এম.জিয়াবুল হক, চকরিয়া ::
চকরিয়া উপজেলার মালমুঘাটের পাশের এলাকা হায়দারনাশীতে অসময়ে বিয়ের পিড়িঁতে বসতে যাচ্ছে মাদরাসা পড়–য়া সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রী নুছরাত জাহান লিপি। উচ্চ শিক্ষা গ্রহনের স্বপ্ন নিয়ে লেখাপড়ায় মনদেয়া মেধাবী শিক্ষার্থী নুছরাত অবশেষে হার মানতে যাচ্ছে বাবা-মায়ের সিদ্বান্তের কাছে। বিয়ের বয়স না হলেও অকালে বিয়ের হাতছানি তার সব স্বপ্ন ভেঙ্গে চুরমার করেছে। ইতোমধ্যে বিয়ের সকল প্রস্তুতি শেষ করেছে তার পরিবার। আগামীকাল ১৯ অক্টোবর বৃহস্পতিবার সেজেগুজে বিয়ের পিঁিড়তে বসবে নুছরাত।
চকরিয়া উপজেলা ডুলাহাজারা ইউনিয়নের মালুমঘাট সীমান্তের লামা উপজেলার হায়দারনাশী গ্রামের বাসিন্দা আমান উল্লাহ’র মেয়ে ও হায়দারনাশী মুহাম্মদিয়া সুন্নিয়া দাখিল মাদরাসার ৭ম শ্রেনীর মেধাবী ছাত্রী নুছরাত জাহান লিপি। তার সাথে বিয়ে হচ্ছে চকরিয়া উপজেলার পূর্ববড়ভেওলা ইউনিয়নের কালাগাজি সিকদারপাড়ার বাসিন্দা মোহাম্মদ সাঈদুল হকের ছেলে মোহাম্মদ তৌহিদের।
জানতে চাইলে হায়দারনাশী মুহাম্মদিয়া সুন্নিয়া দাখিল মাদরাসার সুপার মাওলানা মোহাম্মদ হোছাইন জানান, নুছরাত জাহান লিপি তাঁর মাদরাসায় ৭ম শ্রেনীতে পড়ে। তাকে বৃহস্পতিবার বিয়ে দেওয়া হচ্ছে বলে তিনি শুনেছি। এমনকি বিয়ের খবর প্রশাসনের কানেও গেছে। অন্যদিকে ওই এলাকাটি চকরিয়ার সীমান্তে হলেও তাঁরা লামা উপজেলা ফাসিয়াখালী ইউনিয়নের ভোটার।
নুছরাতের হবু স্বামী তৌহিদের এলাকার লোকজন জানান, মেয়ের বয়স কম জেনেও ছেলের বাবা সাঈদুল হক লোভের বসবতী হয়ে এই বিয়েটি সম্পন্ন করতে যাচ্ছে। পাড়ালিয়ারা অনেকে বললেও তা মানছেন না তিনি।
নুছরাত জাহান লিপির বাড়ির প্রতিবেশীরা জানান, নুছরাতের বাবা আমান্ উল্লাহ ইতোমধ্যে মেয়ের বয়স বাড়িয়ে জন্ম নিবন্ধন সনদ সংগ্রহ করেছেন ইউনিয়ন পরিষদ থেকে। ওই জন্ম নিবন্ধনের বাহুবলে প্রাপ্ত বয়স্ক সাজিয়ে বিয়ে দেওয়া হবে নুছরাতকে।
এলাকাবাসীর মতে, নুছরাত জাহান লিপিকে এ অকাল বিয়ে হতে বাচাতে পারবে কেবল প্রশাসনই। কিন্ত এলাকার কতিপয় নেতা বিয়ের পক্ষে প্রশাসনের দ্বারে তদবীর শুরু করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
পাঠকের মতামত: