কুতুবদিয়া প্রতিনিধি :: কক্সবাজারের কুতুবদিয়ায় ঝুঁকির আশঙ্কা নিয়েই রোজকার পারাপার চলছে আকবর বলী থেকে চট্টগ্রামের বাঁশখালী জেটিঘাটে। ঘাটের দায়িত্বে থাকা ঘাট মালিকদের আশঙ্কা, যে কোনও সময় বড়সড় দুঘর্টনা ঘটে যেতে পারে। এদিকে,২০০৫ সালে এই জেটি নির্মাণের কাজ শুরু হলেও বরাদ্দ না থাকায় সমাপ্ত হওয়ার আগে বন্ধ হয়ে যায়। ফলে,প্রতিদিন নানা ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন দুই ইউনিয়নের হাজারো মানুষ।
জানা গেছে,বর্তমানে উত্তর ধূরুং ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোগে কাঠের তৈরি মাচা দিয়েই চলছে যাত্রীদের উঠা-নামাসহ স্থানীয় ব্যবসায়ীদের মালামাল পরিবহন ও জেলেদের বিভিন্ন কার্যক্রম। এছাড়া প্রতি এক বছর পরপর নামমাত্র টাকায় কাঠের তৈরি এই জেটির ইজারাও দেন স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ।
এদিকে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল হালিমের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, অর্ধ নির্মিত এ জেটির প্রতিবছর ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে ইজারা দেওয়া হয়। এখানে যাত্রী পারাপার এবং মালামাল কম আসায় প্রতিবছর ২০-২৫ হাজার টাকায় ইজারা দেন বলে জানান তিনি।
স্থানীয়দের অভিযোগ, সরকারি ভাবে বরাদ্দ হলেও এখনো শুরু হচ্ছে না জেটি নির্মাণের কাজ। অর্ধ নির্মিত এই জেটি ভেঙ্গে নতুন জেটি নির্মাণ হলে লাভবান হবে কুতুবদিয়ার দুই ইউনিয়নের মানুষ। তাই দ্রুত জেটি নির্মাণের দাবী জানা তাঁরা।
আকবর বলী ঘাট থেকে বাঁশখালী যাত্রী পারাপারের ইজারাদার শাহ-ইউনুচ জানান, জোয়ারে কোন রকম ! তবে ভাটায় সাগরের পানি কমলে কাঠের তৈরি প্রায় ৫০ফুট নিচে
নেমে যায় নৌকা যা স্থানীয়দের পাশাপাশি বহিরাগত লোকজন চরম দুর্ভোগে পড়তে হয়। এখানে পারাপারের জন্য রয়েছে একটি নৌকা
১০টা যায় এবং বিকাল ৩টায় ফিরে আসে। তিনি দুঃখ প্রকাশ করে বলেন,দীর্ঘ দেড় যুগেও জেটি নির্মাণ না হওয়ায় বর্তমানে যাত্রী ও ব্যবসায়ীদের মালামাল পরিবহন আগের চেয়ে অনেকটা কমে গেছে।
এ বিষয়ে উপজেলা উপ-সহকারী প্রকৌশলী (এলজিইডি) জামাল খাঁন বলেন, টেন্ডার হয়ে গেছে। স্থানীয় ব্যবসায়ী ও যাত্রীদের ভোগান্তি পোহাতে নতুন জেটি নির্মাণের কাজ আগামী ডিসেম্বর বা জানুয়ারীতে শুরু হতে পারে। নতুন জেটি নির্মাণের বরাদ্দ ১৪-১৫ কোটি টাকা । বর্তমানে যেজেটি আছে তা প্রকল্প শেষ হওয়ার কারণে বন্ধ হয়ে যায় ।
পাঠকের মতামত: