ঢাকা,শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪

কুতুবদিয়ায় অপহরণের ৮ ঘন্টার মাথায় ভিকটিম উদ্ধার, আটক -২

নিজস্ব প্রতিনিধি, কুতুবদিয়া ::
অপহরণের ৮ ঘন্টার মাথায় ভিকটিমকে উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িত ২জনকে আটক করে। ভিকটিম যুবতী উদ্ধার পূর্বক পুলিশ হেফাজতে রয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, অপহরণের খবর পেয়ে কুতুবদিয়া থানার ডিউটি অফিসার এস,আই শামসুল হক সোমবার (১১মে) সকালে উত্তর কৈয়ারবিল এলাকা থেকে ভিকটিমসহ ঘটনায় জড়িত ২জনকে আটক করে।
পারিবারিক সূত্রে প্রকাশ, কক্সবাজারের কুতুবদিয়া দ্বীপের বড়ঘোপ ইউনিয়নের মিজ্জির পাড়ার নুরুল হোছাইনের কন্যা চলতি (২০২০) এসএসসি পরীক্ষার ফলপ্রার্থী মেহেরুন্নেছা (১৬) কে রবিবার দিবাগত রাত আড়াইটার সময় চেহরির ভাত রান্না করার জন্য উঠে। পূর্বে থেকে ওৎ পেতে থাকা একই এলাকার আবু ছিদ্দিকের ছেলে বখাটে মোঃ আলমগীরসহ ৫/৬ জন দূর্বৃত্ত মিলে মেহেরুন্নেছাকে মুখ বেঁধে অপহরণ করে নিয়ে যায়। অপহরণ মেহেরুন্নেছার মা, ভাই মিলে অনেক খোজাখোজি করে না পেয়ে থানায় খবর দেয়।
সোমবার সকাল ১১টায় একটি সূত্রে খবর পেয়ে উত্তর কৈয়ারবিল এলাকায় হাজি শরবত আলীর কন্যা স্বামী পরিত্যক্তা হাছিনা আকতারের বাড়ি থেকে হাত পা বাঁধা অবস্থায় ভিকটিম মেহেরুন্নেছাকে উদ্ধার করে পুলিশ। তাৎক্ষনিক ঘটনায় জড়িত আলমগীর ও হাছিনা আকতারকে আটক করে।
ভিকটিমের বড়ভাই মোঃ দেলোয়ার জানান, বিগত দুই বছর পূর্বে থেকে আটক মোঃ আলমগীর গাঁজা ও ইয়াবা সেবন করে ভিকটিম মেহেরুন্নেছাকে উত্ত্যক্ত করতো। এ বিষয়ে স্থানীয় গন্যমান্য ব্যাক্তিদের সালিশ বিচার দিয়ে কিছু দিন বন্ধ থাকলেও পূর্বপরিকল্পিতভাবে ক্ষিপ্ত হয়ে অপহরণ ঘটনা ঘটিয়েছে।
এ ব্যাপারে উদ্ধার অভিযানকারী এসআই শাসমুল হকের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, অপহরণের খবর পেয়ে ওসি দিদারুল ফেরদাউসের নির্দেশে ঘটনাস্থলে গিয়ে ভিকটিম মেহেরুন্নেছাকে উদ্ধার পূর্বক ঘটনায় জড়িত মূল আসামী মোঃ আলমগীর ও হাছিনা আকতারকে আটক করে।
অপহরণ ঘটনার বিষয়ে অপহৃত ভিকটিমের বড়ভাই মোঃ দেলোয়ার বাদি হয়ে আটক দুইজনসহ ৬ জনকে আসামী করে থানায় এজাহার দায়ের করেন।
কুতুবদিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ দিদারুল ফেরদাউসের সাথে কথা হলে তিনি ঘটনার বিষয়ে সত্যতা শিকার করেন। মামলার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানান।

পাঠকের মতামত: