অষ্টম ও নবম শ্রেণির ৮৫ দশমিক ১৫ শতাংশ শিক্ষার্থী ‘প্রাইভেট টিউটর’ বা ‘কোচিং’-এর ওপর নির্ভর করেন। শহর ও গ্রামাঞ্চলÑ সব পর্যায়েই এ চিত্র উঠে এসেছে ওই প্রতিবেদনে। অভিভাবকদের তথ্যানুযায়ী, অষ্টম শ্রেণির প্রায় ৬৪ শতাংশ এবং নবম শ্রেণির ৫০ শতাংশ শিক্ষার্থী প্রাইভেট পড়ার জন্য প্রতি মাসে ১ হাজার ১০০ থেকে ৩ হাজার টাকা পর্যন্ত ব্যয় করেছে। গবেষণায় প্রাথমিক উপাত্তের উৎস ছিল দেশের আটটি বিভাগের প্রতিনিধিত্বকারী শিক্ষার্থী, শিক্ষক, অভিভাবক, শিক্ষা কর্মকর্তা ও স্থানীয় এনজিও কর্মী। মোট উত্তরদাতার সংখ্যা ছিল ৫ হাজার ৬৯২। এর মধ্যে ৩ হাজার ৮২১ জন প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। যার মধ্যে প্রায় সমানসংখ্যক ছেলে ও মেয়ে। আট বিভাগের ৮টি জেলা ও ২১টি উপজেলা এবং ২টি সিটি করপোরেশন এ গবেষণার অন্তর্ভুক্ত ছিল।
জানা গেছে, অনেকটা বাধ্য হয়েই প্রাইভেট পড়ান অভিভাবকরা। দেশবাসীর হৃদয়কে নাড়া দিয়েছিল রাজধানীর হলিক্রস স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী পারপিতা ফাইহার আত্মহত্যার ঘটনায়। ২০২২ সালের ২৩ আগস্ট এ পথ বেছে নেওয়া নেপথ্যের কাহিনীও আমাদের জানা রয়েছে। তার অপরাধ ছিল কোচিং না করা, এ কারণে তাকে পরীক্ষায় অকৃতকার্য করা হয়। অপমানে আত্মহত্যা করে হলিক্রস স্কুল অ্যান্ড কলেজের সেই ছাত্রী। সহপাঠী ও স্বজনরা তখন জানিয়েছিলেন, স্কুলের উচ্চতর গণিতের শিক্ষক শোভন রোজারিওর কাছে প্রাইভেট না পড়ায় ফাইহাকে ফেল করিয়ে দেয়া হয়। অপমান সইতে না পেরেই আত্মহননের পথ বেছে নেন ফাইহা। এর আগে একই বছরের এপ্রিলে সিরাজগঞ্জের তাড়াশ সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রাইভেট না পড়ায় পিটিয়ে মাহিয়া রহমান নামে এক শিক্ষার্থীর হাত ভেঙে দেয়া হয়। সেখানে অভিযুক্ত খোদ প্রধান শিক্ষক আলী হাসান। অভিভাবকরা বলছেন, সংশ্লিষ্ট শিক্ষকের কাছে প্রাইভেট না পড়লে নম্বর কম দেয়ার পাশাপাশি শ্রেণিকক্ষে মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন করা হয়। বাধ্য হয়েই শ্রেণিশিক্ষকের কাছে প্রাইভেট বা কোচিং করাচ্ছেন তারা। অভিভাবকরা বলেন, নিজের ক্লাসের শিক্ষার্থীকে প্রাইভেট পড়তে বাধ্য করেন শিক্ষক। তার কাছে কোচিংয়ে পড়তে যেতে এবং না পড়লে তার প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ করেন। কখনো তাকে কম নম্বর দেয়াসহ ফেল করিয়ে দেওয়া হয়।
ঢাকার নামকরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সামসুল হক স্কুল এন্ড কলেজের অভিভাবক মীর আনোয়ার হোসেনের সঙ্গে এ প্রতিবেদকের কথা হয়। তিনি জানান, স্কুল পর্যায়ে একজন শিক্ষার্থীর মাসিক বেতন দিতে হয় ১৫শ’ টাকা। আর স্কুলের তত্ত্বাবধানে কোচিং (বাধ্যতামূলক) পরিচালনা করা হতো, সেই কোচিংয়ের ফি ছিল তিন হাজার টাকা। কিন্তু দলীয় সরকারের পতন হয়ে অন্তর্বর্তী সরকার প্রতিষ্ঠার পর থেকে ওই অবৈধ কোচিং বাণিজ্য সাময়িকভাবে বন্ধ রেখেছে কর্তৃপক্ষ। তিনি এও জানান, বিদ্যালয়ে পাঠদান এবং প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব কোচিংয়ের পড়ার পরও তার সন্তানের পড়া কমপ্লিট হচ্ছে না। এরপর তিনি একাধিক শিক্ষকের কাছে বিষয়ভিত্তিক প্রাইভেট পড়ান সন্তানকে, এতে আরও বাড়তি ব্যয় তার অন্তত ১০ হাজার টাকা। অর্থাৎ মাধ্যমিক পর্যায়ে একজন শিক্ষার্থীর জন্য তার পরিবারের মাসিক বেতন ও প্রাইভেট শিক্ষকের সম্মানিতে ব্যয় হচ্ছে সাড়ে ১৪ হাজার টাকা। তিনি জানান, অনেকের সন্তান কম মেধাবী হলে তার পেছনে সামর্থ্যবান অভিভাবকের ব্যয় আরও বেশি।
কোচিং বাণিজ্য বন্ধে সরকারি নির্দেশনা অকার্যকর
শিক্ষাক্ষেত্রে কোচিংয়ের এ অবাধ বাণিজ্য লক্ষ করে এবং অভিভাবকদের দুর্দশার কথা চিন্তা করে পতিত সরকারের সময় ২০১২ সালে কোচিং বাণিজ্য বন্ধে নির্দেশনা জারি করে, যা সরকারের উপলব্ধি এবং হাইকোর্টের আদেশে ২০১৯ সালে গেজেট আকারে প্রকাশিত হয়। কোচিং বাণিজ্য বন্ধের জন্য ভুক্তভোগী অভিভাবকের পক্ষে হাইকোর্টে রিটও করা হয়। গেজেটে কোনো প্রতিষ্ঠানের শিক্ষককে নিজ স্কুলের শিক্ষার্থীকে কোচিং করতে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। তবে প্রতিষ্ঠানপ্রধানের অনুমতি সাপেক্ষে তিনি অন্য স্কুলের অনধিক ১০ শিক্ষার্থীকে প্রাইভেট পড়াতে পারবেন। নিয়মিত ক্লাসের পর অনধিক ৪০ শিক্ষার্থীকে নিয়ে মাসে ১২টি ক্লাসের জন্য সর্বোচ্চ ৩০০ টাকার বিনিময়ে প্রতিষ্ঠানপ্রধান স্বীয় স্কুলের শিক্ষার্থীদের প্রাইভেট পড়াতে অতিরিক্ত ক্লাসের ব্যবস্থা করতে পারেন। তবে দরিদ্র শিক্ষার্থীদের জন্য প্রতিষ্ঠানপ্রধান বেতনের টাকা কমাতে বা মওকুফ করতে পারেন। প্রাইভেট পড়ানোর বেতন বাবদ পাওয়া টাকা থেকে ১০ শতাংশ পানি, বিদ্যুৎ ও সহায়ক কর্মচারীদের খরচ বাদ দিয়ে বাকি টাকা শিক্ষকরা প্রাপ্য হবেন। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদ কোচিং বাণিজ্য রোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলে গেজেটে বলা হয়েছে।
এমপিওভুক্ত কোনো প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক নীতিমালা ভঙ্গ করলে এমপিও স্থগিত, বাতিল, বেতন-ভাতা স্থগিত ও বাতিল, বেতন এক ধাপ অবনমিতকরণ, সাময়িক বরখাস্ত ইত্যাদি শাস্তি অভিযুক্ত শিক্ষকদের বিরুদ্ধে আরোপ করা যেতে পারে মর্মে নীতিমালায় বলা আছে। এমপিওবিহীন শিক্ষকদের বিরুদ্ধেও একই ধরনের শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করার কথা বলা হয়েছে। নীতিমালার বাস্তবায়ন তদারকির জন্য মেট্রোপলিটন ও বিভাগীয় শহরে অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনারের নেতৃত্বে ৯ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। কোচিং বাণিজ্য বন্ধে যতই বিধিনিষেধ আরোপ করা হোক না কেন, বাস্তব ক্ষেত্রে এ নীতিমালা খুব একটা কার্যকর হচ্ছে বলে মনে হয় না। নীতিমালা বাস্তবায়ন না হওয়ার অন্যতম কারণ তদারকির অভাব। আবার দীর্ঘদিনের চর্চায় নিজ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের কাছে প্রাইভেট পড়ার যে অভ্যাস তৈরি হয়েছে, তা থেকে বের হয়ে আসা কঠিন। এখানে শিক্ষকরা যেমন বাণিজ্যিকভাবে লাভবান, একইভাবে অভিভাবক এবং শিক্ষার্থীরাও উৎসাহী ও নির্ভার।
অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক শুভ্রেন্দু ভট্টাচার্য একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের জরিপের বরাত দিয়ে বলেন, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এক-তৃতীয়াংশের বেশি শিক্ষার্থী প্রাইভেট পড়ে। জরিপে অংশ নেওয়া এক-তৃতীয়াংশ মানুষের ধারণা, শিক্ষার্থীরা প্রাইভেট টিউটরের কাছে না পড়লে নানা সমস্যায় পড়ে; এমনকি তারা ফেল করে। বাস্তব ক্ষেত্রে পর্যবেক্ষণ করলে দেখা যায়, প্রাথমিক থেকে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক স্তরেই প্রাইভেট পড়ুয়ার সংখ্যা অনেক বেশি, বিশেষ করে মেট্রোপলিটন, বিভাগীয় ও জেলা শহরে কোনো শিক্ষার্থী প্রাইভেট পড়ে না, তা খুঁজে পাওয়া খুব কঠিন। অভিভাবকরাও এ ব্যাপারে সিরিয়াস নবম ও দশম শ্রেণির প্রায় শতভাগ শিক্ষার্থী প্রাইভেট টিউটরের কাছে পড়ে এবং বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই শিক্ষার্থীরা নিজ স্কুলের শিক্ষকদের কাছে পড়তে নিরাপদ ও স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে। উচ্চমাধ্যমিক স্তরেও শিক্ষার্থীদের প্রাইভেট পড়ার হার বাড়ছে।
বেতন বৈষম্যের অভিযোগ তুললেন শিক্ষক
ভোলা জেলার লালমোহন উপজেলার পূর্ব গাইমারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোহাম্মদ সফিউল্যাহর সঙ্গে কথা হয় এ প্রতিবেদকের। তিনি বলেন, শিক্ষকদের বেতন কম, তাই তারা শ্রেণিকক্ষে গিয়ে পাঠদানে আন্তরিক হচ্ছেন না। তিনি জানান, সরকারি একজন গাড়িচালক হতে যোগ্যতা লাগে অষ্টম শ্রেণি পাস। ওই চালকের বেতন হয় ১২তম গ্রেডে। আর সরকারি প্রাথমিকের শিক্ষকদের বেতন হচ্ছে ১৩তম গ্রেডে, যা শিক্ষকদের জন্য খুবই অমর্যাদাকর। ফলে শ্রেণিকক্ষে গিয়ে শিক্ষকরা পড়ায় মন বসাতে পারেন না। এ বৈষম্য দূর করতে হবে। তাহলে শিক্ষকদের মধ্যে কাজের উদ্যম তৈরি হবে।
যা বলছেন ড. এম কোরবান আলী
বাংলাদেশ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভাইস চ্যান্সেলর ও বাংলাদেশ আদর্শ শিক্ষক ফেডারেশনের সভাপতি প্রফেসর ড. এম কোরবান আলীর সঙ্গে কথা হয় এ প্রতিবেদকের। তিনি বলেন, আমরা চাই সব শিক্ষার্থী শ্রেণিকক্ষেই লেখাপড়া শেষ করে ফেলুক। কিন্তু অনেক শিক্ষার্থী অমনোযোগী থাকে এবং লেখাপাড়ায় আগ্রহী না থাকায় তা সম্ভব হচ্ছে না। তিনি বলেন, তারপরও উচিত বিদ্যালয়েই লেখাপড়া কমপ্লিট করিয়ে দেওয়া। কিন্তু কোনো শিক্ষক নিজ উদ্যোগে কোচিং বা প্রাইভেট পড়াতে পারবেন না। এতে করে ওই শিক্ষকের পরীক্ষার রেজাল্টের ক্ষেত্রে স্বজনপ্রীতি করার আশঙ্কা থাকে। এমনটা ঘটেছেও। কারণ তার বাণিজ্য ঠিক রাখার জন্য তিনি প্রাইভেট বা কোচিংয়ের শিক্ষার্থীদের খাতা দেখার ক্ষেত্রে সদয় থাকেন, নম্বর বাড়িয়ে দেন। এজন্য শিক্ষকদের কোচিং বা প্রাইভেট পড়ানোর সুযোগ নেই। তবে খুই দুর্বল শিক্ষার্থী হলে স্কুলের যৌথ উদ্যোগে কোচিং হতে পারে, সেক্ষেত্রে শিক্ষার্থীরা ফি দিবে স্কুলে, যার অংশবিশেষ সংশ্লিষ্ট শিক্ষক পাবেন। এক্ষেত্রে স্বজনপ্রীতির সুযোগ কম। তবে সর্বোপরি তিনি শিক্ষকদের শ্রেণিকক্ষেই পাঠদান শেষ করার পরামর্শ দিয়েছেন প্রবীণ এ শিক্ষাবিদ।

পাঠকের মতামত: