ঢাকা,রোববার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪

কচ্ছপিয়ায় নিম্নমানের মালামাল দিয়ে চলছে সড়কের কার্পেটিং কাজ

মোঃ জয়নাল আবেদীন টুক্কু ::   কক্সবাজারের রামু উপজেলার কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তবর্তী রূপনগর হইতে মৌলভীর কাটা রাস্তার মাথা পর্যন্ত ১ কিলোমিটার সড়কের কার্পেটিং কাজে নিম্নমানের মালামাল দিয়ে কাজ করায় ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ তুলেছে এলাকাবাসী। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ৮৮ লক্ষ টাকা ব্যয়ে রামু এলজিইডি অফিসের এ কাজটি পায় কক্সবাজারের টিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স আসাদ এন্টারপ্রাইজ।

এ সড়কটি উন্নয়ন ও কার্পেটিং কাজে প্রথম শ্রেণির কংক্রিটের পরিবর্তে ব্যবহার করছে তৃতীয় শ্রেণির কংক্রিট। যা রোলার চাপার সাথে সাথে মাটিতে পরিণত হচ্ছে। ১নং বালির পরিবর্তে ব্যবহার করছে পাহাড়ের বালি মিশ্রিত মাটি। অনিয়ম ও নিম্নমানের মালামাল দিয়ে কাজ করায় বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারী) এলাকাবাসী ক্ষুব্ধ হয়ে বাধা দিলে কিছুক্ষণ কাজ বন্ধ রাখে। এলাকাবাসী চলে যাওয়ার পর পরই পুনরায় এ সড়কটির কাজ শুরু করে। এসব অনিয়ম ও নিম্নমানের মালামাল ব্যবহার করছে টিকাদারের নিজস্ব লোকেরা। এলাকাবাসী সড়কের

এ কাজে অনিয়ম নিয়ে প্রশ্ন তোলে সংশ্লিষ্টদের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। সচেতন মহলের মতে, তৃতীয় শ্রেণির কংক্রিট ও বালির পরিবর্তে পাহাড়ের বালি মাটি ব্যবহার করায় রাস্তাটি আগামী বর্ষার শুরুতে ভারী বৃষ্টিপাত হলে বিলীন হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে।

এলাকার সমাজ সেবক হাফেজ আহমদ, মোঃ বেলাল, খোকন, বদু, কাদেরসহ অনেকে জানান,স্বাধীনতার পর থেকে এই সড়ক দিয়ে অনেক কষ্টে যাতায়াত করতাম। সরকারের সদিচ্ছা ও চেয়ারম্যানের প্রচেষ্ঠায় হাজির পাড়া, মৌলভী কাটা, বড় জাংছড়ি, ছোট জাংছড়ি সহ এ এলাকার হাজার হাজার মানুষের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন পূরণ হচ্ছিল। কিন্তু টিকাদার নিম্নমানের কংক্রিট,মাটি মিশ্রিত বালি দিয়ে কাজ করার কারণে রাস্তাটি এক বছরও স্থায়িত্ব হওয়ার সম্ভবনা নেই।

এই বিষয়ে টিকাদার প্রতিষ্ঠানের মালিক আসাদ উদ্দীনের কাছে মুঠোফোনে তৃতীয় শ্রেণির কংক্রিট ও পাহাড়ের মাটি ব্যবহারের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, আমি কোথাও তৃতীয় শ্রেণির কংক্রিট ব্যবহার করছি না। রাস্তায় মজুদকৃত তৃতীয় শ্রেণির কংক্রিটের বিষয়ে তিনি বলেন, আমার অজান্তে আমার সহায়করা এসব ব্যবহার করে থাকলে তা আমি দেখব।

কচ্ছপিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু মোঃ ইসমাঈল (নোমান) জানান, নিম্নমানের কাজের বিষয়টি এলাকাবাসী আমাকে জানালে আমি সাথে সাথে গিয়ে দেখি এবং তাদেরকে সিডিউলের বাইরে কাজ না করতে বলি। কারণ টিকাদার কাজ শেষ করে চলে যাবে, এতে সরকারের সুনাম নষ্ট হবে। ক্ষতি হবে আমাদের ও জনগনের।

এই বিষয়ে রামু উপজেলা প্রকৌশলী মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম জানান, এই কাজে তৃতীয় শ্রেণির কংক্রিট বা মাটি ব্যবহার করার সিডিউলে নেই। বিষয়টি কেবল শুনেছি। তিনি সাংবাদিকদের দ্রুত ব্যবস্থা নেএয়ার কথা জানান।

পাঠকের মতামত: