ঢাকা,বুধবার, ২০ নভেম্বর ২০২৪

কুতুবদিয়ার অদূরে সাগরে মনিয়া ডাকাতের নেতৃত্বে ফিশিং ট্রলার ডাকাতি, ৫ জেলে নিখোঁজ

মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন ::  কক্সবাজার জেলার কুতুবদিয়ার অদূরে বঙ্গোপসাগরের গুলিরধার নামক স্থানে উপকূলের শীর্ষ নব্য জলদস্যু আবু ছিদ্দিক প্রকাশ মনিয়া ডাকাতের নেতৃত্বে মাছ ধরারত অবস্থায় এফ.বি মামুনসহ ৫ ফিশিং ট্রলারে গণডাকাতি শিকার হয়েছে । এ সময় জলদস্যু মনিয়া বাহিনীর মারধর সহ্য করতে না পেরে এফবি মামুন ফিশিং ট্রলারের ৫ জেলে সাগরে ঝাঁপ দেয়।

এ রির্পোট লেখা পর্যন্ত নিখোঁজ ৫ জেলে উপকূলে ফিরে আসেনি। এফবি মামুন ফিশিং ট্রলারসহ জেলেরা উপকূলে ফিরে এসে এ খবর জানায়।

কুতুবদিয়ার মাঝি মাল্লারা জানান, গত শনিবার দুপুরে কুতুবদিয়া উপকূলের উত্তর বড়ঘোপ উপকূল থেকে মাছ ধরার উদ্দ্যেশে সাগরে যায়। সোমবার (৩১ আগস্ট) রাতে সাগরের গুলিরধার নামক স্থানে মাছ ধরারত অবস্থায় মনিয়া ডাকাতের নেতৃত্বে আরো ১৪/১৫জনের জলদস্যু দল তাদের ট্রলারে হামলা চালায়। এ সময় জলদস্যুদের মারধর সহ্য করতে না পেরে জেলে মোঃ নাছির, মোঃ আজগর, সালাউদ্দিন, সোহেল,ফজল করিম সাগরে ঝাঁপ দেয়। অন্যান্য জেলেদের মারধর করে বরফ ষ্টোরে ডুকিয়ে রাখে। জলদস্যুরা মাছ,ডিজেল,জাল,মেশিনের যন্ত্রাংশসহ প্রায় ১৫ লাখ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়।

সূত্রে আরো জানা গেছে, গত দুই সপ্তাহ ধরে সাগরে উপকূলের শীর্ষ নব্য জলদস্যু পেকুয়া উপজেলার মগনামা ইউনিয়নের আবদু সালামের পুত্র আবু ছিদ্দিক প্রকাশ মনিয়া ডাকাতের নেতৃত্বে একদল অস্ত্রধারী জলদস্যু নির্বিচারে ফিশিং ট্রলারে ডাকাতিকরছে। অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা হত্যাকে কেন্দ্র করে পুলিশের গতিবিধি লক্ষ্য করে জলদস্যুরা সক্রিয় হয়ে আবারো সাগরে ডাকাতি কাজে নেমে পড়েছে। পুলিশের ভয়ে পালিয়ে থাকা জনৈক এক জলদস্যু সর্দ্দার এ সুযোগে ইদানিং কুতুবদিয়া উপকূলে ঢু পড়ে মনিয়া ডাকাতসহ জলদস্যুদের সাথে যোগাযোগ করার দৃশ্য চোখে পড়ার মতো। পুলিশ বাহিনীকে এ সব জলদস্যুদের নজরদারি আওতায় আনার অনুরোধ করেন জেলেরা।

কুতুবদিয়া ফিশিং ট্রলার মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোঃ জয়নাল আবেদীন বলেন, গত দুই সপ্তাহ ধরে সাগরে জলদস্যুদের উৎপাত বৃদ্ধি পেয়েছে। বিগত এক দেড় বছর ধরে সাগরে ফিশিং ট্রলার ডাকাতি হয়নি। পুলিশ র‌্যাব যৌথ অভিযানে উপকূলের তালিকাভূক্ত জলদস্যুদের আত্মসমর্পন, আটক, কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দেয়ায় নিরাপদ স্থানে চলে যায়। কিন্তুু ইদানিং অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা হত্যা নিয়ে কক্সবাজার জেলা পুলিশের নিস্ক্রিয়তা দেখে জলদস্যুরা এ সুযোগে দলবদ্ধ হয়ে আবার পূর্বের পেশায় ফিরে গিয়ে সাগরে ডাকাতি কাজে নেমে পড়েছে।

উপকূলে র‌্যাব,পুলিশের,সাগরে কোস্টগার্ড, নৌবাহিনীর টহল জোরদার করার জন্য আইনপ্রযোগকারী বিভাগের প্রতি অনুরোধ করেন।

এদিকে এফবি মামুন ফিশিং ট্রলারের মালিক মোঃ খোকন জানান, নিখোঁজ জেলেদের খোঁজে সাগরে তিনটি ট্রলার পাঠানো হয়েছে। আলী আকবর ডেইল এলাকার রঞ্জন বহদ্দারের একটি ট্রলার ভাসমান অবস্থায় তিন জেলে উদ্ধার করেছে বলে খবর দিয়েছে। এখনো তারা উপকূলে ফিরে আসেনি।

ডাকাতির ব্যাপারে থানায় মামলা করার প্রক্রিয়া চলছে বলে নিশ্চিত করেন।

পাঠকের মতামত: