ঢাকা,শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪

করোনায় মারা গেলেন আরো ৪৩ জন, শনাক্ত ৩,৮০৯

চকরিয়া নিউজ অনলাইন ::  গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণে আরো ৪৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। নতুন শনাক্ত হয়েছেন তিন হাজার ৮০৯ জন। এ নিয়ে দেশে করোনায় এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে এক হাজার ৭৩৮ জনের। আর সব মিলিয়ে শনাক্ত হয়েছেন এক লাখ ৩৭ হাজার ৮৭ জন।

আজ রবিবার (২৮ জুন) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ে সরকারি বুলেটিনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। বুলেটিন প্রকাশে অংশ নেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।

ডা. নাসিমা বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা সংক্রমণে দেশে আরো ৪৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এঁরা ৩১ জন পুরুষ এবং ১৪ জন নারী। এঁদের বয়স ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে দুইজন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে একজন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে সাতজন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ১৩ জন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে ১২ জন, ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে সাতজন এবং ৮১ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে একজন। এ নিয়ে দেশে করোনায় এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে এক হাজার ৭৩৮ জনের।

জানানো হয়, নতুন যে ৪৩ জনের মৃত্যু হয়েছে তাঁরা ঢাকা বিভাগের ২১ জন, চট্টগ্রাম বিভাগের ১০ জন, খুলনা বিভাগের তিনজন, রাজশাহী বিভাগের দুইজন, সিলেট বিভাগের তিনজন, রংপুর বিভাগের একজন, বরিশাল বিভাগের দুইজন এবং ময়মনসিংহ বিভাগের একজন। হাসপাতালে মারা গেছেন ৩০ জন, বাসায় ১২ জন এবং একজনকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়।

এ ছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন এক হাজার ৪০৯ জন। এ নিয়ে দেশের করোনা সংক্রমণ থেকে এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৫৫ হাজার ৭২৭ জন।

ডা. নাসিমা জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ হয়েছে ১৭ হাজার ৩৪টি। একই সময় পূর্বের নমুনাসহ পরীক্ষা হয়েছে ১৮ হাজার ৯৯টি। এর মধ্যে করোনা রোগী হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে তিন হাজার ৮০৯ জনকে। এ নিয়ে দেশে এ পর্যন্ত করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন এক লাখ ৩৭ হাজার ৭৮৭ জন। আর এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা হয়েছে সাত লাখ ৩০ হাজার ১৯৭টি।

সারা দেশের করোনা চিকিৎসার জন্য নির্ধারিত হাসপাতাল সম্পর্কে তথ্যে বলা হয়, ঢাকা মহানগরীতে করোনা রোগীদের জন্য সাধারণ শয্যার সংখ্যা পাঁচ হাজার ৯৮৫টি এবং আইসিইউ শয্যার সংখ্যা ২০২টি, সারা দেশে সাধারণ শয্যার সংখ্যা ১৪ হাজার ৩৪৮টি, সারা দেশে আইসিইউ শয্যার সংখ্যা ৪২১টি এবং সারা দেশে অক্সিজেন সিলিন্ডারের সংখ্যা ১০ হাজার ৮৬৬টি।

আইসোলেশন প্রসঙ্গে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আইসোলেশনে নেওয়া হয়েছে আরো ৭১৭ জনকে। একইসময় আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ৪৬১ জন। এ পর্যন্ত আইসোলেশনে গেছেন ২৪ হাজার ৮১০ জন। এ পর্যন্ত আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ১০ হাজার ২২৭ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ১৪ হাজার ৫২৩ জন।

কোয়ারেন্টিন প্রসঙ্গেও তথ্য দেওয়া হয় বুলেটিনে। বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় হোম এবং প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে এসেছেন তিন হাজার ৯০ জন। একইসময় কোয়ারেন্টিন থেকে ছাড় পেয়েছেন দুই হাজার ৪০৫ জন। আর এ পর্যন্ত কোয়ারেন্টিনে গেছেন মোট তিন লাখ ৫৮ হাজার ২৭১ জন। আর এ পর্যন্ত কোয়ারেন্টিন থেকে ছাড় পেয়েছেন দুই লাখ ৯৩ হাজার ৬৭৩ জন। ছাড়ের পর বর্তমানে হোম এবং প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে আছেন ৬৪ হাজার ৫৯৮ জন।

সারা দেশের জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনের জন্য প্রস্তুত ৬২৯টি প্রতিষ্ঠান। এর মাধ্যমে তাৎক্ষণিকভাবে ৩১ হাজার ৯৯১ জনকে সেবা প্রদান যায় বলে জানানো হয় বুলেটিনে।

বুলেটিনে আরো জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের স্বাস্থ্য বাতায়ন এবং আইইডিসিআর’র হটলাইনে কল এসেছে এক লাখ ৬৭ হাজার ২১৭টি। এ নিয়ে এ পর্যন্ত হটলাইনে এক কোটি ৩৬ লাখ ১১ হাজার ৭৫১ জনকে স্বাস্থ্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এসব কলে সবাইকে স্বাস্থ্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত চিকিৎসকের সংখ্যা বেড়েছে আরো একজন। এ নিয়ে এখন মোট প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত চিকিৎসকের সংখ্যা দাঁড়াল ১৬ হাজার ৪০৪ জনে। এ ছাড়া বর্তমানে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে হটলাইনে চার হাজার ২১৭ জন চিকিৎসক স্বাস্থ্য পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন বলে জানানো হয় বুলেটিনে।

পাঠকের মতামত: