ঢাকা,রোববার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪

কৈয়ারবিলে ২৬ বসতঘরে আগুন, নারী খুনের মামলার আসামী সন্ত্রাসী কানা মহিউদ্দিন গ্রেপ্তার

এম.জিয়াবুল হক, চকরিয়া ::  চকরিয়া উপজেলার কৈয়ারবিল ইউনিয়নের খিলছাদক ভাঙ্গারচর এলাকায় আগুনে ২৬ বসতঘর পুড়িয়ে দেয়া এবং আগুনে পুড়িয়ে নারী খুনের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার অন্যতম আসামি মহিউদ্দিন প্রকাশ কানা মহিউদ্দিনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সোমবার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে হারবাং পুলিশ ফাড়ির আইসি আমিনুল ইসলামের নেতৃত্বে পুলিশের একটিদল উপজেলার বরইতলী ইউনিয়ন থেকে মহিউদ্দিনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হন। এদিকে বরইতলীর শীর্ষ সন্ত্রাসী হত্যা, অস্ত্র সহ একাধিক মামলার আসামি কানা মহিউদ্দিন গ্রেফতার হওয়ায় স্বস্তির নি:শ^াস ফেলেছেন এলাকাবাসি।

থানা পুলিশ জানিয়েছে, মহিউদ্দীন প্রকাশ কানা মহিউদ্দীন চকরিয়া উপজেলার বরইতলী ইউনিয়নের শীর্ষ সন্ত্রাসী। তাঁর বিরুদ্ধে হত্যা, অস্ত্র আইন, দখলবাজি চাঁদাবাজি,মারামারির ঘটনায় একাধিক মামলা রয়েছে।

এছাড়াও গত ১৪ মে ভোররাতে কৈয়ারবিল ইউনিয়নের খিলছাদক ভাঙ্গারচর এলাকায় মাতামুহুরী নদীর জেগেউঠা চর জবরদখলে স্থানীয় একটি সন্ত্রাসী বাহিনী হামলা চালায়। ওইসময় ২৭ বসতঘর আগুনে পুড়িয়ে দেয় সন্ত্রাসীরা। আগুনে পুড়ে মারা গেছেন এক নারী। এ ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার অন্যতম আসামি কানা মহিউদ্দীন।

সর্বশেষ সোমবার চকরিয়া সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (চকরিয়া সার্কেল) কাজী মতিউল ইসলামের বিচক্ষণতা এবং নির্দেশে চকরিয়া থানার ওসি মো.হাবিবুর রহমানের মনিটরিংয়ে হারবাং পুলিশ ফাঁড়ির আইসি আমিনুল ইসলাম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে সন্ত্রাসী কানা মহিউদ্দিনকে গ্রেফতার করে। শীর্ষ এই সন্ত্রাসীর গ্রেফতারে এলাকাবাসী স্বস্তি জানিয়ে পুলিশকে প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানিয়েছে।

স্থানীয় এলাকাবাসি জানিয়েছেন, কানা মহিউদ্দীন এবং তার তিন ভাইয়ের নেতৃত্ব রয়েছে ৮/১০জনের একটি বাহিনী। তাদের নেতৃত্ব বরইতলী ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় দখল-বেদখল, সরকারী পাহাড়কাটা, মানুষের ঘরবাড়ি লুটপাট, চাঁদাবাজি নিত্যদিনের ঘটনা। চাহিদা মতো চাঁদা না দিলে চলতো হামলা-নির্যাতন। বিভিন্ন সময়ে একাধিক ঘটনা ঘটলেও এলাকাবাসী তাদের ভয়ে টু শব্দ করতে পারতো না। ইতিপূর্বেও কানা মহিউদ্দিন লম্বা বন্দুকসহ হত্যা মামলা নিয়ে পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন।#

পাঠকের মতামত: