নিজস্ব প্রতিনিধি, কুতুবদিয়া ::
কুতুবদিয়ায় নতুন ইউএনও হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে কুমিল্লা জেলার কৃতিসন্তান এ.এম জহিরুল হায়াতকে। তিনি ইতোপুর্বে চাঁদপুরের উপজেলার মতলব (উত্তর) এর ইউএনও হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
এদিকে, কুতুবদিয়া ইউএনও ফেনী জেলার বাসিন্দা মােঃ জিয়াউল হক মীর (১৭০৭৮) কে বদলী করে নোয়াখালী জেলার কোম্পানীগঞ্জে নিয়ােগ দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) শংকর রঞ্জন সাহা কর্তৃক ৩০ জুলাই স্বাক্ষরিত ৩৫৫ নম্বর স্মারকে জারীকৃত এক প্রজ্ঞাপন সুত্রে নিশ্চিত হওয়া জানা গেছে।
উল্লেখিত,২ কর্মকর্তাসহ বিসিএস (প্রশাসন) ক্যাডারের ৬ কর্মকর্তাকে চট্টগ্রাম বিভাগের বিভিন্ন উপজেলায় ইউএনও হিসাবে নিয়ােগ ও বদলী করা হয়।
অপরদিকে,কুতুবদিয়ার আইন-শৃংখলার একটি মিটিংয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের কালপিঠ বলায় ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েন তিনি এবং উপস্থিত অতিথিদের তোপের মুখে পড়েন। বিষয়টি নিয়ে ওই মিটিং থেকে উপজেলার চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন সমুহের চেয়ারম্যানসহ মুক্তিযোদ্ধারা তাকে বয়কট করলে পরে তিনি ক্ষমা ভিক্ষা করে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করেন।
এছাড়া, জিয়াউল হক মীর করোনা পরিস্থিতিতে
জামাত-শিবিরের অনুসারী ছেলেদের স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে নিয়োগ দিয়ে আবারো নতুনভাবে সমালোচনার মুখে পড়েন এবং এ বিষয় নিয়ে কুতুবদিয়ায় কয়েকটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা হয়। বিষয়টি নিয়ে কয়েকটি মামলাও হয়,যা আদালত পর্যন্ত গড়ায়।
তাছাড়া, গেল মৌসুমে বড়ঘোপ-স্টীমারঘাটস্থ দক্ষিণ, মধ্যম ও উত্তর অমজাখালী এলাকার লবণের মাঠের মালিকদের কাছ থেকে প্রায় ৫ লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ তুলেছে ভুক্তভোগী কৃষকরা।
সর্বশেষ, কুতুবদিয়া খাদ্যগুদামের ১৯৩ মে.টন চাল আত্মসাতের ঘটনায়ও উনার নাম বিভিন্নভাবে আলোচনায় আসে। চাল আত্মসাতে সংশ্লিষ্ট থাকা সত্ত্বেও মামলা থেকে বাঁচতে পিআইও এবং ইউএনও নিজে অত্যন্ত সুকৌশলে তদন্ত কমিটিতে ঢুকে পড়েন এবং রাঘববোয়ালদের বাদ দিয়ে চুনোপুঁটিদের ওই মামলায় আসামি করতে সহায়তা করেন বলে অভিযোগ উঠেছে বিদায়ী ইউএনও’র বিরুদ্ধে। এঘটনায় পুরো কুতুবদিয়া জুড়ে চলছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া।
পাঠকের মতামত: