নিজস্ব প্রতিনিধি, কুতুবদিয়া :: প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি উপকূলীয় এলাকার সাগরপথ /নদীপথের প্রত্যেক উপজেলার জন্য রোগীবাহি স্প্রীড বোট ব্যবস্হা করবেন। তারই ধারাবাহিকতায় অধিকাংশ উপকূলীয় উপজেলা স্বাস্হ্য কমপ্লেক্সে দৃশ্যমান রোগীবাহি স্প্রীড বোট দেওয়া হয়েছে।
দূর্ভাগ্যবসত কুতুবদিয়া দ্বীপের রোগীবাহি স্প্রীড বোটটি এখনো পায়নি কুতুবদিয়া দ্বীপের অবহেলিত রোগীরা। কুতুবদিয়া দ্বীপের জন্য যে এম্বুল্যান্সটি বরাদ্দ করেছে তা বাংলাদেশের মূল ভূখন্ডের পেকুয়া উপজেলায় রাখা হয়েছে। এ জন্য রোগীদের গলাকাটা মাইনে গুনতে হয়। আর কুতুবদিয়া সরকারি হাসপাতালে রোগী কক্সবাজার অথবা চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে উন্নত চিকিৎসার জন্য রেফার করলে বড়ঘোপ ফেরিঘাট,কুতুবদিয়া চ্যানেল পাড়ি দিতে দেড় থেকে দুই হাজার টাকা খরচ হয়ে যায়।
আর কুতুবদিয়া চ্যানেল পাড়ি দিতে রোগীদের উঠা নামায় কষ্টের শেষ নেই। ডেলিভারী রোগী হলে আর কথা নেই। বতর্মানে কুতুবদিয়া হাসপাতালের এম্বুল্যান্সের ড্রাইভার গাড়ি বিকল দেখিয়ে বাড়িতে গিয়ে বসে আছে। জয়নাল আবেদিন নামের এক রোগি গত শুক্রবার রাতে পায়ের আঘাত নিয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য গেলে তার বিপুল পরিমান টাকা খরচ করতে হেয়েছে। আজ যদি কুতুবদিয়া দ্বীপের জন্য সী এম্বুল্যান্স থাকতো তাহলে মারাত্নক ঝুঁকিপূর্ন রোগীদের এ দূভোর্গ পোহাতে হতো না। প্রধানমন্ত্রী ও স্বাস্হ্য অধিদপ্তরের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
পাঠকের মতামত: